বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছোট্ট কিন্তু ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, যা আটটি প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত।
প্রতিটি বিভাগ একাধিক জেলা নিয়ে গঠিত। বর্তমানে দেশে মোট ৬৪টি জেলা রয়েছে।
প্রতিটি জেলার নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
নিচে বিভাগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার নাম এবং বিভক্তি উল্লেখ করা হলো।
ঢাকা বিভাগ (১৩টি জেলা)
ঢাকা বিভাগ দেশের অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র। এই বিভাগে ১৩টি জেলা রয়েছে।
১. ঢাকা
২. গাজীপুর
৩. নারায়ণগঞ্জ
৪. নরসিংদী
৫. মানিকগঞ্জ
৬. মুন্সীগঞ্জ
৭. রাজবাড়ী
৮. ফরিদপুর
৯. মাদারীপুর
১০. গোপালগঞ্জ
১১. শরীয়তপুর
১২. টাঙ্গাইল
১৩. কিশোরগঞ্জ
চট্টগ্রাম বিভাগ (১১টি জেলা)
চট্টগ্রাম বিভাগ দেশের প্রধান বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র, এবং সুন্দরবন উপকূল।
১৪. চট্টগ্রাম
১৫. কক্সবাজার
১৬. ফেনী
১৭. নোয়াখালী
১৮. লক্ষ্মীপুর
১৯. ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২০. চাঁদপুর
২১. রাঙ্গামাটি
২২. খাগড়াছড়ি
২৩. বান্দরবান
রাজশাহী বিভাগ (৮টি জেলা)
রাজশাহী বিভাগকে দেশের খাদ্যভাণ্ডার বলা হয়, কারণ এটি প্রধানত কৃষিভিত্তিক একটি এলাকা।
২৪. রাজশাহী
২৫. নাটোর
২৬. পাবনা
২৭. বগুড়া
২৮. নওগাঁ
২৯. চাঁপাইনবাবগঞ্জ
৩০. সিরাজগঞ্জ
৩১. জয়পুরহাট
খুলনা বিভাগ (১০টি জেলা)
খুলনা বিভাগ সুন্দরবন এবং মৎস্য সম্পদের জন্য বিখ্যাত।
৩২. খুলনা
৩৩. যশোর
৩৪. সাতক্ষীরা
৩৫. মেহেরপুর
৩৬. নড়াইল
৩৭. চুয়াডাঙ্গা
৩৮. কুষ্টিয়া
৩৯. ঝিনাইদহ
৪০. মাগুরা
৪১. বাগেরহাট
বরিশাল বিভাগ (৬টি জেলা)
বরিশাল বিভাগ মূলত নদী ও হাওর-ভিত্তিক এলাকা। এটি সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।
৪২. বরিশাল
৪৩. পটুয়াখালী
৪৪. ঝালকাঠি
৪৫. পিরোজপুর
৪৬. ভোলা
৪৭. বরগুনা
সিলেট বিভাগ (৪টি জেলা)
সিলেট বিভাগ দেশের অন্যতম প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা এবং চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
৪৮. সিলেট
৪৯. মৌলভীবাজার
৫০. হবিগঞ্জ
৫১. সুনামগঞ্জ
রংপুর বিভাগ (৮টি জেলা)
রংপুর বিভাগ দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
৫২. রংপুর
৫৩. দিনাজপুর
৫৪. ঠাকুরগাঁও
৫৫. লালমনিরহাট
৫৬. নীলফামারী
৫৭. গাইবান্ধা
৫৮. কুড়িগ্রাম
৫৯. পঞ্চগড়
ময়মনসিংহ বিভাগ (৪টি জেলা)
ময়মনসিংহ বিভাগ নতুন গঠিত একটি বিভাগ, যা প্রধানত কৃষি ও নদীকেন্দ্রিক।
৬০. ময়মনসিংহ
৬১. জামালপুর
৬২. নেত্রকোনা
৬৩. শেরপুর
বিশেষ জেলা
৬৪. ফরিদপুর
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং উন্নয়নের প্রতীক। প্রতিটি জেলা তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে গর্বিত।
প্রশাসনিক কাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি, এই বিভাজন জনগণের জীবনযাত্রা সহজতর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।