এই পোস্টে আমরা জানব ষষ্ঠ শ্রেনীর, বিষয় বিজ্ঞান (অনুশীলন বই) এর সপ্তদশ অধ্যায়, বাঁচবে নদী, তাতে জীবন থাকে যদি সম্পর্কে।
প্রথম সেশন
★ কেউ যদি চাও ছবির বদলে কয়েক লাইন কবিতাও লিখে ফেলতে পারো। যার যেটা ভালো লাগে।
নমুনা উত্তর :
তিতাস নদী
আমাদের তিতাস নদী
দেখতে যদি চাও তবে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাও।
নদীর দুই ধারে রয়েছে
দেখতে যদি চাও
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাও।
ছোট ছোট বাড়ি
থাকে সেথা সবে মিলে।
নাহি ছাড়াছাড়ি
সকালে জেলে ভাই
নদীতে মাছ ধরে
বিকেলে বাজারে বিক্রি করে
রাতে বাড়ি ফেরে।
★ ছবির নদীগুলোর মধ্যে কোন কোন নদীর নাম তুমি আগেই শুনেছ? তোমার বন্ধুদের সাথে আলাপ করে দেখো তো, কে কয়টা নদীর নাম আগে থেকেই জানত।
উত্তর : উপরের ছবির নদীগুলোর মধ্যে অনেকগুলো নদীর নাম আমি আগে থেকেই জানতাম। যেমন- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা, , তিতাস, তুরাগ, কর্ণফুলী, কুশিয়ারা, তিস্তা ইত্যাদি। আমার বন্ধুদের অনেকেই কয়েকটা নদীর নাম জানত। যেমন- পদ্মা, মেঘনা, আত্রাই, গোমতী, তুরাগ, নাফ, লোহালিয়া, কুমার, হালদা, সাঙ্গু ইত্যাদি।
★ তোমরা কী জানো, বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে একটা দারুণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নদীকে জীবন্ত সত্তার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর মানে মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর যেমন মৌলিক অধিকার আছে, তেমনি নদীরও আছে। কেউ কোনো মানুষের ক্ষতি করলে যেমন আদালতে বিচার হয়, নদীর ক্ষতি করলেও তা-ই হবে। একটু ভেবে দেখো তো, নদীকে এভাবে জীবন্ত প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করার কারণ কী হতে পারে? তোমার দলের অন্যদের সঙ্গে আলাপ করে নিচে তোমার চিন্তা লিখে রাখো-
নমুনা উত্তর : নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলো আজ মৃত প্রায় । দূষণ ও দখলে দেশের বেশির ভাগ নদীগুলো তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলছে। অনেক নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিত ড্রেজিং, দূষণ, ভরাট, ইচ্ছেমতো বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি কারণেও নদীগুলো রুগ্ন-শুকনো, মৃতপ্রায়। অথচ মানুষের মতো নদীও অনেকটা জীবন্ত সত্তা। মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য যেমন কিছু মৌলিক অধিকার আছে। নদীকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে কিছু অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। এ অধিকারের মাধ্যমে নদী দূষণ, দখল, ভরাট থেকে রক্ষা পাবে।
তাই বাংলাদেশ উচ্চ আদালত এ বিষয়ে একটি রায় ঘোষণা দেয়। এই রায়ে নদীকে জীবন্ত সত্তা বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। কারণ মানুষের যেমন মৌলিক অধিকার থাকে এবং তা আদায়ের জন্য সে আইনি সহায়তা নিতে পারে, তেমনি নদীগুলোও তাদের অধিকার সংরক্ষণে আইনি সহায়তা নিতে পারবে। এক্ষেত্রে নদীর পক্ষ হয়ে কেউ প্রতিনিধিত্ব করবে। মূলত নদীকে অবৈধ দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অব্যবস্থাপনার জন্য যাতে নদীগুলো মরে না যায় সেই দিকটি নিশ্চিত করতে এ ঘোষণা করা হয়েছে।
★ জন্ম থাকলে কি নদীর মৃত্যুও থাকতে পারে? ভেবে দেখো।
নমুনা উত্তর: হ্যাঁ, জন্ম থাকলে নদীর মৃত্যুও হতে পারে। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট নানা কারণে নদীর মৃত্যু হতে পারে। যেমন- ভূমিকম্পের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হলে, নদীতে বিন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের কারণে মনোজ, বড়াল এবং কুমার নদ শুকিয়ে মরে গেছে। দখল, দূষণের কারণে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা নদীর মৃত্যু ঘটেছে।
