এই পোস্টে আমরা জানব ষষ্ঠ শ্রেনীর, বিষয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা এর চর্তুথ অধ্যায়, চলো নিজেকে আবিষ্কার করি সম্পর্কে।
এক নজরে আমি
নমুনা উত্তর:
আমার ছবি :(নিজেদের ছবি দিবে)
আমার নাম : মোহাম্মদ রাকিব
প্রিয় খাবার : নুডুলস
প্রিয় খেলা : ফুটবল
জন্ম তারিখ: ১২/০৬/২০১২ ইং
আমার শখ : ছবি আকাঁ
প্রিয় মানুষ : আমার মা
প্রিয় ফুল : গোলাপ
আমার ভালো লাগে যখন কেউ আমাকে:
★উপহার দেয়
★ উৎসাহ দেয়
আমার ভালো লাগেনা যখন কেউ আমাকে:
★বিরক্ত করে
★খারাপ আচরণ করে
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য একজন প্রতিনিধি বা ক্যাপ্টেন নির্বাচন করা হবে। শিক্ষার্থী ক ও শিক্ষার্থী খ ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী। ক্যাপ্টেন হবার জন্য তারা দুজনই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন শিক্ষক শ্রেণির বাকি শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব দিয়েছেন ক্যাপ্টেন নির্বাচন করার। যেহেতু ক্লাসে দুজনই বেশ জনপ্রিয়, তাই শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে।
এবার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১) আমি কাকে ক্যাপ্টেন বানাতাম?
উত্তর: আমি ক এর বৈশিষ্ট্যধারী শিক্ষার্থীকে ক্যাপ্টেন বানাতাম।
২) তার কোন কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য আমি তাকে নির্বাচন করতাম এবং কেন?
উত্তর: শিক্ষার্থী ক এর আন্তরিকতা, সততা, নিষ্ঠার মতো মানসিক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমি তাকে ক্যাপ্টেন হিসেবে নির্বাচন করতাম। কারণ সে যেকোনো বিপদে ও প্রয়োজনে সবাইকে সহায়তা করে। সহপাঠীরা কিছু বুঝতে চাইলে সহজেই বুঝিয়ে দেয় এবং সবসময় সততা আর নিষ্ঠার সাথে কাজ করে।
শারীরিক ও মানসিক গুণ ও বৈশিষ্ট্য
মানুষের শারারিক ও মানসিক গুণ ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে নিচে কিছু শব্দ নেওয়া আছে। আমরা নিজের বুদ্ধি, চিন্তাকে। কাজে লাগিয়ে যে ঘরে যেটা প্রযোজ্য সেটা লিখে ফেলি-
উত্তর:
বাহ্যিক (শারীরিক) বৈশিষ্ট্য ১। আকৃতি ২। বলিষ্ঠ ৩। চেহারার গড়ন ৪। উচ্চতা ৫। গায়ের রঙ | অভ্যন্তরীন (মানসিক) বৈশিষ্ট্য ১। উদার ২। জেদি ৩। আন্তরিক ৪। লাজুক ৫। চিন্তাশীল ৬। দয়ালু ৭। স্বার্থপর ৮। পরোপকারী |
আমার মতে একজন মানুষের প্রয়োজনীয় গুণাবলি
নিচে ছকে মানুষের কিছু গুণ ও বৈশিষ্ট্যের তালিকা দেওয়া আছে। আর তার নিচে একটি গাছের ছবি দেখতে পাচ্ছি, যেখানে দুই রঙের পাতা আছে সবুজ ও হলুদ পাতা।
তালিকায় দেওয়া যেসব গুণ ও বৈশিষ্ট্যকে আমি ইতিবাচক বা প্রয়োজনীয় মনে করি, তা সবুজ রঙের পাতায় লিখি। আর যে বৈশিষ্ট্যগুলো উপকারী বা প্রয়োজনীয় মনে করি না, তা হলুদ রঙের পাতায় লিখি। –
গুন/বৈশিষ্ট্যের তালিকা
সবুজ পাতা:
- অহংকারী
- হিংসা করা
- অতিরিক্ত মেজাজ দেখানো
- বিরক্তিকর
- অন্যকে ছোট করে দেখা
- মিথ্যা বলা
- নিষ্ঠুর
- লোভী জেদ করা
হলুদ পাতা:
- বন্ধুত্বপরায়ণ
- সাহসী
- নিষ্ঠাবান
- হাসি-খুশি
- সৎ
- দয়ালু
- সত্যবাদী
- ভদ্র
- চিন্তাশীল
- পরিচ্ছন্ন থাকা
- সকলের প্রতি যত্নশীল
- বিশ্বস্ত
- আশাবাদী
- যৌক্তিক
সবুজ রঙের পাতা : ইতিবাচক গুণ বা প্রয়োজন মনে করি।
হলুদ রঙের পাতা : উপকারী বা প্রয়োজনীয় গুণ মনে করি না।
👉 https://studyian.com/onuvuti-o-proiujoner-kotha-boli-class6/
