আকাশ কত বড়? – সমাধান | বিজ্ঞান – ১ম অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

আকাশ কত বড়? | বিজ্ঞান - ১ম অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী | অনুশীলন বই ২০২৩

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয় এর ১ম অধ্যায়, আকাশ কত বড় সম্পর্কে।

আকাশ হলো পৃথিবীর একটি বায়ুমন্ডল। এবং আমরা জানি দিনের বেলাই আমরা আকাশ নীল রঙের দেখি। জেনে নেওয়া যাক আমরা আকাশ নীল রঙের কেন দেখি। 

আমরা আকাশ নীল রঙের কেন দেখি?

আমারা সাধারণত সূর্যকে সোনালী রঙের দেখি। এটি আসলে রংধনুর ৭টি রঙের মিশ্রণ আমরা যদি প্রিজম দিয়ে সেটি পরিক্ষা করি তাহলে সূর্যের আলোটা সাতটি রঙে ভাগ হয়ে যাবে। তাহলে তোমরা যে আকাশের নীল রঙটি দেখ, সেটাই হলো সূর্যের নীল রঙ। কারণ অন্যান্য রঙের তুলনায় নীল রঙটা ক্ষুদ্রতর তরঙ্গের মাধ্যমে ছড়াতে পারে তাই বায়ুমন্ডলে এই রংটি খুব সহজে ছড়িয়ে পরে। সুতরাং বায়ুমন্ডলে যে রংটি বেশি ছড়াবে সেই রঙটাই দেখা যাবে আকাশে। এইবার জানা যাক আকাশ কত বড়?

আকাশ এতো বড় যে, জ্যোতির্বিদরা অনুমান করেন আলোকবর্ষে। আমরা জানি, ১ আলোকবর্ষ = ৯.৪৬ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। আর মহাবিশ্বের বস্তুগুলো যেমন গ্রহ,উপগ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি  ইত্যাদি একেকটি থেকে একএকটির দূরত্ব কোটি কোটি আলোকবর্ষ। সুতরাং,  আমরা এর মাধ্যমে অনুমান করতে পারি যে, আকাশ কত বড়।

  • গ্রহ কী: সৌরজগতের যেসব জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট পথে চলাচল করে তাকে গ্রহ বলে। সৌরজগতের মোট গ্রহ হচ্ছে ৮ টি। যেমন: বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন। 
  • উপগ্রহ কী: যেসব বস্তু গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরে তাদেরকে উপগ্রহ বলে। যেমন: চাঁদ। এর নিজস্ব কোনো আলো নেই। সূর্য থেকে এটি আলো পায়।
  • নক্ষত্র কী : যেসব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো আছে তাদেরকে নক্ষত্র বলে। যেমন: সূর্য, তারা।
  • গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ কী: কতগুলো গ্রহ-উপগ্রহ এবং নক্ষত্র নিয়ে যেমন একটি সৌরজগত গঠিত হয়ে থাকে তেমনি এরকম অসংখ্য সৌরজগত, ধূলিকনা, প্রাসমা, এবং প্রচুর পরিমানে অদৃশ্য বস্তু নিয়ে ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি গঠিত হয়।

আকাশের দিকে তাকিয়ে তোমাদের মনে যা যা প্রশ্ন জাগে তা এইখানে লিখে দেওয়া হলো :

১। আকাশ বড় কেন?

২। আকাশের রং নীল কেন?

👉 আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২য় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী – বিজ্ঞান

প্রথম সেশন

দিনের আকাশে কি কি দেখিরাতের আকাশে কি কি দেখি
আকাশের রঙ দেখি নীলচাঁদ দেখা যায়।
সূর্য দেখা যায়, মেঘ দেখা যায়।গ্রহ দেখা যায়।
রংধনু দেখা যায়।মেঘ, তারা দেখা যায়।

দ্বিতীয় সেশন

গ্যালাক্সির সংখ্যা গ্যালাক্সিতে মোট নক্ষত্রের সংখ্যা 
তোমার অনুমান ১ লক্ষ কোটি১০০ কোটি

👉 আমাদের যারা প্রতিবেশী | বিজ্ঞান অনুশীলন – ৪র্থ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

তৃতীয় সেশন

বিগ ব্যাং তত্ত্ব কি বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নাকি তা শুধুই মানুষের কল্পনা?

