এই পোস্টে আমরা জানবো ৭ম শ্রেনীর বিষয় বাংলা এর সপ্তম অধ্যায়, অন্যের মত বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করি সম্পর্কে।
১ম পরিচ্ছেদ
প্রশ্ন করতে শেখা
প্রশ্ন করি
উত্তর: প্রশ্নগুলো যেমন হতে পারে-
১. খিচুড়ি রান্না করতে কী কী লাগে?
উত্তর: খিচুড়ি রান্না করতে মূলত চাল ও ডাল লাগে।
২. খিচুড়ির মধ্যে কি কোনো সবজি দেওয়া যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, খিচুড়ির মধ্যে সবজি দেওয়া যায়।
৩. কোন কোন সবজি দেওয়া যায়?
উত্তর: আলু, মিষ্টিকুমড়াসহ প্রায় সব ধরনের সবজি দেওয়া যায়।
৪. খিচুড়িতে কোন ধরনের ডাল দিতে হয়?
উত্তর: খিচুড়িতে যেকোনো ধরনের ভালই ব্যবহার করা যায়।
যেমন- মসুর ডাল, মুগডাল, ছোলা ইত্যাদি
৫. খিচুড়ি কি অল্প আঁচে রান্না করতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, রান্না করা যায়। তবে মাঝারি আঁচে রান্না ভালো হয়।
৬. খিচুড়িতে কি মাংস দেওয়া যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, খিচুড়িতে মাংস দেওয়া যায়। তবে মাংস আগে রান্না করে নিতে হয়।
৭. খিচুড়িতে কোন ধরনের চাল ব্যবহার করা হয়? উত্তর: যেকোনো ধরনের চালই ব্যবহার করা যায়, তবে সুগন্ধি আতপ চাল দিয়ে রান্না করলে খিচুড়ি খেতে খুব সুস্বাদু হয়।
প্রশ্ন করি জবাব খুঁজি
উত্তর:
১. নতুন কোনো জায়গায় যাওয়া’ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করে প্রশ্ন তৈরি করো এবং উত্তর খুঁজে বের করো।
নমুনা উত্তর: আয়রার মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাবেন। সেন্টমাটিনের কোনো একটি আবাসিক যোটেলে উঠবেন এবং সেন্টমাটিন থেকে ছেঁড়াদ্বীপ যাবেন। আয়রাকে বলা হলো কীভাবে ঢাকা থেকে সেন্টমাটিন যাওয়া যায় এবং সেখানে গিয়ে করণীয় ও বর্জনীয় কিছু কাজের তালিকা তৈরি করতে। এ ব্যাপারে আয়রার বাবা তাকে সাহায্য করবেন বললেন। আয়রা তার বাবাকে প্রশ্ন করতে শুরু করল ও জবাব পেতে লাগল।
প্রশ্নগুলো যেমন হতে পারে-
১. ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন কীভাবে যাওয়া যাবে?
উত্তর: ঢাকা থেকে প্রথমে বাসে করে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফে যেতে হবে এবং সেখান থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যেতে হবে।
২. বিকল্প কোনো পথ আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, ঢাকা থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম যেতে হবে, সেখান থেকে জাহাজে করে সেন্টমাটিন যাওয়া যাবে।
৩. থাকার জন্য হোটেল কীভাবে ঠিক করব?
উত্তর: আগে থেকে অনলাইনে বুকিং দিতে হবে অথবা সরাসরি উপস্থিত হয়ে ঠিক করতে হবে।
৪. সেখানে খাওয়াদাওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, পর্যটকদের খাবারের জন্য বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে।
৫. সঙ্গে কী কী জিনিস নিতে হবে?
উত্তর: ছাতা, জুতা, জামাকাপড় ও একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে হবে ।
৬. সেখানে গিয়ে কী কী করা যাবে না?