দ্বিতীয় সেশন
★ নিশ্চই সবাই এর মধ্যে নদী নিয়ে অনেক তথ্য পেয়েছ। দলের সবাই আলোচনা করে নিচের ছকে নোট নাও।
নমুনা উত্তর :
নদীর গল্প | বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের প্রবহমান নদী হলো তিতাস। বাংলাদেশ ভারতের আন্তঃসীমানা সংশ্লিষ্ট নদী হিসেবে এটি পরিচিত। নদীটির উৎপত্তি হয়েছে ভারতের ত্রিপুরায়। অনেক পুরোনো এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৮ কিলোমিটার। তিতাস নদীকে ঘিরে একটা উপকথা প্রচলিত আছে। তার মধ্যে একটি উপকথায় বলা হয়েছে যে, তিতাস নদী মেঘনার কন্যা বা মেয়ে। |
নদীতে এবং নদীর তীর ঘেঁষে কী ধরনের জীবের দেখা মেলে? | তিতাস নদীর তীর ঘেঁষে নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে উঠেছে। তারপরও নদীর তীরে এখনো কিছু ঝাউগাছ, মেহগনি গাছ, বটগাছ সহ জলজ অন্যান্য আগাছা লক্ষ করা যায়। নদী ও নদীর তীরে কাঁকড়া, মাছ, বিভিন্ন কীটপতঙ্গ ও বকপাখির দেখা মিলে। নদীর তীরে কিছু গরু, ছাগলের দেখা মিলেছে। |
নদী এবং নদীর আশেপাশের পরিবেশে সময়ের সঙ্গে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে? | সময়ের পরিক্রমায় তিতাস নদী এবং এর আশপাশে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। আগে এ নদীতে বোয়াল, আই চিংড়ি, পাবদা, মাগুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। দেখা যেত শুশুক, ভোদর, সারন পাখি। কিন্তু এখন নদীতে তেমন মাছ পাওয়া যায় না। শুশুক, ভোদড়, সারদ পাখিরও বিলুপ্তি ঘটেছে। অদ্বৈত মল্লবর্মন তার ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসে তিতাসের কুলজোড়া জল, বুকভরা ঢেউ আর প্রাণভরা উচ্ছ্বাসের কথা বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় তিতাসের সেই ভরা যৌবন এখন আর নেই। দখল আর দূষণের ফলে এ নদীটি এখন জরাজীর্ণ খালে পরিণত হয়েছে। |
★ পড়া হয়ে গেলে আবার আগের প্রশ্নে ফিরে যাই চলো। তোমাদের নদী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জীববৈচিত্র্যের পরিবর্তনের যেসব কারণ তোমরা খুঁজে বের করেছ, সেগুলোকে পরের পৃষ্ঠার ছকে সাজিয়ে নাও-
নমুনা উত্তর :
নদী ও নদীর আশপাশের পরিবেশের পরিবর্তন | পরিবেশের যে উপাদানের পরিবর্তন হয়েছে (মাটি / পানি / বায়ু / জীবন ) | কী কী কারণে এই পরিবর্তন এসেছে? | |
প্রাকৃতিক কারণ | মানবসৃষ্ট কারণ | ||
১। নদী জরাজীর্ণ খালে পরিনত হয়েছে | মাটি, পানি ও জীবজগৎ | ১. নদীতে পলি জমা হওয়া। ২. পানি প্রবাহ কমে যাওয়া। | ১. পানিতে ময়লা আবর্জনা ফেলা। ২. ড্রেজিং না করা। ৩. নদীর তীর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা। |
২. নদীর চর এলাকা বৃদ্ধি | মাটি ও জীবজগৎ | নদী ভাঙ্গন, ভূমিক্ষয় | অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও দখল। |
৩. মাছ বিলুপ্ত হওয়া। | জীবজগৎ | ১. পানি প্রবাহ কমে যাওয়া। ২. নদীতে পলি জমা হওয়া। | ১. পানি দূষণ ঘটানো। ২. নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলা। |
৪. শুশুক / ভোদড় বিলুপ্ত হওয়া | মাটি, পানি ও জীবজগৎ | ১. পানি প্রবাহ কমে যাওয়া। | ১. পানি দূষণ। ২. নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলা। |
৫. নদী তীরবর্তী গাছপালা বিলুপ্ত হওয়া। | মাটি, পানি ও জীবজগৎ | ১. নদী ভাঙ্গন ২. ভূমিক্ষয় | ১. মাটি দূষণ। ২. পানি দূষণ। ৩. গাছপালা কেটে ফেলা। |
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন
প্রশ্ন ১। ভূমিরূপ কী?
