টেনশন হেডেক: লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা এবং ঘরোয়া প্রতিকার

টেনশন হেডেক বা টেনশন টাইপ হেডেক হল মাথাব্যথার একটি সাধারণ প্রকার, যা সাধারণত চাপ, উদ্বেগ বা শারীরিক অস্বস্তির কারণে ঘটে।

এই ধরনের মাথাব্যথা সাধারণত মাথার চারপাশে একটি চাপের অনুভূতি তৈরি করে, যা অনেকের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।

টেনশন হেডেক লক্ষণ

টেনশন হেডেকের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:

  • মাথার দুপাশে চাপ অনুভব করা।
  • মাথার মধ্যে একটি বেঁধে থাকা অনুভূতি।
  • ঘাড় বা মাথার পিছনে ব্যথা।
  • ব্যথা সাধারণত মৃদু থেকে মাঝারি হয় এবং ধীরে ধীরে শুরু হয়।

এই ব্যথাগুলি ৩০ মিনিট থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং সাধারণত দৈনন্দিন কার্যকলাপকে খুব বেশি প্রভাবিত করে না14.

টেনশন হেডেক কারণ

টেনশন হেডেকের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • মানসিক চাপ: কাজ, স্কুল, পরিবার বা সম্পর্কের চাপ।
  • শারীরিক অস্বস্তি: ঘাড় এবং মাথার পেশির টান।
  • অপর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব।
  • ক্যাফিনের অতিরিক্ত ব্যবহার: ক্যাফিন গ্রহণের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে23.

টেনশন হেডেক চিকিৎসা

টেনশন হেডেকের চিকিৎসায় বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়:

  • ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) ব্যথানাশক: প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন এবং আইবুপ্রোফেন সাধারণত প্রথম চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়34.
  • শিথিলকরণ কৌশল: যোগব্যায়াম, মেডিটেশন এবং গভীর শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করে।
  • ফিজিওথেরাপি: পেশির টান কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যথার উৎস চিহ্নিত করতে সহায়তা করে15.

ঘরোয়া প্রতিকার

টেনশন হেডেক থেকে মুক্তি পেতে কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকারও আছে:

  • ঠান্ডা বা গরম সংকোচন ব্যবহার: মাথায় বা ঘাড়ে ঠান্ডা বা গরম সংকোচন প্রয়োগ করলে আরাম পাওয়া যায়।
  • ম্যাসাজ: কোমল ম্যাসাজ করতে পারেন, যা পেশির টান কমাতে সাহায্য করে।
  • পানি পান করা: পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং মাথাব্যথা কম হতে পারে।
  • ক্যাফিন কমানো: ক্যাফিনের গ্রহণ কমিয়ে দিলে মাথাব্যথার প্রকোপ কমতে পারে24.

টেনশন হেডেক একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর চিকিৎসা ও প্রতিকার সহজলভ্য। তবে যদি মাথাব্যথা নিয়মিত হয় বা অত্যন্ত তীব্র হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।