উত্তর: একা একা ঘুরতে বের হওয়া যাবে না। প্লাস্টিকের কোনো বোতল বা প্যাকেট সাগরে ফেলা যাবে না। স্থানীয় মানুষের সলো খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।
৭. কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে?
উত্তর: সেন্টমার্টিনে কোনো খাবার অপচয় করা যাবে না’। কারণ, দ্বীপটি মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা। সেখানে প্রবাল পাথর সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, সেন্টমার্টিনের প্রবাল পাথর অনেক ধারালো।
২. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা’ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করে প্রশ্ন তৈরি করো এবং উত্তর খুঁজে বের করো।
নমুনা উত্তর: আদর্শ বিদ্যানিকেতনে প্রতিবছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। একেক বছর একেক শ্রেণির ওপর এই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বছর সেই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর। শ্রেণিশিক্ষক জনাব আতাহার আলী সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ভোটের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করলেন। এই কমিটি শিক্ষকদের পরামর্শে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তাদের অনেক বিষয় জানা দরকার। বিষয়গুলো জানার জন্য প্রশ্ন করতে হবে ও আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্নগুলো হতে পারে নিম্নরূপ-
১. অনুষ্ঠান কোন জায়গায় আয়োজিত হবে?
উত্তর: স্কুলের মাঠে আয়োজিত হবে।
২. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে?
উত্তর: গান, নাচ, আবৃত্তি, অভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদি।
৩. মঞ্চ প্রস্তুত করার জন্য কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে?
উত্তর: স্থানীয় ডেকোরেশন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৪. অনুষ্ঠানের বিচারক কারা হবেন?
উত্তর: সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ বিচারক হবেন।
৫. পুরস্কার হিসেবে কী কী জিনিস থাকবে?
উত্তর: বই, অভিধান, পেন্সিল বক্স, রং পেন্সিল ইত্যাদি থাকতে পারে।
৬. অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্য খাবার কারা সরবরাহ করবে?
উত্তর: শিক্ষকেরা খাবারের তালিকা তৈরি করে দেওয়ার পর যে কমিটির দায়িত্বে থাকবে সে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে খাবার সরবরাহ করবে।
৩. বনভোজনের ব্যবস্থা করা’ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করে তৈরি করো এবং উত্তর খুঁজে বের করো
নমুনা উত্তর: বিরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে একটি বনভোজনের আয়োজন করা হচ্ছে। বছর শেষে শিক্ষার্থীরা এ দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকে।
শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁরা পাশের জেলার পাহাড়ি অঞ্চল ঘুরে আসবেন। প্রত্যেক ক্লাস থেকেই দুইজন করে শিক্ষার্থী বাছাই করে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হলো চাঁদা তোলার জন্য। এছাড়া তাদের দায়িত্ব হলো, সুষ্ঠুভাবে বনভোজনের ব্যবস্থা করতে শিক্ষকদের সহায়তা করা। এ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে তারা শিক্ষকদের কিছু প্রশ্ন করল ও উত্তর পেল।
প্রশ্নগুলো যেমন হতে পারে-
১. বনভোজনে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের বাহন কী হবে?
উত্তর: যাতায়াতের বাহন হবে বাস।
২. বনভোজনের জন্য মাথাপিছু প্রদেয় চাঁদার পরিমাণ কত?
উত্তর: প্রত্যেকে পাঁচ শত টাকা করে চাঁদা দেবে।
৩. বনভোজনে খাবার কীভাবে তৈরি হবে?
উত্তর: বনভোজনের স্থানে পৌঁছে রান্নার আয়োজন করা হবে। একজন বাবুর্চি থাকবেন রান্না করার জন্য।
৪. বনভোজনে কি ছবি তোলা যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, ছবি তোলা যাবে।
৫. বনভোজনে কী কী করা যাবে না?
উত্তর: দলছুট হওয়া যাবে না। উচ্চৈঃস্বরে গান বাজানো যাবে না।
৬. আমরা কখন ফিরে আসব?