উঃ বিগ ব্যাং তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

এই তত্ত্বের সপক্ষে কি বিজ্ঞানীরা কোনো প্রমাণ পেয়েছেন? 

উঃ আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন (এক হাজার চারশত কোটি) বছর আগে পুরো এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটি বিন্দুতে ছিল। অবিশ্বাস্য একটি বিস্ফোরনের সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রূপ নিয়েছে। সেই বিস্ফোরণটির নাম বিগ ব্যাং।

মহাবিশ্বের সৃষ্টির পর নক্ষত্রের জন্ম কী করে হলো?

উঃ বিগ ব্যাংয়ের পর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রথমে ছিল শক্তি এবং তারপর তৈরি হয়েছে হাইড্রোজেন। এই হাইড্রোজেন কোথাও কোথাও একত্রিত হয়ে একটা গ্যাস পিণ্ডের আকার নেয়, এই গ্যাস পিণ্ডকে বলে নেবুলা। সেই নেবুলাতে যথেষ্ট গ্যাস থাকে এবং একপর্যায়ে মহাকর্ষ বলের কারণে যখন সংকুচিত হতে থাকে তখন তার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তখন হাইড্রোজেন একটি অন্যটার সাথে নিউক্লিয়ার ফিউসান নামে একটি বিক্রিয়া করে প্রচুর শক্তি জন্ম দিতে থাকে। এর ফলে নক্ষত্র থেকে আলো বের হতে থাকে এবং আমরা বলি নক্ষত্রের জন্ম হয়েছে।

নক্ষত্রের জ্বালানিও কি এভাবে ফুরিয়ে যেতে পারে?

হ্যা, নক্ষত্রের মধ্যে থাকে হাইড্রোজেন গ্যাস। হাইড্রোজেন গ্যাসের পরিমাণ কমে গেলে নক্ষত্রের জ্বালানিও ফুরিয়ে যাবে।

নক্ষত্রের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে তার আসলে কী হয়?

যখন হাইড্রোজেন জ্বালানি শেষ হয়ে যায় তখন নক্ষত্র ফুলে ফেঁপে নিষ্প্রভ হয়ে মৃত্যুবরণ করে।

এক রাজ্যে এক ধনুকধারী ছিলো। অহংকারে তার পা মাটিতে পড়তো না। সে পৃথিবীর সব প্রাণীকূলকে তুচ্ছ মনে করতো। তার অহংকার এতটাই বেড়ে গেলো যে, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকূলের উপর খারাপ প্রভাব পড়াতে লাগলো। দেবতারা ক্ষুব্ধ হয়ে একটা সৰ্প পাঠালেন ধনুকধারীকে হত্যা করার জন্য। সেই সর্পের ধ্বংসনে মৃত্যুবরণ করলো অহংকারী ধনুকধারী।

👉 পিকনিক পিকনিক | বিজ্ঞান – ৩য় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

চতুর্থ সেশন

বাংলা বর্ষপঞ্জিআকাশের নক্ষত্রমণ্ডলী থেকে
কীভাবে এলো?আকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকেআকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকে
কী কাজে ব্যবহার করা হয়?দিন সমূহকে হিসাব করার জন্যভাগ্য গণনার জন্য
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা?আছেনাই

পঞ্চম সেশন

প্রচলিত অবৈজ্ঞানিক চর্চা বা কুসংস্কাররাশি চক্র বা ভাগ্য গণনা
তোমার দায়িত্ব কী হওয়া উচিত?আমি তাদেরকে বুজাবো, এগুলোর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তাছাড়া ধর্মীয় ভাবেও এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নাই ।
আকাশের দিকে তাকালে এখন নতুন | কী কী চোখে পড়ছে বা নতুন কী চিন্তা মাথায় আসছে?উল্কা, ধ্রুবতারা, শুকতারা।দিনের বেলা আকাশে তারা দেখা যায় না কেন? মাঝে মধ্যে আকাশ থেকে তারা খসে পড়তে দেখা যায় কেনো?
এই বিষয়ে আর কী কী প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে?আকাশের শেষ সীমা যদি জানতে পারতাম?

Leave a Comment