দেহঘড়ির কলকব্জা – সমাধান | বিজ্ঞান – অনুশীলন বই | ১১ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

দেহঘড়ির কলকব্জা - সমাধান | বিজ্ঞান - অনুশীলন বই | ১১ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

এই পোস্টে আমরা জানব ষষ্ঠ  শ্রেনীর, বিষয় বিজ্ঞান (অনুশীলন বই) এর একাদশ অধ্যায়, দেহঘড়ির কলকব্জা সম্পর্কে।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন

প্রথমেই বাইরে থেকে সাদা চোখে তোমার নিজ শরীরের কোন কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখতে পাও সেগুলো একটু মনে করে দেখো। খেয়াল করলে দেখবে, এসব অংশই আমাদের কোনো না কোনো কাজে লাগে, যেমন- চোখ দিয়ে আমরা দেখি, কান দিয়ে আমরা শুনি। এরকমভাবে বাহ্যিক অন্যান্য অংশ আমাদের কী কাজে লাগে সেটা একটু ভালো করে চিন্তা করো। চিন্তা করে যা পেলে তা নিচের থাকে টুকে রাখো-

নমুনা উত্তর :

বাইরে থেকে শরীরের যেসব অঙ্গ দেখতে পাওএগুলো তোমার যা যা কাজে লাগে
মাথাএটি আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্রীয় অঙ্গ। আমাদের চিন্তাভাবনা থেকে শুরু করে হাঁটা চলা দৃশ্যমান অদৃশ্যমান সমস্ত কার্যকলাপ মাথা দ্বারা পরিচালিত হয়।
চোখচোখ দিয়ে আমরা চারপাশের বিভিন্ন বস্তু দেখি, সিনেমা দেখি, বই পড়ি, কার্টুন দেখি,কষ্ট পেলে কান্না করি ইত্যাদি।
কানকান নিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের শব্দ শুনি, গান শুনি, কথা শুনি, পড়া শুনি ইত্যাদি ।
নাকএর সাহায্যে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস কার্যক্রম চালাই। এছাড়াও নাক দিয়ে আমরা বিভিন্ন পদার্থের ঘ্রাণ নিয়ে থাকি। যেমন- ফুলের সুগন্ধ খাবারের গন্ধ, পারফিউমের গন্ধ ইত্যাদি।
হাতহাত দ্বারা আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করি। যেমন- লেখা, খাবার খাওয়া, কাপড় কাচা ইত্যাদি।
পাপা দ্বারা হাটা, দাঁড়ানো, দৌড়ানো, ফুটবল খেলা, স্কুলে যাওয়া ইত্যাদি কাজ করে থাকি।
মূখমুখ দিয়ে খাবার গ্রহণ করি, মুখ গহ্বরের ভেতরের জিহবা দ্বারা আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ বুঝতে পারি, কথা বলি ইত্যাদি।
নখএটা শুধু সৌন্দর্য নয়। এটা আমাদের প্রতিরক্ষার বড় অংশ। এটা যদি না থাকতো হাত দ্বারা কাজ করা কঠিন হয়ে যেত এবং রক্তক্ষরণ হতো।
ত্বকএটি আমাদের শরীরে প্রতিরক্ষা দেওয়াল তৈরি করে। ক্ষতিকর অণুজীব এবং রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

★ শরীরের ভেতরের রুপকথার কথা আসা যাক। যেমন ধরো- আমাদের হাত বা পা তো বাইরে থেকেই দেখা যায়, কিন্তু আমাদের মাথার ভেতরে থাকা যে মহাপূর্ণ মস্তিষ্ক, সেটা কি আমরা বাইরে থেকে দেখতে পাই। এরকম আমাদের শরীরের আরও অনেক অঙ্গই তো আছে যেগুলো বাইরে থেকে আমরা দেখি না, সেগুলো ঠিক কাজ না করলে আমরা অচল হয়ে পড়ব। আগের মতোই এবার শরীরের ভেতরের যেসব অঙ্গের কথা মনে পড়ে, সেগুলো নিচের ছকে টুকে রাখো-

