অর্থ বুঝে বাক্য লিখি – সমাধান | বাংলা – তৃতীয় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিষয় বাংলা এর ৩য় অধ্যায়, অর্থ বুঝে বাক্য লিখি সম্পর্কে।

আরো সহজে শিখতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে থাকা এই বিষয়ক ভিডিও থেকে।

১ম পরিচ্ছেদ 

শব্দের শ্রেণি

নমুনা ১:

উপরের নমুনা থেকে নাম বোঝায় এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

উত্তর :

হাবিব
সোমবার
রবিবার
রাতের
ট্রেনে
রাজশাহী
ঢাকায়
কমলাপুর
অবাক
রাস্তা 
হাত-মুখ
ফুলের
রজনীগন্ধা, 
গোলাপ
গাঁদা
ফুল
পরিবারের
নাশতা 
বাংলাদেশ 
দলের 
ক্রিকেট 
খেলা 
খাওয়া
টেলিভিশনের

পাঠ থেকে বিশেষ্য খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে বিশেষ্য শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

বিশেষ্য শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়াছাতা, ব্যাঙ, চিঠি, মাঝি, চিংড়ি, খলসে, নদী, ভেটকা, কাতলা, দেশটি, বর্ষা
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়ারহমত, কবিরাজ, মোড়ল, সুবর্ণপুর, গরু, ধান, ধনী, অত্যাচারী, পাপী, বাড়ি, মুর্খ, মানুষ, প্রাণী, বাঘ, হিমালয়, পাহাড়, সমুদ্র, চন্দ্র, নক্ষত্র, শরবত, মুরগি, ফতুয়া, জামা, ভিখারি, ভূত, দুঃখী, সুখী, কাঠ, বাজার, চোর, পাগল, রাজা, বাদশা

বিশেষ্য শব্দ

উত্তর: 

বিশেষ্য শব্দগুলোর নিচে দাগ দেওয়া হলো-

এখন শীতকাল। কদিন আগে ঠিক করা হয়েছে বড়ো বড়ো গাছগুলো সব কেটে ফেলা হবে। জেসমিন বজলু মিয়া বলে একটি লোককে ঠিক করেছেন। লোকটির মুখে বসন্তের দাগ। বজলু মিয়া গতকাল এসে বড়ো বড়ো গাছগুলো সব দেখে গেছে। দড়ি দিয়ে কী সব মাপ-টাপও নিয়েছে। বলে গেছে সোমবারে লোকজন নিয়ে আসবে।
পুতুলের এই জন্যেই খুব মন খারাপ। গাছগুলোর দিকে তাকালেই তার কান্না পেয়ে যায়। বাগানে এলেই সে এখন গাছগুলোর গায়ে হাত বুলিয়ে ফিসফিস করে কী সব কথা বলে। হয়তো-বা সান্তনার কোনো কথা। আজও তাই করছিল। গাছের গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে সে লক্ষ করল, তার বাবা বাগানে হাঁটছেন। তাঁর হাতে একটি ভাঁজ-করা খবরের কাগজ। তিনি অন্যমনষ্ক ভঙ্গিতে হাঁটছেন। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে আছেন। খুব রেগে গেলে তিনি এ রকম গম্ভীর হয়ে যান। বাগানে কিংবা ছাদে মাথা নিচু করে হাঁটেন। পুতুলের মনে হলো আজ বোধহয় বাবা-মার মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এই একটা খারাপ ব্যাপার। দুদিন পরপর তাঁরা ঝগড়া করেন। ঝগড়া করবে ছোটোরা। আড়ি দেবে- ভাব নেবে। বড়োরা এ রকম করবে কেন?

