এই পোস্টে আমরা জানব ষষ্ঠ শ্রেনীর, বিষয় বিজ্ঞান (অনুশীলন বই) এর দ্বাদশ অধ্যায়, পানির সাথে বন্ধুতা সম্পর্কে।
প্রথম সেশন
প্রশ্ন ১। ভূ-গর্ভস্থ আর ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির উৎসের মধ্যে কোন ধরনের উৎসের পানি বেশি পাওয়া যায়?
উত্তর: ভূ-গর্ভস্থ আর ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির উৎসের মধ্যে ভূ-পৃষ্ঠ উৎসের পানি বেশি পাওয়া যায়। সাগর, নদী-নালা, খাল প্রভৃতি ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তাছাড়া, ঝরনা, বৃষ্টি ইত্যাদি – পৃষ্ঠস্থ উৎস থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পাওয়া যায়। গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে ভূ-গর্ভস্থ পানি পাওয়া গেলে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির তুলনায় তা অতি নগন্য।
প্রশ্ন ২। কোন ধরনের উৎসের পানি খাওয়ার জন্য নিরাপদ?
উত্তর: ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ-পৃষ্ঠস্থ উৎসের পানির মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ উৎসের পানি খাওয়ার জন্য নিরাপদ। কারণ ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানিতে বিভিন্ন ধরনের মুলোবালি, মা আবর্জনা, রোগ জীবাণু ইত্যাদি মিশে পানি দুষিত করে। এসব পানি খাওয়ার জন্য মোটে নিরাপদ নয়। এসব পানি পান করলে নানা ধরনের রোগব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অপরদিকে ভূ-গর্ভস্থ পানিতে ধুলোবালি, ময়লা আবর্জনা, রোগ জীবাণু না থাকায় এ উৎসের পানি পান করা নিরাপদ।
★ তোমার এলাকার যেকোনো একটা জলাশয় বেছে নাও যেখানের পানি অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার। এখন ভেবে দেখো, এখানকার পানি কীভাবে বিশুদ্ধ করে ব্যবহারযোগ্য করা সম্ভব? কোন কোন কাজে এই পরিষ্কার পানি ব্যবহার করা যাবে?
নমুনা উত্তর : আমার এলাকার জলাশয় হিসেবে একটি দিঘি বেছে নিলাম। এ দিঘিটি অনেক বড় এবং এর পানি অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার। এ দিঘির পানি বিশুদ্ধ করে খাবার ও রান্না বান্নার কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।
দিঘির পানি বিশুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রথমে দিঘি থেকে পানি সংগ্রহ করব। এরপর এ পানিকে ধারন পদ্ধতির মাধ্যমে বালি ও কাদার মিশ্রণ পৃথক করতে হবে। পৃথককৃত পরিষ্কার পানি ভালোভাবে ফুটানো বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করে বিশুদ্ধ করে তা ব্যবহার করা যাবে। খাবার ও রান্নাবান্না ছাড়া এই পরিষ্কার পানি আর যে যে কাজে ব্যবহার করা যাবে তা হলো-
১. গোসল করা।
২. থালাবাসন ধোঁয়া
৩. কাপড় কাচা
৪. ঘর মোছা
৫. গবাদি পশুর পানযোগ্য হিসেবে।
দ্বিতীয় সেশন
★ জলাশয় এবং সংগৃহীত পানি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ছক-ও পূরণ কর।
নমুনা উত্তর:
ছক – ৪
জলাশয়ের ধরন | ||
জলাশয়ের পানি কি মানুষ ব্যবহার করে? | হ্যাঁ √ | না |
কী কাজে ব্যবহার করে? | গোসল করা | |
বাগানে পানি সেচ দেওয়া | ||
ফসলের জমিতে সেচ দেওয়া | ||
কাপড় কাচা, গবাদিপশু গোসল করানো। | ||
জলাশয়ের ধরন | হ্যাঁ √ | না |
জলাশয়ের আশেপাশে কী কী আছে? | ফসলের মাঠ (ধান ক্ষেত, সবজি ক্ষেত) | |
কিছু গাছপালা (ছোট, মাঝারি, বড় গাছ) | ||