নিজের গুণ বা সুপার পাওয়ারগুলো কী কী তা ভেবে বের করি। সেই সাথে আমি আর কোন কোন গুণ বা বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জন করতে চাই তা ভেবে নিচের ছক দুটি পূরণ করি।
উত্তর:
আমার কী গুণ বা ভালো বৈশিষ্ট্য আছে | কোন গুণ বা ভালো বৈশিষ্ট্যগুলো আমি চাই |
১. আমি সদাসর্বদা সত্য কথা বলি। | ১. আমি সর্বদা সৎ থাকতে চাই। |
২. আমি কাউকে ধোকা দিই না। | 2. আমি সকল বিষয়ের প্রতি যত্নশীল থাকতে চাই। |
৩. কখনো অহংকার করি না। | ৩. সব সময় হাসি-খুশি থাকতে চাই। |
৪. আমি সব সময় পরিষ্কার থাকি। | ৪. আমি বন্ধুত্বপরায়ণ হতে চাই। |
৫. আমি বন্ধুদের সাথে অভদ্র আচরণ করি না। | ৫. আমি পরোপকারী হতে চাই। |
প্রশ্ন: তোমার সুপার পাওয়ারগুলো তুমি কীভাবে কাজে লাগাবে তা ভেবে নিচে লিখ।
উত্তর: আমার সুপার পাওয়ারগুলো বাস্তবজীবনে যেভাবে কাজে লাগাব তা নিচে দেয়া হলো-
১. আমি জীবনে যত বড় সমস্যার মুখোমুখি হই না কেন, আমি সবসময় সত্য কথা বলব। কখনো মিথ্যা কথা বলব না।
২. আমার কোনোকিছু নিয়ে আমি কখনো অহংকার করব না।
৩. কখনো কারো সাথে অতিরিক্ত মেজাজ দেখাব না।
৪. কারো কোনোকিছু আমার কাছে পছন্দ হলে বা লোভনীয় হলেও আমি ঐ জিনিসের প্রতি লোভ করব না।
৫. অযথা কোনো খরচ করব না, মিতব্যয়ী থাকার চেষ্টা করব।
৬. সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করব।
৭. যে যতই ছোট কাজ করুক না কেন, অন্যকে কখনো ছোট করে দেখব না ।
৮. পরিবার এবং পরিবারের বাইরে যারা রয়েছে, সব সময় সকলের প্রতি যত্নশীল হওয়ার চেষ্টা করব।
৯. ঘরে এবং ঘরের বাইরে সবসময় ভদ্র থাকার চেষ্টা করব।
১০. সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলার চেষ্টা করব এবং সবসময় হাসি-খুশি থাকব।
নিজের একান্ত কাছের তিনজন মানুষকে বেছে নাও যারা তোমার বিষয়ে সঠিক তথ্য দেবে বলে তুমি মনে কর। এ তিনজনের একজন তোমার পরিবারের, একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও একজন কাছের বন্ধু। তাদের কাছ থেকে ভূমি তোমার সম্পর্কে জানবে। চলো দেখো তারা কী বলে। সেগুলো নিচে লিখ ।
উত্তর:
কাছের মানুষের নাম আমি যার কাছ থেকে আমার সম্পর্কে জেনেছি | আমার কোন ভালো গুণ বা বৈশিষ্ট্যগুলো আছে | আর কোন গুণ বা বৈশিষ্ট্যগুলো আমার থাকলে ভালো হতো |
পরিবারের যার সাথে কথা বলেছি: আমার আব্বুর সাথে | ১। হাসি-খুশি থাকা। ২। সত্য কথা বলা। ৩। সাহসিকতা। ৪। বিশ্বস্ততা | ১। অন্যকে ছোট করে না দেখা। ২। সকলের প্রতি যত্নশীল হওয়া। |
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে যার সাথে কথা বলেছি: শ্রেণিশিক্ষক শাহজাহান স্যারের সাথে | ১। ভদ্র ২। আশাবাদী ৩। সৎ ৪। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা | ১। নিষ্ঠাবান ২। চিন্তাশীল |
প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে যার সাথে কথা বলেছি: রাফসানের সাথে | ১। বিশ্বস্ততা ২। বন্ধুত্বপরায়ণ ৩। সাহসিকতা ৪। দয়ালু | ১। মিবায়ী ২। সকলের প্রতি যত্নশীল হওয়া |
একনজরে দেখে নেই আমার সুপার পাওয়ার গুণগুলো:
উত্তর: সত্যবাদীতা, হাসি -খুশি, সাহসিকতা, বিশ্বস্ততা, ভদ্র আশাবাদী, সৎ, বন্ধুত্বপরায়ন, পরিচ্ছন্ন থাকা।
নিচের দুটি গুণ আমার মধ্যে থাকা দরকার বলে আমি মনে করি:
১। সকলের প্রতি যত্নশীল হওয়া।
২। মিতব্যয়ী।
ঘটনা ১: আমার ভালো লাগে না যখন কেউ আমাকে আমার উল্লেখ করা প্রথম ঘটনা।
এই ওয়ার্কশিটটি ব্যবহার করে আমার গুণ/সুপার পাওয়ার কাজে লাগিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করব। মানে আমার ভালো লাগে না যখন কেউ আমাকে …… এ আমার উল্লেখ করা প্রথম ঘটনার মতো কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতি হলে আমি কেমন ব্যবহার করবো- সেটা নিচে তুলে ধরা হলো:-