নমুনা উত্তর :

শরীরের ভেতরে যেসব অঙ্গ রয়েছেএগুলো তোমার যা যা কাজে লাগে
হৃতপিন্ডএটি আমাদের সারাদেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পরিবহন করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডসমৃদ্ধ তন্ত্রকে ফুসফুসের মাধ্যমে বাইরে বের করে দেয়।
ফুসফুস ফুসফুসের মাধ্যমে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস পরিচালনা করি।
হাড় বা কঙ্কালএটি আমাদেরকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে, হাটতে ও চলাফেরা করতে সাহায্য করে। এছাড়া আমাদের শরীরের সকল অভ্যন্তরীণ অঙ্গকে সুরক্ষিত রাখে।
মস্তিষ্ক মস্তিষ্কের কাজ হলো স্নায়ুতন্তু ও মেরুরজ্জুর মাধ্য প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আমাদের অনুভূতি আর সাড়া দেওয়ার তাড়না সৃষ্টি করা।
পাকস্থলী এটি আমাদের গ্রহণ করা খাদ্যকে ব্যবহারযোগ্য পুষ্টি উপাদানে ভেঙে দেয়, যা পরে আমাদের শরীরে শোষিত হয়।
বৃক্ক বা কিডনি বৃক্ক মূত্র উৎপাদন এবং রক্ত থেকে ক্ষতিকর নাইট্রোজেন যৌগ ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ মুত্রের মাধ্যমে বাইরে অপসারণ করাই বৃক্কের প্রধান কাজ।
যকৃত বা লিভারযকৃত পিত্তরস তৈরি করে খাদ্য পরিপাকে অংশ নেই, চর্বি জাতীয় খাদ্যকে ক্ষুদ্র দানায় পরিণত করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
অগ্ন্যাশয় অগ্ন্যাশয়রসে বিদ্যমান এনজাইম শর্করা, আমিষ এবং স্নেহজাতীয় খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। এছাড়াও রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী নিঃসৃত করে।

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন

এই সেশনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই সেশন শুরু হওয়ার আগেই নিজের দলের সকল প্রস্তুতি নিয়ে নাও। তোমাদের দলের যুক্তিগুলো সাজিয়ে নাও, কীভাবে অন্যদের বোঝাবে যে মানুষের সারা শরীরে তোমরাই সবচেয়ে জরুরি অঙ্গ। নিচের ছকে তোমাদের দলের নামসহ অন্যান্য তথ্য লিখে রাখো, যাতে পরে যুক্তিগুলো হারিয়ে না ফেলো।

নমুনা উত্তর :