নমুনা ২:

উপরের নমুনা থেকে বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

উত্তর :

তার
সেটি
সেখান
তার
কে
ওরাও
সব 
আমি
কাউকে
যে
সে
তিনি 
অন্যদের

পাঠ থেকে সর্বনাম খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে সর্বনাম শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর :

সর্বনাম শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়াসে, তার, সবায়, আমার।
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়াতোমার, এর, তার, তুমি, দেই, কারো, এই যে, তোমরা।

সর্বনাম শব্দ

সর্বনাম শব্দগুলোর নিচে দাগ দেওয়া হলো-

পুতুল ছোটো ছোটো পা ফেলে রেনট্রি গাছটার দিকে যাচ্ছে। তার চোখ বাবার দিকে। বাবা কতটা রেগে আছেন সে বুঝতে চেষ্টা করছে। পুতুলের বয়স এগারো। এই বয়সের ছেলেরা চারদিকে কী হচ্ছে না হচ্ছে খুব বুঝতে চেষ্টা করে।
রহমান সাহেব পুতুলকে রেনট্রি গাছটার দিকে যেতে দেখলেন। কিছু বললেন না। তিনি জানেন, এই গাছের নিচে পুতুল প্রায়ই এসে বসে। এটা সম্ভবত পুতুলের কোনো গোপন জায়গা। সব শিশুর কিছু গোপন জায়গা থাকে। তাঁর নিজেরও ছিল। পুতুলকে দেখে মাঝে মাঝে তাঁর নিজের শৈশবের কথা মনে হয়। তবে তিনি পুতুলের মতো নিঃসঙ্গ ছিলেন না। অনেক ভাই-বোনের মধ্যে বড়ো হয়েছেন। তাঁদের বাড়িটা ছিল হৈ চৈ হুল্লোড়ের বাড়ি। নিজের ভাই-বোন ছাড়াও চাচাতো ভাই-বোন, ফুপাতো ভাই-বোন, পাড়ার ছেলেপেলে। সারাদিন চিৎকার চেঁচামেচি হৈ চৈ।
রহমান সাহেব রোদে পিঠ দিয়ে বসলেন। বসতে হলো ঘাসে। এমনভাবে বসেছেন যেন পুতুল কী করছে দেখা যায়। তিনি সারাদিন ব্যস্ত থাকেন, পুতুল কী করে না-করে খবর রাখতে পারেন না। ছেলেটা খুবই একা। তাকে আরো কিছু সময় দেওয়া দরকার তা তিনি দিতে পারছেন না। তিনি মৃদু গলায় ডাকলেন- পুতুল!

👉 প্রমিত ভাষা শিখি – সমাধান | বাংলা – দ্বিতীয় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

নমুনা ৩:

কিছু শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায়। উপরের নমুনা থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং খালি জায়গায় লেখো।

উত্তর :

নীল-সাদা
মেঠো
সবুজ
সুন্দর
নীল
সাদা
উড়ত্ত
বড়ো
টলটলে
বড়ো
অনেক
প্রচুর
সাদা
সবুজ
বয়স্ক
পুরনো
কম-বেশি
ভালো

পাঠ থেকে বিশেষণ খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে বিশেষণ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর :

বিশেষণ শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়াটাপুস টুপুস, জবর, সাঁঝের, দারুণ
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়াভালো, কাঁদো, কঠিন, সুখী, সোজা, তাজ্জব, পাঁচ, মস্ত, মিছে।

বিশেষণ শব্দ

নীল-সাদা স্কুলজামা পরে কয়েকটি মেয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল। মেঠো পথের দুপাশে সবুজ ধানখেত। হঠাৎ

সামনের মেয়েটি থমকে দাঁড়াল। বলল, ‘দ্যাখ দ্যাখ, কী সুন্দর একটা পাখি উড়ে যাচ্ছে!’ 

পাশের মেয়েটি উপরে তাকিয়ে কোনো পাখি দেখতে পেল না। নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে সে শুধু সাদা মেঘ ভেসে যেতে দেখল। অন্যরাও সেই পাখিটা খজুঁ তে লাগল। কিন্তু ততক্ষণে উড়ন্ত পাখিটা চোখের আড়াল হয়ে গেছে।

ধানখেত পার হতেই একটা বড়ো পুকুর। সেখানকার পানি টলটলে। পুকুরের ধারে একটা বড়ো আমগাছ। সেই আমগাছের দিকে তাকিয়ে একটি মেয়ে বলল, ‘আমার মনে হচ্ছে, এবার অনেক আম ধরবে!’ সবাই তাকিয়ে দেখল, আমগাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। সাদা মুকুলে আমগাছের সবুজ পাতা ঢাকা পড়েছে।