কিছু নালা এসে জলাশয়ে মিশেষে। | ||
বক, হাস, ইদুর, সাপ | ||
জলাশয়ে মাছ, সাপ, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব আছে? কী কী জীব আছে? | হ্যাঁ, জলাশয়ে মাছ, সাপ, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব আছে। এছাড়া কচ্ছপ, কীটপতঙ্গ, শামুক, ঝিনুক, কচুরিপানা, টেপাপানা, শৈবাল, অণুজীব ইত্যাদি আছে। | |
পানির রং কেমন! | স্বচ্ছ ঈষৎ ঘোলাটে | |
পানিতে দুর্গন্ধ আছে? | হ্যাঁ √ | না |
পানিতে ভাসমান দ্রবীভূত ময়লা/বর্জ আছে? | হ্যাঁ √ | না |
কী ধরনের ময়লা/বর্জ্য আছে? | বাসা-বাড়ির মালা আবা গবাদিপশুর মূলমূত্র, বিভিন্ন প্রকার মৃত জীব, পলিথিন, পাখির বিষ্ঠা ইত্যাদি। |
নমুনা উত্তর:
ছক – ৫
পানি দূষণের কারণ | আবর্জনার ধরন |
১। ধূলিবালির কণা, বিভিন্ন প্রকার জীবের মৃতদেহ ফেলা, পলিথিন। | ধূলিকণা, মৃতদেহ, পলিথিন। |
২। পানিতে মলমূত্র ত্যাগ করা, গবাদি পশু গোসল করানো। | মলমূত্র। |
৩। কলকারখানার বর্জ্য, বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা পানিতে ফেলা। | কলকারখানার বর্জ্য, খাবারের উচ্ছিষ্ট, সবজি খোসা। |
তৃতীয় সেশন
★ এবার অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে দ্রবণ, মিশ্রণ, সমসত্ব-অসমসত্ব মিশ্রণ অংশটুকু ভালো করে পড়ে নাও। সমসত্ব ও অসমসত্ব মিশ্রণের আর কোনো উদাহরণ কী মনে করতে পারো? একটু ভেবে বা বন্ধুদের সাথে আলাপ করে এই দুই ধরনের মিশ্রণের যা যা উদাহরণ মাথায় আসে, নিচের ছকে লিখে রাখো।
নমুনা উত্তর:
ছক – ৬
সমসত্ব | অসমসত্ব |
উদাহরণ : পানি ও চিনির শরবত, সমুদ্রের পানি, স্যালাইন চা, দুধ, বাতাস, ঠাণ্ডা পানীয় (কোকা-কোলা, পেপসি, সেভেন আপ) | উদাহরণ : মুড়ি ও চনাচুনের মিশ্রণ ( ঝালমুড়ি) |
★ অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে দ্রবণ ধারক ও এর অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ে নাও। চিনি আর পানির দ্রবণে দ্রাবক, দ্রব আর দ্রবণ কোনটি তা কি শনাক্ত করতে পারছ? তোমার ধারণা অনুযায়ী নিচের শূন্যস্থান পূরণ কর।
নমুনা উত্তর:
চিনি + পানি = শরবত
[তুঁতে] + [পানি] = [দ্রবণ]
★ বলতো স্যালাইন ও খিচুড়ি কোনটা কী ধরনের মিশ্রণ? স্যালাইনের ক্ষেত্রে দ্রাবক ও দ্রব্য কোনটি?
নমুনা উত্তর : স্যালাইন ও খিচুড়ি হলো যথাক্রমে সমসত্ব মিশ্রণ এবং অসমসত্ব মিশ্রণ। স্যালাইনের ক্ষেত্রে দ্রাবক হলো পানি এবং দ্রব হলো স্যালাইন।
চতুর্থ সেশন
★ কখনো কি ভেবেছ পানিতে কোন কোন বস্তু গলে মিশে যায় আর কোন কোন বস্তু মিশে যায় না? অর্থাৎ পানি কী কী বস্তুকে দ্রবীভূত করতে পারে। চলো একটা পরীক্ষা করে দেখা যাক।
★ কোন কোন উপাদান পানিতে দ্রবীভূত হচ্ছে আর কোনগুলো হচ্ছে না তা ছক- এ লেখ।
নমুনা উত্তর :
ছক – ৭
দ্রব | পানিতে দ্রবীভূত হয় ( √ ) দ্রবীভূত হয় না (x) |
লেবুর রস | √ |
কপার সালফেট | √ |
স্পিরিট | √ |
গ্লুকোজ | √ |
দুধ | √ |
পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট | √ |
আটা | x |
চকের গুঁড়া | x |
হ্যান্ড স্যানিটাইজার | √ |
সিলিকা | x |
★অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের সার্বজনীন দ্রাবক অংশটুকু পড়ে নিয়ে বলো তো, গৃহস্থালির বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে আর কী কী দ্রবীভূত করতে পানি ব্যবহার করা হয়?