১) হৃৎপিন্ড

দলের নাম :হৃৎপিন্ড
নির্ধারির আঙ্গের বর্ণনা :হূৎপিণ্ড বক্ষ গহ্বরের বাম দিকে দুই ফুসফুসের মাঝখানে অবস্থিত একটি ত্রিকোণাকার ফাপা অঙ্গ। এটি হৃতপেশি নামক এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে গঠিত। হূৎপিণ্ড পেরিকার্ডিয়াম নামক পাতলা পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে। হৃৎপিণ্ড-প্রাচীরে থাকে তিনটি স্তর, বহির বা এপিকার্ডিয়াম, মধ্যস্তর বা মায়োকার্ডিয়াম এবং অন্তঃস্তর বা এন্ডোকার্ডিয়াম।
কোনো তন্ত্রের অংশ? এই তন্ত্র শরীরে কী কী কাজ করে।এটি সংবহনতন্ত্রের অংশ। হূৎপিন্ড, রক্ত এবং রক্তনালিগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয় সংবহনতন্ত্র। শরীরের বিভিন্ন অংশে পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দেওয়া বর্জ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা, সবসময় যে একই থাকে (জ্বর ছাড়া) তা নির্ণয় করে।
কেন সবচেয়ে বেশি দরকারি অঙ্গ?মানব শরীরে অন্যন্য সকল অঙ্গাণুর তুলনায় হৃৎপিণ্ড সবচেয়ে বেশি দরকারি অঙ্গ। কারণ প্রাণের অস্তিত্বের শুরুতেই যে অম্লাণুর উৎপত্তি হয় তা হলে হূৎপিণ্ড। পিণ্ডের স্পন্দনের মাধ্যমেই আমরা প্রাণের উপস্থিতি বুঝতে পারি। এ অ্যাপুর স্পন্দন একবার শুরু হলে মৃত্যুর মাধ্যমেই এর সমাপ্তি ঘটে। অর্থাৎ হৃদস্পন্দন যতক্ষন চলে ততোক্ষণ পর্যন্ত প্রাণীকে জীবিত বলা হয়। আর যখনই হূৎস্পন্দন একেবারে বন্ধ হয়ে যায় তখনই প্রাণীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এ কারণেই হূৎপিণ্ডকে সবচেয়ে বেশি দরকারি অংশ বলা হয়।

২) ফুসফুস 

দলের নাম :ফুসফুস 
নির্ধারির আঙ্গের বর্ণনা :এটি দুই ভাজবিশিষ্ট একটি পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। যার নাম প্লুরা। এটি দেখতে কচুপাতা আকৃতির। এটি অসংখ্য রক্ত জালিকা ও রত্নফিন্নি দিয়ে গঠিত। এর মধ্যে অবস্থান রক্ষাহারে। এর থাকে অসংখ্য বায়ুথলি, অতি সূক্ষ্ম শ্বাসনালি।
কোনো তন্ত্রের অংশ? এই তন্ত্র শরীরে কী কী কাজ করে।এটি শ্বসনতন্ত্রের অংশ। শ্বসনতন্ত্র বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন-ডাই অক্সাইড বাতাসে ফিরিয়ে দেয়। এটি শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কাজ করে থাকে, যা মানব শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি কাজ।
কেন সবচেয়ে বেশি দরকারি অঙ্গ?মানুষ বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং ক্ষতিকর কার্বনডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। অক্সিজেন ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। এই অক্সিজে আমরা বায়ু থেকে ফুসফুস দ্বারা গ্রহণ করি। তাই ফুসফুস সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় অম্লাণু।

৩) মস্তিষ্ক 

দলের নাম :মস্তিষ্ক 
নির্ধারির আঙ্গের বর্ণনা :সুষুম্নাকান্ডের শীর্ষে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে স্ফীত অংশ করোটির মধ্যে অবস্থান করে, তাকে মস্তিষ্ক বলে। ব্রুন অবস্থায় সুষুম্নাকান্ডের আগ্রবর্তী দণ্ডাকার অংশ ভাঁজ হয়ে পর পর ৩টি বিষমাকৃতির স্ফীতি তৈরি করে। স্ফীতি ৩টি নিলেই গঠিত হয় মস্তিষ্ক। সামনের দিক থেকে স্ফীত অংশ ৩ টি হচ্ছে অগ্রমস্তিস্ক, মধ্যমস্তিষ্ক ও পশ্চাতমস্তিস্ক। ভ্রুণ যত পরিণত হতে থাকে মস্তিস্কের বিভিন্ন অংশের জটিলতাও তত বাড়তে থাকে প্রাপ্তবয়স্ক লোকে মস্তিষ্কের আয়তন প্রায় ১৫০০ ঘন সেন্টিমিটার, গড় ওজন প্রায় ১.৩৬ কেজি এবং এতে প্রায় ১০ বিলিয়ন (এক হাজার কোটি) নিউরন থাকে। মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্রের সবচেয়ে বড় জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কোনো তন্ত্রের অংশ? এই তন্ত্র শরীরে কী কী কাজ করে।মস্তিষ্ক বায়ুতন্ত্রের অংশ। আমরা যে চিন্তা করতে পারি, সিদ্ধান্ত নিতে পারি, কারও ডাকে সাড়া দিতে পাড়ি শীত-গরম উপলব্দি করতে পারি তা সম্ভব হয় আমাদের মায়ুতন্ত্রের কারণে। এ তন্ত্রের সবচেে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশই হলো মস্তিষ্ক।
কেন সবচেয়ে বেশি দরকারি অঙ্গ?মস্তিষ্ক আমাদের সবচেয়ে বেশি সরকারি অ কারণ মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে অনুভূতি আর সাড়া দেওয়ার তাড়না সৃষ্টি করে। এছাড়াও মস্তিষ্ক আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতাশের যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্র করে। এ জন্যই মস্তিষ্ক বেশি দরকারি অঙ্গ।