গাছের নিচে একজন বয়স্ক লোক পুরানো চেয়ারে বসে ছিলেন। তাঁর বয়স কম-বেশি সত্তর বছর। তিনি ওদের কথা শুনে বললেন, ‘ও ঠিকই বলেছে। যে বছর ধান ভালো হয়, সে বছর আমের ফলনও ভালো হয়।’

নমুনা ৪:

উপরের অনুচ্ছেদ থেকে কাজ করা বোঝায় এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

উত্তর :

খেলে
পড়তে বসে
ঘুমায়
ঘুমিয়ে পড়ে
খেলে
করছে
বললেন
এলোমেলো হচ্ছে
খাইয়ে দিলে
হাসলেন
করবে
বললেন
বুঝতে শিখবে
পড়বে
ঘুমাবে
খেলবে
হলো

পাঠ থেকে ক্রিয়া খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে ক্রিয়া শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর :

ক্রিয়া শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়াচলেছে, করতে, ঝরছে, ছুটছে, বুঝে, ধরে, লিখছে, গেছে, গিয়ে, শুধায়, গেছে, এসেছে, নামবে, কিনে।
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়াশুনছি, শোনো, দেখুক, দেখাবেন, কাঁদতে, কাঁদো, জ্বালিয়েছে, কেড়ে, লুট করে, হাসে, বলবেন, যান, কোরো, করছি, বলছে, বোলো, বলি, শ্রবণ, বলুন, করতে, আনতে, পারছি, খেয়েছে, দাও, এসো, বলবে, করছি, করব, দাও, থাকো, করি, পাবে, করো, করবে, বাড়বে, করতে, দিলে, দাও, দেবো, যাবে, বলছি, চলেন, যাই, খাবে, ডাকবেন, কাটি, বেচি, কিনি, গাইতে, হাসছ, রেখেছ, এসো, দেবো, বোলো, বলব।

ক্রিয়া শব্দ

ক্রিয়া শব্দগুলোর নিচে দাগ দেওয়া হলো-

নারায়ণগঞ্জ জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জামদানি কারিগরদের বসবাস। শতাব্দীকাল ধরে এ তাঁতশিল্প বিস্তার লাভ করেছে শীতলক্ষ্যা নদীর। তীরবর্তী এলাকায়। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যা নদীর পানির বাষ্প থেকে যে আর্দ্রতার সৃষ্টি হয় তা জামদানি বোনার জন্য শুধু উপযোগীই নয়, বরং এক অপরিহার্য বন্ধু বলা চলে।
কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে প্রস্তুত খাদি বা খদ্দরের সমাদর শুধু গ্রামজীবনেই নয়, শহরের আধুনিক সমাজেও যথেষ্ট রয়েছে। খাদি কাপড়ের বিশেষত্ব হচ্ছে, এর সবটাই হাতে প্রস্তুত। তুলা থেকে হাতে সুতা কাটা হয়। গ্রামবাসীরা অবসর সময়ে সুতা কাটে। এদের বলা হয় কাটুনি। গ্রামে বাড়ির আশপাশে তুলার গাছ লাগানোর রীতি আছে। সেই গাছের তুলা দিয়ে সুতা কাটা ও হস্তচালিত তাঁতে এসব সুতায় যে কাপড় প্রস্তুত করা হয়, সেই কাপড়ই প্রকৃত খাদি বা খদ্দর। রাঙামাটি, বান্দরবান, রামগড় এলাকার চাকমা, কুকি ও মুরং মেয়েরা এবং সিলেটের মাছিমপুর অঞ্চলের মণিপুরী মেয়েরা তাদের নিজেদের ও পুরুষদের পরিধেয় বস্তু বুনে থাকে। এ কাপড়গুলো সাধারণত মোটা ও টেকসই হয়। নকশা, রং ও বুননকৌশল সবই তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য অনুযায়ী হয়।

👉 চারপাশের লেখার সাথে পরিরিচিত হই – সমাধান | বাংলা – চতুর্থ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

নমুনা ৫:

কিছু শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

উত্তর :

জোরে
ধীরে
সামনে
পিছনে
না
ঠিকঠাক
চুপচাপ
দেখি
কানে কানে
ভয়ে ভয়ে

পাঠ থেকে ক্রিয়াবিশেষণ খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে ক্রিয়াবিশেষণ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর :

ক্রিয়াবিশেষণ শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়াটাপুস টুলুস করছে, দু’চোখ বুজে, ওপার গিয়ে, গেছে দেশের বাইরে
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়াছটফট করছে। ভালো করে শোনো। হাউমাউ করে, ভয় দেখাবেন না। হবেই না তো আজেবাজে কথা বলবেন না। কোলাহল করো না। কঠিন কর্ম করতে হবে। এদিকে এসো। মনের সুখে, শুয়ে থাকো, সুখ কোথায় পাব? আজ রাত্রির  মধ্যে সংগ্রহ করতে পারো। মাছ ভাজা করে খাবে। গাইতে গাইতে শুয়ে পড়ি। খেয়ে দেয়ে

ক্রিয়াবিশেষ শব্দ

ক্রিয়াবিশেষণ শব্দগুলোর নিচে দাগ দেওয়া হলো-

বাঁশের নানা রকম ব্যবহার ছাড়া আমাদের চলতেই পারে না। ছোটোখাটো সামান্য হাতিয়ারের সাহায্যে আমাদের কারিগররা বাঁশ দিয়ে আজকাল আধুনিক রুচির নানা ব্যবহারিক সামগ্রী তৈরি করছে যা শুধু আমাদের নিজেদের দেশেই নয়, বিদেশেও বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া শোলাশিল্পের উৎকৃষ্ট সৃজনশীল নমুনাও দেখা যায় পুতুল, টোপর ইত্যাদির মধ্যে। কাপড়ের পুতুল তৈরি করা আমাদের দেশের মেয়েদের একটি সহজাত শিল্পগুণ। অনেকাংশে এসব পুতুল প্রতীকধর্মী। এগুলো যেমন আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও জীবনের প্রতিনিধিত্ব করে, তেমনি বিদেশি পয়সাও উপার্জন করে। লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর, শহরতলি এবং গ্রামের হাজার হাজার নারী-পুরুষ আছে, যারা কাজ করতে চায় অথচ কাজের অভাবে দিন দিন দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। সুপরিকল্পিত উপায়ে এবং সুরুচিপূর্ণ লোকশিল্প প্রস্তুতির দিকে মনোযোগ দিলে তাদের সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে।

নমুনা ৬:

কিছু শব্দ অন্য শব্দের পরে বসে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

উত্তর :

কাছে
দিয়ে
ধরে
ভেতরে
আছে
দিকে 
পাশে
থেকে
জন্য

পাঠ থেকে অনুসর্গ খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে অনুসর্গ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর :

অনুসর্গ শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়াধরে
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়াকরে, মধ্যে, লেগে, দিয়ে, থেকে, আছে, মতো, সামনে, জন্য

অনুসর্গ শব্দ

অনুসর্গ শব্দগুলোর নিচে দাগ দেওয়া হলো-

বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্য খুবই অপরূপ। এখানে ছয়টি ঋতু নিজস্ব ছন্দ নিয়ে আবির্ভূত হয়। এসব ঋতুর রূপের পরিবর্তন হয়ে থাকে। বারো মাসে ছয়টি ঋতু এদেশের প্রকৃতিতে অসাধারণ বৃপের বৈচিত্র্য মেলে ধরে। বৈশাখ মাসে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ দিয়ে এ ঋতুর সূচনা হয়। এর দুই মাস পরেই ঘন কালো মেঘের সমারোহে বর্ষা ঋতুর আগমন হয়। বর্ষা ঋতুর পরে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা দিয়ে ‘শরৎ ঋতুর আবির্ভাব হয়। এ শুরুতে শিউলি ফুলের ঘ্রাণে সমগ্র দেশ ভরে যায়। ‘শরৎ’ ঋতুর পরেই মাঠে মাঠে সোনালি ধান দিয়ে ‘হেমন্ত’ ঋতুর আবির্ভাব হয়। এরপরে ‘শীত’ ঋতুর আগমন হয়। আমরা হিমেল হাওয়ার মাধ্যমে তার আগমন টের পাই। এরপরে ঋতুরাজ ‘বসন্ত’ কতুর আবির্ভাব হয়। এ ঋতুতে গাছে গাছে মুকুলের ঘ্রাণ এবং বিচিত্র পাখির ডাক পাওয়া যায়। এভাবে বাংলাদেশের সর্বত্র ষড়ঋতুর অপরূপ দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হয়।

