এই পোস্টে আমরা জানবো ৮ম শ্রেনীর বিষয় বাংলা এর প্রথম অধ্যায়, প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি সম্পর্কে।
১.১ পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগের উপায়
উত্তর:
পরিস্থিতি | যোগাযোগের উদ্দেশ্য | যার সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে | যেভাবে উদ্দেশ্য প্রকাশ করা যেতে পারে |
বাড়িতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে | অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা | পরিবারের সদস্যডাক্তার কাছের হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্সহেল্পলাইন (১৬২৬৩) | অসুস্থ ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ব্যাখ্যা করাপ্রাথমিকভাবে রোগীর জন্য কী করা যেতে পারে জানতে চাওয়া।বাড়ির ঠিকানা বলা। |
স্কুলের পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে। | পরিচয়পত্র খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা | স্কুলের শিক্ষকদের সাথেস্কুলের দপ্তরি, কর্মচারীদের সাথেশ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের সাথেপরিবারের সদস্যদের সাথেপথচারীদের সাথে | পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাওয়াপরিচয় পত্র সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করাফোন নাম্বার, নাম, ঠিকানা বলা |
এমন এলাকায় দাওয়াত পেয়েছি যেখানে আগে কখনো যাইনি। | দাওয়াতকৃত স্থানের ঠিকানা জানতে চাওয়া ও সেখানে পৌছানেরা চেষ্টা করা | যার মাধ্যমে দাওয়াত পেয়েছি তার সাথে।ঐ এলাকার পরিচিত কোনো ব্যক্তির সাথে।মোবাইল ফোনের গুগল সার্চ করে। | এলাকার নাম, ঠিকানা জানতে চাওয়া।কিভাবে যেতে হবে সেই সম্পর্কে জানতে চাওয়া।কত খরচ হতে পারে |
একজন বন্ধু বেশ কিছুদিন ধরে ক্লাসে আসছে না। | ক্লাসে না আসার কারণ ও তার খোঁজ খবর নেওয়া | শ্রেণিকক্ষের শিক্ষকদের সাথেশ্রেণিকক্ষের সহপাঠীদের সাথেবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সাথেমোবাইল ফোনের মাধ্যমে | কেন আসছেনা কারণ জানতে চাওয়াকোথায় আছে তা জানতে চাওয়াঅসুস্থ কিনা জানতে চাওয়া |
এলাকায় একটি অপরিচিত শিশু পাওয়া গেছে। | শিশুটিকে বাবা মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা | এলাকার লোকজনের সাথেপরিচিত বন্ধু-বান্ধবের সাথেহেল্পলাইন ১৬২৬৩থানা পুলিশশিশুটির নির্দিষ্ট এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে | শিশুটির পরিচয় কিশিশুটির বাবা-মা কেশিশুটিকে কিভাবে সঠিক স্থানে পৌছানো যায় তা জানতে চাওয়াকোন এলাকায় বসবাস করে সেটি জানতে চাওয়া। |
ঘটনা : ২
১. শিক্ষার্থীরা কোন উদ্দেশ্যে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়েছে?
উ: মানুষকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করতে।
২. এই যোগাযোগে কোন চিন্তা ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে?
উ: বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে রক্ষা করা।
৩. আর কীভাবে তারা এই উদ্দেশ্য প্রকাশ করতে পারত?
উ:
→ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষার শিক্ষা দিয়ে।
→ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের একটি সভায় ডেকে গাছ ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করে।
→ গাছ লাগাও পরিবেশ বাঁচাও শ্লোগান দিয়ে।
→ ম্যাগাজিনে, পত্রিকায় পরিবেশ ও গাছ লাগানোর বিষয়ে লেখালেখির মাধ্যমে।
→ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে গাছ ও পরিবেশ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে।
→ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাদের পরিবারের সদস্যদের গাছ লাগাতে উৎসাহিত করে।
→ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা বিতরণ করে।
→ শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে, রাস্তার পাশে গাছের চারা রোপন করে।
ঘটনা : ৩
১. শিমুর বাবা কোন উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করেছে?
উ: তার ছোট ভাইকে খোঁজে পাওয়ার জন্য।
২. এখানে শিমুর বাবার কোন চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশ ঘটেছে?
উ: সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা এবং সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে বাবার সচেতনতা প্রকাশ পেয়েছে।
৩. অন্য কিভাবে শিমুর বাবা এ উদ্দেশ্য করতে পারতেন?
উ:
i. সম্ভাব্য সকল এলাকায় মাইকিং করে।
ii. পোস্টার লাগিয়ে ও বিতরণ করে।
iii. পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে।
iv. আঞ্চলিক টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে।
v. বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি দিয়ে ভিডিও তৈরি করে।
১.৩ যোগাযোগে প্রাসঙ্গিকতা
২. রাক্ষসের গিলে খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন ফিরে আসবে। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?