৪) পাকস্থলী 

দলের নাম :পাকস্থলী 
নির্ধারির আঙ্গের বর্ণনা :ডায়াফ্রামের নিচে অন্ননালি এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের মাঝখানে একটি থলির মতো অন্য। এর প্রাচীর পুরু ও পেশিবহুল। এটি দেখতে ইংরেজি অক্ষরের মতো। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ সে.মি. এবং প্রশ্ন প্রায় ১৫ সে.মি.। তবে ি শিশুর দেহে পাকস্থলীর ধারণক্ষমতা থাকে ৩০ মি.লি.. বয়ঃসন্ধিকালে হয় ১ মিটার এবং প্রাপ্ত বয়সে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১.৫-২ লিটার।
কোনো তন্ত্রের অংশ? এই তন্ত্র শরীরে কী কী কাজ করে।পাকস্থলী পরিপাক বা পাচনতন্ত্রের অংশ। আমরা শুদা পেলে খাবার খাই। এই খাবার কিন্তু সরাসরি সামাদের কানে এ খাবার থেকে শক্তি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে শরীরের কাজের জন্য উপযোগী করে আমাদের পরিপাকতন্ত্র। এই তন্ত্র আমাদের গ্রহণ করা দাদাকে ব্যবহারযোগ্য পুষ্টি উপাদানে ভেঙে দেয়, যা পরে আমাদের শরীরে শোষিত হয়।
কেন সবচেয়ে বেশি দরকারি অঙ্গ?পাকস্থলী আমাদের দেহের অন্যান্য সকল অঙ্গের জন্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে থাকে। যার ফলে আমরা সুস্থ থাকি। এজন্য পাকস্থলী আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি সরকারি অঙ্গ।