নমুনা উত্তর : গৃহস্থানীয় বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে যে সব পানিতে দ্রবীভূত হয় তা হলো-
১. লবণ
২. চিনি
৩. অ্যালকোহল,
৪. সাইট্রিক এসিড ও
৫. বিভিন্ন গ্যাস।
★বলো তো, কেন সমের বোতল বা ওষুধের বোতলের গায়ে লেখা থাকে ‘ব্যবহারের পূর্বে বাঁকিয়ে নিন’। তোমার উত্তর ফাঁকা জায়গায় লিখে রাখো।
উত্তর: যেসব মিশ্রণ কিছুসময় রেখে দিলে তার উপাদানগুলো পরস্পর থেকে আলাদা হয়ে পড়ে সেসব মিশ্রণকে সাসপেনশন বলে। সসের বোতল বা ওষুধের বোতলের বেলায় ঠিক একই ঘটনা ঘটে। সসের বোতল বা ওষুধের বোতল কিছু সময় রেখে দিলে এর উপাদানগুলো পরস্পর থেকে আলাদা হয়ে তলাণী আকারে নিচে পড়ে থাকে। তাই এসব খাবার খাওয়ার আগে বা পূর্বে ভালোভাবে বাঁকিয়ে নিলে উপাদানগুলো সমগ্র বোতল জুড়ে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তর জানতে আরেকটা পরীক্ষা করে দেখা যাক। একটি কাচের মাসে চিনি-পানির প্রবণ এবং অন্য একটি কাচের গ্লাসে শুধু দুধ নাও। এবার দুটি মাসের মধ্যে টর্চ দিয়ে আলো চালনা করে দেখো তো কোনো বিশেষ কিছু লক্ষ করছ কি না
নমুনা উত্তর: দুধ হলো কলয়েড এর মিশ্রণ। যখন আলো একটি সত্যিকারের দ্রবণের মধ্য দিয়ে যায়, তখন আলোটি দৃশ্যমান হবে না, কিন্তু যখন কলয়েডের মধ্য দিয়ে যাবে, তখন আলোক রশ্মি কলয়েডের সূক্ষ্ম কণাগুলো থেকে বিচ্ছুরিত হবে বলে মিশ্রণের ভেতরে সেটা দেখা যাবে। তাই মুখ কলয়েড এর মিশ্রণ বলে আলোকরশ্মি দুধের সূক্ষ্ম কণাগুলো থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে বলে দুধের ভেতর সেটা দেখা যাবে।
পঞ্চম সেশন
★ ফাঁকা জায়গায় তোমার পরিকল্পনা লিখে বা এঁকে রাখো, চাইলে বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারো।
নমুনা উত্তর :
আমার এলাকায় আমার বাড়ি পাশে একটি জলাশয় রয়েছে। এই জলাশয়ের পানিতে ক্ষুদ্র অণুজীব রয়েছে। তাছাড়া শ্যাওলা, কচুরিপানা, টেপাপানা ইত্যাদির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাসমান টুকরা পানিকে দুগিত করে। জলাশয়ের পারের গাছ থেকে পাতা জলাশয়ের পানিতে পড়ে পড়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। পানি বিশুদ্ধ করতে হলে এসব ভাসমান ক্ষুদ্র জীব ও জড় বস্তু ছাকন পদ্ধতিতে আলাদা করতে হবে।
ষষ্ঠ সেশন
এই যে তোমরা খাওয়া দাওয়া ছাড়া অন্যান্য ব্যবহারের জন্য পানি বিশুদ্ধকরণের একটা মডেল বানিয়ে ফেললে, এটা তো অন্যদেরও জানানো উচিত, তাই না? আবার ভূ-গর্ভের পানি যে সীমিত এবং আমরা যে দ্রুতই এই পানির স্তরের ক্ষতি করে ফেলছি সেটাও অন্যদের জানা উচিত। এসকল কিছু নিয়ে এক বা একাধিক তথ্যচার্ট বানিয়ে স্কুলে সবাই দেখতে পায় এমন জায়গায় প্রদর্শন করতে পারো। কিংবা তোমরা চাইলে অন্য কোনো বুদ্ধিও বের করতে পারো, ভেবে দেখো কী করতে চাও।