উ: কথাটি বলেছে “অপারেশন কদমতলী” গল্পের দাদি চরিত্রটি। হানাদার পাক-বাহিনীর দ্বারা কদমতলী এলাকার অসংখ্য মানুষের শহীদ হওয়ার প্রেক্ষিতে এ কথাটি বলেছিলেন দাদি।
এখানে রাক্ষসের গিলে খাওয়া মানুষগুলো দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন শুধুমাত্র দেশকে শত্রু মুক্ত করার জন্য। এসব শহীদ হওয়া মানুষেরা শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশের আপামর জনতা দেশকে শত্রু মুক্ত করার জন্য ঝাপিয়ে পড়বে।
সুতরাং, বলা যায় “অপারেশন কদমতলী” গল্পের দাদি চরিত্রের এই কথাটির প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।
৩. এ যুদ্ধকে বলে গেরিলা যুদ্ধ। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?
উ: কথাটি বলেছে “অপারেশন কদমতলী” গল্পের দাদি চরিত্রটি।
গেরিলা যুদ্ধারা যেকোনো যুদ্ধের চিত্র মুহুর্তের মধ্যে পরিবর্তন করে দিতে পারে। গেরিলা যুদ্ধারা সংখ্যায় কম হয়ে থাকে এবং তারা সরাসরি কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে না কিন্তু শত্রু বাহিনীর উপর অর্তকিত হামলা করে শত্রু বাহিনীর রণকৌশল একেবারে ধ্বংস করে দিতে পারে।
সুতরাং বলা যায়, দাদি চরিত্রের এই কথাটির প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।
৪. বেশি দিন আর নেই। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?
উ: কথাটি বলেছেন গল্পের শাফি ভাই। এ কথাটি দ্বারা যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ও বিজয়ের আভাসকে ইঙ্গিত করে। এ কথাটি বলেছে শাফি ভাই। “অত্যাচারী রাজা ইয়াহিয়া আর তার মন্ত্রি টিক্কা খানের রাজত্ব গেল বলে” মূলত উপরিউক্ত কথাটির নির্দেশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায় শাফি ভাইয়ের কথাটি প্রাসঙ্গিক।
৫. পাবে কী করে? ভাইয়েরা জব্বর চালাক। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?
উ: কথাটি গল্পের চন্দন চরিত্রটি।
উদ্দীপকের কথাটি দ্বারা মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের কৌশল সফল বাস্তবায়নকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। মুক্তযোদ্ধারা শত্রু বাহিনীর উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে কেউ চাষি, কেউ মাঝি, কেউ জেলেদের মতো সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়েছে। সুতরা বলা যায়, উদ্দীপকে চন্দনের কথায় প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।
১.৪ যোগাযোগে মর্যাদাসূচক শব্দ
৩. রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখিস ঠিক ফিরে আসবে।
এখানে বাক্যের মাঝে কোন ধরনের ক্রিয়ারূপ ব্যবহার করা হয়েছে?
__ঘনিষ্ঠ ক্রিয়ারূপ__
সাধারণ ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখো ঠিক ফিরে আসবে
মানী ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখবেন ঠিক ফিরে আসবে
৪. তোকে কী করতে হবে, মনে আছে তো?
এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘনিষ্ঠ সর্বনাম
সাধারণ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
তোমাকে কী করতে হবে, মনে আছে তো?
মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
আপনাকে কী করতে হবে, মনে আছে তো?
৫. ঠিক আছে, চল ঘুমাতে যাই।
এখানে কোন ধরনের ক্রিয়ারূপ ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘনিষ্ঠ ক্রিয়ারূপ
সাধারণ ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
ঠিক আছে, চলো ঘুমাতে যাই
মানী ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে? ঠিক আছে, চলুন ঘুমাতে যাই।
৬. তুই যা।
এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘনিষ্ঠ সর্বনাম
মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
আপনি যান।
সাধারণ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
তুমি যাও।
৭. খাল আর বিল পেরিয়ে তারা এগোতে লাগল ফাঁড়ির দিকে।
এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?
সাধারণ সর্বনাম
মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
খাল আর বিল পেরিয়ে তাঁরা এগোতে লাগল ফাঁড়ির দিকে
৮. তুই অপারেশনে অংশ নিয়েছিস!
এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘনিষ্ঠ সর্বনাম
মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
আপনি অপারেশনে অংশ নিয়েছেন!
সাধারণ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
তুমি অপারেশনে অংশ নিয়েছ!
১.৫ যোগাযোগের উপাদান বিশ্লেষণ
পরিস্থিতি:
অসুস্থতার জন্য স্কুলে অনুপস্থিতি ও পড়া না জানতে পারা।
যোগাযোগের উদ্দেশ্য:
পড়া জানা এবং বুঝার জন্য ক্লাসের বন্ধুর সাথে সরাসরি যোগাযোগ।
যে ধরণের চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে:
পড়ালেখা নিয়ে সচেতনতা ও সময়ানুবর্তিতা
আর কী উপায়ে যোগাযোগ করা যেত:
i. মোবাইল ফোনে কথা বলে।
ii. মোবাইল ফোনে বার্তা/টেক্সটের মাধ্যমে।
এই পরিস্থিতিতে আর কী কী করা যেত তা নিয়ে আমি আমার বাবা ও বন্ধুদের সাথে আলোচনা করেছিলাম, তাদের মতামত নিচে উল্লেখ করা হলো–
i. অনলাইনে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ইমেল, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ- এ কথা বলা।
ii. অনলাইনের বার্তা/টেক্সটের মাধ্যমে।