উত্তর:
যদি কেউ আমাকে বিরক্ত করে তাহলে আমি তাকে বিরক্ত করতে নিষেধ করব এবং বলব কাউকে বিরক্ত করা ঠিক নয়। বিরক্ত করলে অনেক খারাপ লাগে। (বিনয়ের সাথে বললে ঐ ব্যক্তি আর বিরক্ত করবে না। )
নিরাপদ স্থান (যেখানে আমি যেতে পারি) আমার বাড়ি।
নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি (বয়সে বড় কোনো ব্যক্তি যার সাথে আমি এই বিষয়ে কথা বলতে পারি) আমার বাবা।
ঘটনা ২: আমার ভালো লাগে না যখন কেউ আমাকে …. আমার উল্লেখ করা হয় না।
উত্তর:
এই ওয়ার্কশিটটি ব্যবহার করে আমার গুন/সুপার পাওয়ার কাজে লাগিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করব। যেখানে আমার ভালো লাগে না যখন কেউ আমাকে, ” আমার উল্লেখ করা দ্বিতীয় ঘটনার মতো কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতি হলে আমি কেমন ব্যবহার করব সেটা নিচে তুলে ধরব-
~~যখন কেউ আমাকে গালি দেয় আমার উল্লেখ করা দ্বিতীয় ঘটনার মতো কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতি হলে আমি কেমন ব্যবহার করব সেটা নিচে তুলে ধরব-
~~যদি কেউ আমাকে গালি দেয় তাহলে আমি তাকে গালি দিতে বারণ করব এবং বলব যে গালি দিলে গুনাহ হয়। মানুষ খারাপ বলে। গালি দেওয়া ঠিক নয়।
নিরাপদ স্থান (যেখানে আমি যেতে পারি) আমার বাড়ি।
নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি (বয়সে বড় কোনো বাক্তি যার সাথে আমি এই বিষয়ে কথা বলতে পারি) আমার বাবা।
👉 https://studyian.com/cholo-bondhu-hoi-class6/
আমার গুণ/সুপার পাওয়ার কাজে লাগানোর চর্চা
আমাদের গুণ বা সুপার শাওয়ার কীভাবে কাজে লাগার তার পরিকল্পনা খুব সুন্দর ভাবে করলাম। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে গুণগুলো আমরা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারব। নিচের ছকের মতো করে আামার ডায়েরি বা জানালে সামনের দুই সপ্তাহ কোন কোন পরিস্থিতিতে এই গুনগুলোর চর্চা করছি, সেটা লিখব এবং শিক্ষককে দেখাব-
উত্তর:
পরিস্থিতি বা ঘটনা | গুণ/সুপার পাওয়ার কীভাবে ব্যবহার করেছি। | গুণ/সুপার পাওয়ার ব্যবহার করে আমার কেমন লেগেছে |
ঘটনা ১ : সজিব সবসময় সাজুকে বিভিন্ন খারাপ কথা বলে বুলিইং করে। তাই সাজু কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসতেছে না। শিক্ষক ক্লাসে সাজুর না আসার কারণ জানতে চাইলে আমি শিক্ষককে পুরো ঘটনাটি সবার সামনে বলি। | এই ঘটনায় আমি আমার সাহসিকতা ও সত্যবাদিতার “গুণ/সুপার পাওয়ার ব্যবহার করেছি। | সুপার পাওয়ার ব্যবহার করে আমার খুবই ভালো লেগেছে। |
ঘটনা ২: বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আমি টাকা ভর্তি একটি মানিব্যাগ পাই। মানিব্যাগটি যখন পাই তখন আমার আশেপাশে কেউ ছিল না। আমি মানিব্যাগটি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে দিয়ে দিলাম। | এই ঘটনায় আমি সৎ ও সততার পরিচয় দিয়েছি। | সুপার পাওয়ার ব্যবহার করে আমার আনন্দ লেগেছে। |
ঘটনা ৩: আমাদের ক্লাসে নতুন একজন ছাত্র এসেছে। কিন্তু কেউ তার সাথে মিশতে চায় না। কারণ সে মোটা আর একটু অপরিচ্ছন্ন থাকে। কিন্তু আমি তার সাথে মিশি এবং সে আমার একজন বন্ধু হয়ে গিয়েছে। | এই ঘটনায় আমি বন্ধুত্বপরায়ণ গুণ/সুপার পাওয়ার ব্যবহার করেছি। | সুপার পাওয়ার ব্যবহার করে আমার খুবই ভালো লেগেছে। |