প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও আমরা রমজান মাস পেয়েছি, রোজা রাখার,ইফতার – সেহেরি করার তৌফিক দিয়েছে মহান আল্লাহ, তাই আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া জানায়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছর ১২ মার্চ থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান। এই পুরো এক মাস পালিত হবে রোজা। ইবাদতে মশগুল থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। রোজার সময় সেহরি ও ইফতার রোজাদারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা দীর্ঘ ১ মাস রোজা রাখব। ইফতার সেহরি করব ইনশাআল্লাহ। তাই আমাদের প্রত্যেকের রোজা ও ইফতারের দোয়া বা নিয়ত জানা অত্যন্ত জরুরি।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক রোজা ও ইফতারের দোয়া বা নিয়ত।
রোজার আরবি নিয়ত:
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের দোয়া
بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
ইফতারের পরের দোয়া
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা.) যখন ইফতার করতেন, তখন বলতেন-
ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ
বাংলা উচ্চারণ : জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতাল্লাতিল উ’রুকু; ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থ : ‘(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৭)
আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে ৩০ রোজা রাখার তৌফিক দান করুক, আমিন।