নমুনা তথ্য চার্ট
পরিবেশ রক্ষায় ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে। বিশুদ্ধ পানির বিশাল আধার ভূগর্ভস্থ পানি। বিশ্বের ৯৭ শতাংশ বিশুদ্ধ পানির উৎস এ ভূগর্ভস্থ পানি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ, যেমন- খাওয়ার পানি, রান্না, ধোয়ামোছা, গোসলের কাজে আমরা বাসার কল যুগলেই যে পানি পাই তার উৎস ভূগর্ভস্থ পানি। ভূগৰ্ভস্থ পানি বলতে বোঝানো হয় মাটির নিচে অবস্থিত পানিকে। বৃষ্টির পানি মাটির স্তর ভেদ করে মাটির নিচে অবস্থিত পাথর ও শিলাখণ্ডের মাঝে জমা হয়ে তা ভূগর্ভস্থ পানি রূপে জমা হয়। এ ভূগর্ভস্থ পানি আমরা কৃয়া বা পাম্পের সাহায্যে উত্তোলন করে ব্যবহার করি। কেবল দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজেই নয়, সেচ ও শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অধিকাংশ পানির জোগান আসে ভূগর্ভস্থ পানি থেকে। আমার দৈনন্দিন কাজে এভাবে অবিরামভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করতে থাকলে পানির স্তর নিচে নেমে যাবে। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। শু বুদ্ধ হয়ে মাটি রসশূন্য হয়ে পরবে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে গর্ভস্থ পানির ব্যবহার সীমিত করতে হবে। অর্থাৎ অনেক ক্ষেত্রে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। |
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। পানির অপর নাম কী?
উত্তর : জীবন।
প্রশ্ন ২। পানির প্রধান উৎস কী?
উত্তর : বৃষ্টিপাত।
প্রশ্ন ৩। আমরা দৈনন্দিন কাজে কোন ধরনের পানি ব্যবহার করি।
উত্তর: মিঠা পানি।
প্রশ্ন ৪। নলকূপের মাধ্যমে কোন ধরনের পানি উত্তোলন করা হয়?
উত্তর : ভূগর্ভস্থ।
প্রশ্ন ৫। মানবসৃষ্ট একটি পানির উৎসের নাম লেখ।
উত্তর : দিঘি।
প্রশ্ন ৬। নদীর পানি কোন পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ করা যায়?
উত্তর : ফুটিয়ে ও ছাকন পদ্ধতিতে।
প্রশ্ন ৭। বালি ও কাদার মিশ্রণ পৃথক করার প্রক্রিয়ার নাম কী?
উত্তর : ছাকন
প্রশ্ন ৮। যে বস্তু অন্য বস্তুর মধ্যে দ্রবীভূত হয় তাকে কী বলে?
উত্তর : দ্রব।
প্রশ্ন ৯। দ্রবণের ভিতর থেকে অদ্রবণীয় কঠিন পদার্থের কণাগুলোকে আলাদা করা যায় কোন প্রক্রিয়ায়?
উত্তর : ছাকন।
প্রশ্ন ১০। স্যালাইন কোন ধরনের মিশ্রণ?
উত্তর : সমসত্ত্ব।
প্রশ্ন ১১। অসমসত্ব মিশ্রণের ১টি উদাহরণ দাও।
উত্তর : খিচুড়ি।
প্রশ্ন ১২। যে মিশ্রণের উপাদানগুলো পরস্পর থেকে আলাদা হয়ে পড়ে তাকে কী বলে?
উত্তর: সাসপেনশন।
প্রশ্ন ১৩। সসের বোতল কোন ধরনের মিশ্রণ
উত্তর : সাসপেনশন
প্রশ্ন ১৪। দুধ কোন ধরনের মিশ্রণ
উত্তর : কলয়েড।
প্রশ্ন ১৫। সমুদ্রের পানি কোন ধরনের মিশ্রণ?
উত্তর : সমসত্ব।