৫) বৃক্ক বা কিডনি

দলের নাম :বৃক্ক ও কিডনি 
নির্ধারির আঙ্গের বর্ণনা :বাহ্যিক গঠন মানবদেহের বক্কপিঞ্জরের ঠিক নিচে উদর গহ্বরের পেছনের দিকে মেরুদণ্ডের দু’পাশে একটি করে মোট দুটি বৃক্ক অবস্থান করে। সাধারণত বৃকটি ডান বৃক্ক অপেক্ষা কিছুটা বড়। বুঝ দেখতে অনেকটা শিম বীজের মতো এবং গাঢ় লালচে বাদামি বর্ণের একটি পরিণত বৃক্কের দৈর্ঘ্য প্রাই ১০-১২ সেন্টিমিটার, প্রস্থ প্রায় ৫-৬ সেন্টিমিটার এবং পুরত্ব প্রায় ৩ সেন্টিমিটার। পুরুষের একটি বুজের ওয়ান প্রায় ১৫০ ১৭০ গ্রাম এবং স্ত্রীলোকের প্রায় ১৩০ – ১৫০ গ্রাম হয়। এর পার্শ্বদেশ উত্তল, ভিতরের দিক অবতল। অবতল আংশের ভাঁজকে হাইলাস (Hilus) বা হাইলাম (Hilum) বা বৃক্ক নাভী বলে।
কোনো তন্ত্রের অংশ? এই তন্ত্র শরীরে কী কী কাজ করে।বৃক্ক বা কিডনি রেচনতন্ত্রের অংশ। আমাদের শরীর থেকে তরল বর্জ্য বা মুত্র যাতে শরীরের বাইরে বের হয়ে আসতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের রেচনতন্ত্র কাজ করে, যা মূলত আমাদের বৃদ্ধ (Kidney), মূত্রনালি (Ureter) এবং মুত্রথলি (Bladder) ইত্যাদি অ মিলে তৈরি হয়। মুত্র উৎপাদন এবং এর মাধ্যমে বস্তু থেকে ক্ষতিকর নাইট্রোজেন যৌগ এবং অন্যান্য বর্জ্য অপসারণ করে এই তন্ত্র। 
কেন সবচেয়ে বেশি দরকারি অঙ্গ?শরীরের অতিরিক্ত পানি, লবণ এবং জৈব পদার্থগুলো সাধারণত রেচনের মাধ্যমে দেহ থেকে বের করে দিয়ে বৃত্ত দেহের শারীরবৃত্তীয় ভারসাম্য রক্ষা করে এবং শরীর সুস্থ রাখে। এজন্য পাকস্থলী সবচেয়ে বেশি দরকারি অঙ্গ।

৬) হাড় বা কঙ্কাল

দলের নাম :হাড় বা কঙ্কাল 
নির্ধারির আঙ্গের বর্ণনা :একটি ঘর তৈরি করতে হলে প্রথম এর কাঠামো বানাতে হয়। আমাদের দেহের কাঠামো হলো কঙ্কাল (Skeleton) লম্বা, ছোট, চ্যাপ্টা এবং অসমান মোট ২০৬টি অস্থি দিয়ে পূর্ণবয়স্ক মানুষের কঙ্কাল গঠিত হন। শিশুর কঙ্কালে অস্থির সংখ্যা আরও বেশি থাকে। প্রায় ৩০০টি।
কোনো তন্ত্রের অংশ? এই তন্ত্র শরীরে কী কী কাজ করে।হাড় কঙ্কালতন্ত্রের অংশ। আমাদের শরীরের হাড় বা এবং তার সাধের মাংশপেশি মিলে যে তন্ত্র তৈরি করে তাকে পেশিতন্ত্র বলে। এটি কঙ্কালতন্ত্রের ে মিলে শরীরকে চলাচলে সাহায্য করে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গানুগুলোকে রক্ষা করে।
কেন সবচেয়ে বেশি দরকারি অঙ্গ?হাড় বা কঙ্কাল মানবদেহকে নির্দিষ্ট আকার শরীরের কী কেন সবচেয়ে বেশি দরকারি? দেয়। এছাড়াও শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন- হূৎপিন্ড, ফুসফুস, পাকস্থলী, অ মস্তিষ্ক ইত্যাদিকে স্বপ্ন অবস্থানে সুরক্ষিত রাখতে কঙ্কালের বিকল্প নেই। এজন্যই হাড় বা কঙ্কাল সবচেয়ে বেশি দরকারি অঙ্গ।

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন

ছোট একটা কুইজ তোমরা যে ছয়টি অঙ্গের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করলে, সেগুলো সরাসরি ছয়টি তন্ত্রের কাজ অংশ নেয়। কিন্তু এর বাইরেও আরও তিনটি তন্ত্র রয়েছে যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করে। অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে নিশ্চয়ই এর মধ্যেই তোমরা সেগুলো সম্পর্কে জেনে গেছ। থাক এই তিনটি তন্ত্রের নাম লিখে, এদের কাজ কী তা একদম অল্প কথায়, নিজের ভাষায় দু-তিন লাইন টুকে রাখো-