উত্তর: আমরা সন্ধ্যার আগেই বাসে উঠব, রাত নয়টার দিকে আমাদের শহরে পৌছে যাব।
ছবি দেখে আলোচনা করি
ক.
নমুনা উত্তর:
১. ছবিটি কোন সময়ের?
উত্তর: ছবিটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন।
২. ছবিটি কোন ঘটনাকে নির্দেশ করে?
উত্তর: ছবিটি ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনাকে নির্দেশ করে।
৩. বুদ্ধিজীবী হত্যা কখন সংঘটিত হয়?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা সংঘটিত হয়।
৪. ছবিটি কী নির্দেশ করে?
উত্তর: ছবিটি কোনো এক বধ্যভূমিকে নির্দেশ করে।
৫. এ ছবির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী?
উত্তর: ছবিটি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে জাতির বিপুল আত্মত্যাগের দিকটির সঙ্গে সম্পর্কিত। এখানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক দেশের সূর্যসন্তান তথা বুদ্ধিজীবী-হত্যার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
খ.
নমুনা উত্তর:
১. ছবির ছেলেমেয়েরা কী করছে?
উত্তর: ছবির ছেলেমেয়েরা দলবদ্ধ হয়ে পড়াশোনা করছে।
২. ছবির ছেলেমেয়েদের পরিচয় কী?
উত্তর: ছবির ছেলেমেয়েদের পরিচয় হলো, তারা সবাই শিক্ষার্থী।
৩. ছবিটি কোন স্থানের?
উত্তর: ছবিটি একটি লাইব্রেরির।
৪. ছবিটিতে কোন ধরনের উপকরণ দেখা যাচ্ছে?
উত্তর: ছবিটিতে বই, খাতা, কলম, টেবিল, বইয়ের তাক ইত্যাদি উপকরণ দেখা যাচ্ছে।
৫. ছবির সঙ্গে আমাদের বাস্তব জীবনের সম্পর্ক কী?
উত্তর: বাস্তব জীবনে আমরাও লাইব্রেরিতে ছেলেমেয়ে একত্রে পড়াশোনা করি। একজন আরেকজনের সাহায্য ও সহযোগিতা নিই। ছবিটিতে সে চিত্রই দেখা যাচ্ছে।
গ.
নমুনা উত্তর:
১. ছবির লোকগুলো কী করছেন?
উত্তর: ছবির লোকগুলো মাছ ধরছেন।
২. ছবির লোকেদের পেশা কী?
উত্তর: ছবির লোকেদের পেশা মাছ ধরা।
৩. ছবির জেলেরা কোথায় মাছ ধরছেন?
উত্তর: ছবির লোকেরা সাগরে বা নদীতে মাছ ধরছেন।
৪. ছবির জেলেরা কী মাছ ধরছেন?
উত্তর: জেলেরা ইলিশ মাছ ধরছেন।
৫. ছবিতে কী ধরনের উপকরণ দেখা যাচ্ছে?
উত্তর: ছবিতে মাছ ধরার জাল ও নৌকা দেখা যাচ্ছে।
৬. ছবির সলো বাংলাদেশের সম্পর্ক কী?
উত্তর: মাছ ধরা বাংলাদেশের একটি প্রাচীন পেশা। ছবিতে আবহমান বাংলার মাছ ধরার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
৭. ছবিটি কোন সময়ের।
উত্তর: ছবিটি ইলিশের ভরা মৌসুম জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের যেকোনো সময়েরই হতে পারে।
ঘ.
নমুনা উত্তর:
১. ছবির লোকটি কী করছেন?
উত্তর: ছবির লোকটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।
২. ছবিটি কোন স্থানের?
উত্তর: ছবিটি একটি রাস্তার পাশে ডাস্টবিনের।
৩. ছবিটি কীসের প্রতীক?
উত্তর: যত্রতত্র ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণের প্রতীক।
৪. এ ছবির সকো বাংলাদেশের সম্পর্ক কী?
উত্তর: বাংলাদেশের বড়ো শহরগুলোতে এ রকম রাস্তার পাশে অহরহ খোলা ডাস্টবিন দেখতে পাওয়া যায়। যা নাগরিক দুর্ভোগের কারণ হয়।
৫. খোলা ডাস্টবিন কেন ঝুঁকিপূর্ণ?
উত্তর: খোলা ডাস্টবিনের কারণে পরিবেশ নষ্টসহ বায়ুদূষণ যেমন হয় তেমনি রোগজীবাণুও ছড়ায়। তাই জনস্বাস্থ্যের জন্য খোলা ডাস্টবিন ঝুঁকিপূর্ণ
ঙ.
নমুনা উত্তর:
১. ছবির লোকটি কী করছেন?
উত্তর: ছবির লোকটি একটি শাড়ি বুনছেন।
২. ছবির লোকটি কোন ধরনের শাড়ি বুনছেন?
উত্তর: ছবির লোকটি জামদানি শাড়ি বুনছেন।
৩. ছবির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী?
উত্তর: ছবিটি বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্পের নির্দশন বহন করে।
৪. ছবির লোকটির পেশা কী?
উত্তর: ছবির লোকটি পেশায় একজন তাঁতি।
৫. জামদানি শাড়ি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: জামদানি শাড়ি বাংলাদেশের একটি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য। ইউনেস্কো ২০১৩ সালে জামদানি শাড়িকে ‘ইনট্যানজিবল হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
চ.
নমুনা উত্তর:
১. ওপরের ছবিতে কী দেখতে পাচ্ছ?
উত্তর: ছবিতে একটি চায়ের দোকান এবং দোকানে একজন নারী চা বানাচ্ছেন।
২. ছবির নারীর পেশা কী?
উত্তর: ছবির নারী একজন চা বিক্রেতা।
৩. ছবিটি কোন স্থানের?
উত্তর: ছবিটি একটি চায়ের দোকানের।
৪. ছবিতে কী উপকরণ দেখা যাচ্ছে?
উত্তর: ছবিতে চায়ের কাপ, কেটলি, ছাকনি, চিনি ও দুধের কৌটা ইত্যাদি দেখা যাচ্ছে।
৫. এই ছবির সজো বাংলাদেশের সম্পর্ক কী?
উত্তর: চায়ের দোকান বাংলাদেশে খুবই পরিচিত জায়গা। ছবিটিতে বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অনুষঙ্গের চিত্র ফুটে উঠেছে।
২য় পরিচ্ছেদ
সমালোচনা করতে শেখা
নিজের মত দেই এবং অন্যের মত শুনি
তোমাদের পাঠ্যবইয়ে নানা রকমের পাঠ আছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে এমন দুটি পাঠ সম্পর্কে তোমার অভিমত দিতে হবে। অভিমত দেওয়ার আগে নিচের ছকে ভালো লাগার কারণগুলো লেখো।
উত্তর: পাঠ্যবইয়ের ‘কত কাল ধরে’ ও ‘মাঝি’ পাঠ দুটি আমার ভালো লাগার কারণ ও অভিমত নিচে আলোচনা করা হলো-
পাঠের শিরোনাম | ভালো লাগার কারণ |
কত কাল ধরে (বিশ্লেষণমূলক লেখা) আনিসুজ্জামান | ১. বাঙালির প্রাচীন ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। ২. বাঙালির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ৩. বাংলায় রাজা-বাদশাহদের শাসনকাল সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। ৪. প্রাচীনকালে বাঙালিদের পোশাক-পরিচ্ছেদ, অলংকার ও সাজসজ্জা আমাদের থেকে কিছুটা ভিন্ন ছিল, এই বিষয়টি জানতে পেরে আমার ভালো লেগেছে। ৫. প্রাচীনকালে সাধারণ মানুষ মাটির পাত্রে রান্না করত, এই তথ্যটিও খুব চমকপ্রদ। |
মাঝি (কবিতা) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | ১. কবিতাটির ছন্দ আমার ভালো লেগেছে।。 ২. গ্রামীণ জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে, যা আমাকে গ্রামীণ জীবনের প্রতি আগ্রহী করেছে। ৩ . কবি অনেক পেশা থাকতেও খেয়াঘাটের মাঝি হতে চেয়েছেন, যা আমার ভালো লেগেছে। ৪. শিশুমনের কল্পনার চিরাচরিত রূপ প্রকাশ পেয়েছে, যা আমার ভালো লেগেছে। ৫. মা ও মাতৃভাষার প্রতি কবির গভীর আবেগ ও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। |
‘কত কাল ধরে’ রচনা সম্পর্কে আমার অভিমত:
‘কত কাল ধরে’ রচনায় বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের কিছু বিবরণ দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজবাস্তবতা, বাঙালির খাদ্যাভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদ ও প্রসাধনীর ব্যবহার এবং বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। পাঠ শেষে আমার মনে হয়েছে, রচনাটিতে যে ঐতিহাসিক সূত্রগুলোর কথা বলা হয়েছে, তা আরও সুনির্দিষ্ট হওয়ার প্রয়োজন ছিল।
মাঝি’ কবিতা সম্পর্কে আমার অভিমত:
‘মাঝি’ কবিতাটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি অনবদ্য শিশুতোষ, কবিতা। এ কবিতায় কবির দেশাত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কবি বড়ো হয়ে মাঝি হতে চেয়েছেন। কারণ, তিনি বিদেশ-বিভুঁইয়ে না গিয়ে নিজ দেশের প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। এখানে মা ও মাতৃভূমির প্রতি কবির গভীর অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে, যা আমাকে কবিতাটি পাঠে অনুপ্রাণিত করেছে।
পক্ষ নিয়ে যুক্তি দিই
উত্তর: আমি ‘ধান চাষ’ – এর পক্ষে-
ক্রম | পক্ষের যুক্তি | অন্য পক্ষের যুক্তি খন্ডন |
১ | ধান চাষ থেকে সারা বছরের চালের জোগান মিলবে। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। তাই চালের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। | যদিও হাঁস-মুরগির খামার থেকে আমিষের জোগান মিলবে এবং নগদ অর্থও মিলবে। কিন্তু তা আমাদের প্রধান খাদ্য না হওয়ায় বাজার থেকে। কিনে আমিষের চাহিদা পূরণ করা যাবে |
২ | উচ্চফলনশীল ধান চাষ করে অনেক ধান পাওয়া যাবে, সেগুলো বিক্রি করে নগদ টাকাও পাওয়া যাবে | হাঁস-মুরগির কোনো রোগবালাই হলে অধিকাংশ হাঁস-মুরগি মরে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বড়ো ধরনের লোকসান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। |
৩ | ধান চাষ করলে জমিগুলো আবাদি থাকে, চাষের যোগ্য থাকে। | চাষের জমিতে খামার করলে জমিগুলো অনাবাদি থাকে এবং এক সময় চাষের অযোগ্য হয়ে পড়বে। |
৪ | ধান চাষ করলে তার থেকে কোনো রোগবালাই ছড়িয়ে মানুষের ক্ষতির কারণ হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। | হাঁস-মুরগি কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা অনেক সময় মানুষের মাঝে সংক্রমিত হয়ে বড়ো ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। |
৫ | ধান চাষের সকল প্রযুক্তি হাতের কাছেই আছে, সেগুলোর জন্য নতুন কোনো খরচ নেই। | খামার দিতে গেলে সব সরঞ্জাম নতুন করে কিনতে হবে। এতে খরচ বেশি হবে। |
৬ | ধান চাষে পরিবেশ সুন্দর থাকে। | হাঁস-মুরগির খামার সঠিকভাবে পরিচালনা না করলে পরিবেশ নষ্টের কারণ হতে পারে। |