উত্তর : কোনো স্থানের গঠনগত আকৃতিই হলো ঐ স্থানের ভূমিরূপ । অর্থাৎ পৃথিবীব্যাপী অবস্থিত বিভিন্ন ভূমির উচ্চতা, আকৃতি, ঢাল, বন্ধুরতা, অবয়ব ইত্যাদি হলো ভূমিরূপ ।
প্রশ্ন ২। বাংলাদেশের ভূমিরূপ কয় ধরনের?
উত্তর: বাংলাদেশের ভূমিরূপ প্রধানত তিন ধরনের। যথা- ১. পার্বত্য অঞ্চল, ২. সোপান অঞ্চল ও ৩. প্লাবন সমভূমি।
প্রশ্ন ৩। বাংলাদেশের ভূমিরূপ কিভাবে তৈরি হয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশের ভূমিরূপ নিম্নরূপে তৈরি হয়েছে-
১. পার্বত্য অঞ্চল প্রায় ২.৫ কোটি বছর আগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় এসব পার্বত্য অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছিল।
২. সোপান অঞ্চল অনুমান করা হয় প্রায় ২৫ লক্ষ বছর আগে আন্তঃবরফগলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে সোপান অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছিল। এগুলোকে বরেন্দ্রভূমি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং লালমাই পাহাড় এই তিনটি এলাকায় ভাগ করা হয়।
৩. প্লাবন সমভূমি পার্বত্য এবং সোপান অঞ্চল ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশের প্রায় ৮০% ভূমি নদীবিধৌত এবং বিস্তীর্ণ সমভূমি নিয়ে গঠিত। এই ভূমিসমূহ গত ২০ লক্ষ বছরে ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয়েছে। বছরের পর বছর বন্যার সঙ্গে পরিবাহিত ঘাটি সতি হয়ে এ প্লাবন সমভূমি গঠিত হয়েছে। এখানে মাটির স্তর খুবই গভীর এবং খুবই উর্বর।
★ তোমার নদীর পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে ভূমি যেসব তথ্য পেয়েছ, তার ভিত্তিতে তোমাদের এলাকার মানুষের করণীয় আসলে কী হওয়া উচিত। প্রাকৃতিক কারণগুলো নিয়ে হয়তো খুব বেশি কিছু করতে পারবে না, কিন্তু মানবসৃষ্ট যেসব কারণে তোমাদের নদীর পরিবেশ আক্রান্ত হচ্ছে সেগুলোকে অন্তত কমিয়ে আনা যায় কীভাবে সেটা ভেবে দেখো। দলে আলাপ করে তোমাদের মাথায় যা যা সমাধান আসে তা পরের পৃষ্ঠায় লিখে রাখো—
নমুনা উত্তর :
আগে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তোমার নদীর পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার মানবসৃষ্ট কারণসমূহ | এর সমাধান যা যা হতে পারে- |
১. নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা। | ১. কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা রোধ করা। |
২. নদীতীর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা। | ২. নদীর তীরবর্তী স্থাপনা উচ্ছেদ করা। নদী সংরক্ষণের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ। |
৩. পানি দূষণ ঘটানো। | ৩. যেকোনো ধরনের পানি দূষণ রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ। |
৪. মাটি দূষণ ঘটানো। | ৪. নদী তীরবর্তী স্থানে ময়লা – আবর্জনা শিল্প বর্জ্য না ফেলা। |
৫. গাছপালা কেটে ফেলা। | ৫. নদীর তীরে বনায়ন কার্যক্রম চালু করা। |
৬. ড্রেজিং না করা। | ৬. ড্রেজিং-এর মাধ্যমে নদী খনন করা। |
৭. নদীর তীরে শিল্পকারখানা স্থাপন। | ৭. নদী তীরবর্তী স্থানে শিল্পকারখানা স্থাপন বন্ধ করা। শিল্পকারখানার বর্জ্য শোধন করা। |
পঞ্চম সেশন
ফিরে দেখা
★ কোন দলের কাজ সবচেয়ে ভাল লাগল? কেন?
নমুনা উত্তর: লাল, নীল, সবুজ, হলুদ- এ চারটি দলের মধ্যে লাল দলের কাজ আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
লাল দল তাদের পরিকল্পনাটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। এ দলের তৈরি বাস্তুসংস্থান মডেলটি ছিল অনেক আকর্ষণীয় ও বাস্তবসম্মত। ‘নদী বাঁচাও’ শিরোনামে তাদের উপস্থাপনাটিও ছিল খুব সুন্দর। মোটকথা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নদী রক্ষার লাল দলের কাজটি খুবই ফলপ্রসূ একটি পরিকল্পনা ছিল।
★ তোমাদের দলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছ? পরিকল্পনায় কোনো কিছু পাল্টালে কি আরও ভালো হতে পারত—-
নমুনা উত্তর: আমার দল ছিল নীল দল। আমার দলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। যেমন— নদীর মডেল তৈরির উপকরণগুলো সংগ্রহ করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। নদী বিষয়ক তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
আমাদের পরিকল্পনা মোটামুটি সঠিক ছিল। তাই পরিকল্পনা পাল্টানোর প্রয়োজন ছিল না।
★কোন দলের কাজ থেকে এমন নতুন কিছু জানতে পেরেছ, যা তোমাদের দলের চোখ এড়িয়ে গেছে?
নমুনা উত্তর :
সার্বিক আলোচনা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে লাল দলের কাজ থেকে নতুন একটা বিষয় জানতে পেরেছি, যা আমার দলের চোখ এড়িয়ে গেছে। বিষয়টি হলো নদীতে বাঁধ নির্মাণ। নদীতে বাঁধ নির্মাণের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়। একই সাথে নদীর নাব্যতা কমে গিয়ে পরিবেশগত সমস্যার সৃষ্টি হয়। একসময় নদী মৃতপ্রায় হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় প্রশ্ন :
প্রশ্ন ১। যেসব নদী অন্য কোনো নদী থেকে উৎপন্ন হয় তাকে কী বলে?
উত্তর : শাখা নদী।
প্রশ্ন ২। যমুনা নদীর প্রধান শাখা নদী কোনটি?
উত্তর : ধলেশ্বরী।
প্রশ্ন ৩। মধুমতি, মাথাভাঙ্গা, কপোতাক্ষ নদ কোন নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে?
উত্তর: পদ্মা।
প্রশ্ন ৪। যমুনা নদীর একটি উপনদীর নাম লেখ।
উত্তর : তিস্তা।
প্রশ্ন ৫। করতোয়া নদী কোন নদীতে গিয়ে মিশেছে?
উত্তর: যমুনা।
প্রশ্ন ৬। বাংলাদেশে মোট নদ-নদী কতটি?
উত্তর : ২৩০টি।
প্রশ্ন ৭। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর আয়তন কত?
উত্তর : ২৪,১৪০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন ৮। জীবন্ত মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে কাকে?
উত্তর: নদীকে।
প্রশ্ন ৯। বাঁধ নির্মাণের কারণে মরে গেছে এমন একটি নদীর নাম লেখ।
উত্তর: মনোজ নদী ।
প্রশ্ন ১০। দখল, দূষণে আক্রান্ত একটি নদীর নাম লেখ।
উত্তর: বুড়িগঙ্গা।
প্রশ্ন ১১। কোনো স্থানের গঠনগত আকৃতিকে কী বলে?
উত্তর : ভূমিরূপ ।
প্রশ্ন ১২। বাংলাদেশের ভূমিরূপ কয় ধরনের?
উত্তর: তিন ধরনের।
প্রশ্ন ১৩। নদীর নাব্যতা রক্ষার একটি কৌশল লেখ
উত্তর: ড্রেজিং করা।
প্রশ্ন ১৪। নদীর পরিবেশ পরিবর্তনের একটি প্রাকৃতিক কারণ লেখ।
উত্তর : নদীতে পলি জমা হওয়া।