👉 প্রমিত ভাষা শিখি – সমাধান | বাংলা – দ্বিতীয় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

নমুনা ৭:

উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এমন শব্দ খুঁজে বের করো যেগুলো শব্দ বা বাকাকে যুক্ত করেছে। বের করা শব্দগুলো নিচের খালি জায়গায় লেখো।

উত্তর :


এবং
কিন্তু
তাই
আর
তবু 
তাছাড়া

পাঠ থেকে যোজক খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে যোজক শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর :

যোজক শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়াও, আর
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়াএবং, ও, আর, যত-তত, তাই

যোজক শব্দ

যোজক শব্দগুলোর নিচে দাগ দেওয়া হলো-

সুদীর্ঘ রাতের পরে শুভ্র সকাল আসে। প্রতিটি সকাল অরূপ সৌন্দর্যের বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। সকাল মানুষকে নতুন দিনের হাতছানি দিয়ে থাকে। সকালের সুন্দর প্রকৃতি আমাদের মনকে স্নিগ্ধতা দিয়ে যায়। কিন্তু সকালের বিচিত্র অনুভূতি তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপরেই নির্ভরশীল। সকালের সোনালি আলোয় পাখিরা কিচিরমিচির করে থাকে। আর এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন দিনের সূচনা হয়। সকাল থেকে আমাদের কর্মচঞ্চলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে সকালবেলাতেই সকল স্তরের মানুষ তাদের কর্মব্যস্ততায় জড়িয়ে পড়ে। ধনীদের আরাম-আয়েসের মধ্য দিয়ে সকালের শুরু হয়। আর দরিদ্রদের অনিশ্চয়তার মাধ্যমে সকালের সূচনা হয়। প্রতিটি সকাল আমাদের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে আসে। এ পরিবর্তন আমাদের ভালো মন্দ উভয়ের মধ্যেই প্রভাব পড়ে। তাই আমাদের যা কিছু ভালো সেগুলোর সদ্ব্যবহার করা উচিত।

নমুনা ৮:

মনের আবেগে হঠাৎ করে কিছু শব্দ আমরা উচ্চারণ করে থাকি। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

উত্তর :

আহ
দারুণ
বাহ
শাবাশ 
আহা
দূর
আরে 
বাপরে 
বাপ!

আবেগ শব্দ

আবেগ শব্দগুলোর নিচে দাগ দেওয়া হলো-


ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ৯০ মিনিটের খেলা যখন শেষ হলো, আমি বললাম, বাহ! চমৎকার খেলা হয়েছে।
বিতা বলল, দারুণ! মেসি সেরা খেলাটাই খেলেছে।
প্রজা বলল, আহা, ক্রোয়েশিয়ার জন্য দুঃখ হচ্ছে।
আমি বললাম, দুর! খেলা তো খেলাই। এক দল যে হারবে, এটাই স্বাভাবিক।
রিতা বলল, শাবাশ, মেসিকে অভিনন্দন।
প্রজা বলল, ওমা! মিছিল বেরিয়ে গেছে। রিতা উৎফুল্লম্বরে বলল, জয় বাংলা।
আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে বললাম, চমৎকার। ফাইনালে দেখা হবে।

২য় পরিচ্ছেদ 

অর্থ ও অর্থান্তর 

উত্তত্তর: ‘পাকাপাকি’ ছড়ায় পাকা শব্দের ভিন্নার্থে প্রয়োগ। 

বাক্যে প্রয়োগ

পাকা শব্দের অর্থ

আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে

পরিপক্ব

কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে

শক্ত

রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে

স্থায়ী

ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে

পরিপূর্ণ

হাত পাকে লিখে লিখে

দক্ষ

চুল পাকে বয়সে

সাদা হওয়া

জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে

পটু

কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে

পরিপক্ব

বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে

পরিণত 

কান পাকে ফোঁড়া পাকে

পুঁজ হওয়া

কথা যার পাকা নয় কাজে তার ঠনঠন

স্থায়ী 

রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে

রান্না করা

সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে

রাগান্বিত 

পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে

মোচড়ানো 

দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে

তা দেওয়া

প্রতিশব্দ

প্রদত্ত ছক হতে প্রতিশব্দ আলাদা করি

উত্তর:

১. রাত, রাত্রি, রজনী 

২. বাড়ি, ঘর, ভবন

৩. কপোত, পায়রা, কবুতর 

৪. আনন্দ, খুশি, হর্ষ

৫. চোখ, নেত্র, নয়ন

৬. ইচ্ছা, বাসনা, আকাঙ্ক্ষা

৭. বায়ু, হাওয়া, বাতাস

৮. আকাশ, গগন, আসমান

৯. কপাল, ভাগ্য, ললাট

১০. খবর, বার্তা , সংবাদ

প্রতিশব্দের তালিকা নিয়ে আলোচনা এবং অনুচ্ছেদে প্রতিশব্দের প্রয়োগ।

আমার কনিষ্ঠ মামা নগরে থাকেন। একদিন সংবাদ পেলেন, রূপখালী গাঁয়ে মানুষ একটা নূতন বিদ্যালয় চালু করবে। তাঁর সাধ হলো, তিনিও এই কর্মেরর্মে সঙ্গে যুক্ত হবেনসেজন্য এক আঁধার রাতে তিনি ব্যাগপত্র গুছিয়ে রওনা দিলেন। বহু দূরের রাস্তা। গাড়িতে করেই তাঁকে রওনা দিতে হলো। গাড়ি থেকে যখন নামলেন, তখন প্রভাত হয়ে গেছে। পুব আসমানে রবি উদিত হয়েছে রক্তিম বর্ণেরবর্ণেকনিষ্ঠ মামার মনে হলো, এবার তিনি আসলেই একটা উত্তম কর্ম করতে পারবেন।

বিপরীত শব্দ

এই শহরে অনেক মানুষ বাস করে।

বাক্য: এই শহরে অল্প মানুষ বাস করে।

বীথির বাড়ি দূরে

বাক্য: বীথির বাড়ি কাছে

শুকনো খাবার আমার পছন্দ

বাক্য: শুকনো খাবার আমার অপছন্দ

আজ গরম পড়েছে।

বাক্য: আজ ঠান্ডা পড়েছে।

তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন।

বাক্য: তিনি জেগে ছিলেন।

এ জমি উর্বরর্ব।

বাক্য: এ জমি অনুর্বরর্ব।

ভালো কাজ করব।

বাক্য: খারাপ কাজ করব।

তুমি যাও।

বাক্য: তুমি এসো।

ছেলেটি চালাক।

বাক্য: ছেলেটি বোকা।

কুকুর বিশ্বাসী প্রাণী।

বাক্য: কুকুর অবিশ্বাসী প্রাণী।

বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে বিপরীত শব্দ বসায়

এই শহরে অনেক মানুষ থাকে।

বাক্য: এই শহরে অল্প মানুষ থাকে না।

বীথির বাড়ি দূরে

বাক্য: বীথির বাড়ি কাছে নয়।

শুকনো খাবার আমার পছন্দ

বাক্য: শুকনো খাবার আমার অপছন্দ নয়।

আজ গরম পড়েছে।

বাক্য: আজ ঠান্ডা পড়েনি।

তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন।

বাক্য: তিনি জেগে ছিলেন না।

এ জমি উর্বরর্ব।

বাক্য: এ জমি অনুর্বরর্ব নয়।

ভালো কাজ করব।

বাক্য: খারাপ কাজ করব না।

তুমি যাও।

বাক্য: তুমি এসো না।

ছেলেটি চালাক।

বাক্য: ছেলেটি বোকা নয়।

কুকুর বিশ্বাসী প্রাণী।

বাক্য: কুকুর অবিশ্বাসী প্রাণী নয়।

৩য় পরিচ্ছেদ 

যতিচিহ্ন 

কোথায় কোন যতিচিহ্ন বসে

উদাহরণ উপস্থাপনের সময়ে

ড্যাশ ( : ) 

এক বাক্যের ব্যাখ্যা পরের বাক্যে করা হলে দুই বাক্যের মাঝে

ড্যাশ ( –) 

কারো কথা সরাসরি বোঝাতে

উদ্ধৃতি ( ‘  ’) 

কোনো বাক্যে যখন কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়

প্রশ্নচিহ্ন (?) 

ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক আম্পর্ক ছে এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে

সেমিকোলন  ( 😉 

দুটি শব্দকে এক করতে

হাইফেন ( -) 

বাক্যে বিভিন্ন ধরনের আবেগ বোঝাতে

বিষ্ময়চিহ্ন (!) 

বাক্যের বিবরণ সাধারণভাবে শেষ হলে

দাঁড়ি (।) 

বাক্যের মধ্যে যখন একটু থামতে হয়

কমা (,) 

বিভিন্ন প্রকার যতিচিহ্নের ব্যবহার রয়েছে এমন একটি অনুচ্ছেদ প্রস্তুত করি।

জানি, কথাটি শুনলে তোমাদের কারো বিশ্বাস হবে না। সেই লেখক একদিন বিকালে আমাদের 

বাড়িতে এসে হাজির। তাঁর হাতে অনেক নতুন বই। আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘আপনি কি আমাদের  বাড়িতে এসেছেন?’ তিনি আমার কথার জবাবে ছোটো করে বললেন, ‘হ্যাঁ।’ আমি অনেকক্ষণ কোনো কথা বলতে পারছিলাম না। শুধু তাঁর হাতের বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এক সময়ে বললাম, ‘কিন্তু কেন, তা কি জানতে পারি?’ তিনি বললেন, ‘বারে! তুমি বই পড়তে ভালোবাসো; তাই বই  নিয়ে এসেছি।’

৪র্থ পরিচ্ছেদ 

বাক্য

অনুচ্ছেদে ৪ ধরনের বাক্যের প্রয়োগ করা।

১. আমি বাজারে যাচ্ছি।

একটি সাধারণ বক্তব্য বোঝানো হচ্ছে।

২. তুমি কোথায় যাচ্ছ?

জানতে চাওয়া হচ্ছে।

৩. তুমি বাজারে যাও।

নির্দেশ বোঝানো হচ্ছে।

৪. ওরে বাবা! কত বড়ো বাজার!

অবাক হয়েছে এমন অনুভূতি বোঝানো হচ্ছে।

বিভিন্ন ধরনের বাক্য খুঁজি

‘সুখী মানুষ’ নাটকটি থেকে চার ধরনের বাক্য খুঁজে বের করো।

১. বিবৃতিবাচক বাক্য:১. তোমার মোড়ল একটা কঠিন লোক
২. মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না। 
৩. মানুষ এবং প্রাণী অমর নয়।
৪. মোড়ল আমার মনিব।
২. প্রশ্নবাচক বাক্য:১. বাঘের চোখ আনতে হবে?
২. হিমালয় পাহাড় তুলে আনব?
৩. সুখ কোথায় পাব?
৪. আমার মনে দুঃখ কেন?
৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য:১. তাহলে একটি কঠিন কর্ম করতে হবে।
২. মোড়লের মুখে শরবত ঢেলে দাও।
৩. আমাকে শান্তি এনে দাও।
৪. আমাকে ভালো করে দাও।
৪. আবেগবাচক বাক্য:১. কী তাজ্জব কথা। পাঁচ গ্রামে একজনও সুখী মানুষ পেলাম না
২. জামা মানে জামা। এই যে, আমাদের এই জামার মতো জিনিস

অনুচ্ছেদ লিখি

বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক ও আবেগবাচক- এই চার ধরনের বাক্য ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।

উত্তর:

স্কুল ছুটির পর কয়েকজন মেয়ে একসাথে স্কুল থেকে বাড়ি যাচ্ছিল। হঠাৎ সামনের মেয়েটি থমকে দাঁড়াল। পেছনের মেয়েটি বলল, “কীরে থামলি কেন? প্রথম মেয়েটি বলল, “দেখ, কী সুন্দর প্রজাপতি!” দ্বিতীয় মেয়েটি বলল, ‘চমৎকার! খুব সুন্দর। তৃতীয় মেয়েটি বলল, “এই তাড়াতাড়ি চল। দেরি করলে মা বকবেন।” চতুর্থ মেয়েটি বলল, “আহা রে! তোর অনেক দুঃখ”। 

Comments are closed.