নমুনা উত্তর :

তন্ত্রের নামকাজ
ত্বকতন্ত্র১. বাইরের জগতের সঙ্গে আমাদের শরীরের একটা আবরণ বা প্রতিরক্ষা দেওয়াল তৈরি করে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। 
২. ক্ষতিকর অণুজীব এবং রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। 
৩. শরীরকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এবং এর প্রভাবে সৃষ্ট রোগ ক্যান্সার হতে দেহকে রক্ষা করে।
অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র১. শরীরের বিভিন্ন প্রকৃয়া সমন্বয়ের জন্য অন্তঃক্ষরা প্রতি রাসায়নিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে। 
২. এ গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয়।
প্রজননতন্ত্র ১. সকল জীবের মতো মানুষের সংখ্যাবৃদ্ধির মাধ্যমে মানব প্রজাতির ধারাবাহিকতাকে নিশ্চিত করে।
২. প্রজাতির ধারাকে বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। 
৩. নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত নতুন প্রজাতি সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্যামেট (অর্থাৎ শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) তৈরি করে।

সংক্ষেপে উত্তর দাও

প্রশ্ন ১: কোষ কী?

উত্তর: কোষ হলো জীবের ক্ষুদ্রতম জীবিত একক।

প্রশ্ন ২। পেশি কলা কাকে ?

উত্তর : ঘূর্ণায় মেসোডার্ম থেকে তৈরি সংকোচন-প্রসারণশীল বিশেষ ধরনের কলাকে পেশি কলা বলে।

প্রশ্ন ৩। নার্ভ টিস্যু কাকে বলে। 

উত্তর: যেমন টিস্যু আমাদের শরীরের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুতন্ত্র তৈরি করে সেসব টিস্যুকে নার্ভ টিস্যু বলে।

প্রশ্ন ৪। কানেক্টিভ টিস্যু কী

উত্তর: যেসব টিস্যু দূরবর্তী কোষগুলোকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংযুক্ত করে এবং শরীরের কাঠামোকে একত্রিত করে সেসব টিস্যুই হলো কানেক্টিভ টিস্যু।

প্রশ্ন ৫। হৃৎপিণ্ডের কাজ কী?

উত্তর: হুৎপিণ্ডের কাজ হলো রক্ত পালনে ভূমিকা রাখা।

প্রশ্ন ৬। মানুষের শরীরের কঙ্কালতন্ত্র কতটি হাড় নিয়ে গঠিত? 

উত্তর: মানুষের শরীরের কঙ্কালতন্ত্র প্রায় ২০৬টি হাড় নিয়ে গঠিত।

প্রশ্ন ৭। শ্বসনতন্ত্র কী?

উত্তর: আমাদের শরীরের শ্বাস-প্রশ্বাসের পর ফুসফুস এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের পেশিগুলোর সমন্বয়ে গঠিত তন্ত্রই হলো শ্বসনতন্ত্র।

প্রশ্ন ৮। রক্ত সংবহনতন্ত্র কাকে বলে?

উত্তর: যে তন্ত্রের মাধ্যমে রঙ প্রতিনিয়ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ এবং অংশে চলাচল করে তাকে রক্ত সংবহনতন্ত্র বলে।

প্রশ্ন ৯। পরিপাক কী?

উত্তর: যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যবস্তু বিভিন্ন এনজাইমের উপস্থিতিতে ভেঙে সরল খাদানে পরিণত হয় তাই পরিপাক।

প্রশ্ন ১০। বয়ঃসন্ধিকাল কী?

উত্তর: বয়ঃসন্ধিকাল হচ্ছে মূলত শারীরিক ও মানসিক বিকাশের এক ক্রান্তিকাল।

পরবর্তী অধ্যায়ের সমাধান পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন 👇

👉 পানির সাথে বন্ধুতা – সমাধান | বিজ্ঞান – অনুশীলন বই | ১২ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী