এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয় এর ৩য় অধ্যায়, পিকনিক পিকনিক সম্পর্কে।
পিকনিক হল সামাজিক মিলনের জন্য একটি বিনোদন ও রমণীয় অনুষ্ঠান। এটি আমাদের পরিবেশ থেকে দূরে স্থান হতে হয় বা আমাদের নিজেদের স্থানেও হয়ে থাকে এবং এটি আমাদের পরিবেশ থেকে ভিন্ন আনন্দ ও উত্সাহ দেয়। পিকনিক করার সময়, আমরা আমাদের পরিবেশ থেকে দূরে যায় এবং নিজেদের জন্য খাদ্য, খেলনা, সঙ্গী এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক জীবনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক আনন্দ অনুভব করি।
প্রথম সেশনঃ
পিকনিকের মেন্যু
- ১। পোলাও
- ২। মুরগির ঝাল রোস্ট
- ৩। বিরিয়ানি
- ৪। সালাত
- ৫। শরবত
রেসিপি – ১
খাবারের নাম: সাদা পোলাও | কীভাবে তৈরি করতে হয়? |
কী কী উপকরণ লাগে? ১. চাল ৫০০ গ্রাম ২. কাঁচা মরিচ ৪/৫ টি ৩. পেঁয়াজকুচি ২/৩টি ৪. তেজপাতা ২/৩টি ৫. দারুচিনি ৪/৫ টুকরা ৬. এলাচ ৪/৫টি ৭. আদাবাটা ১চামচ ৮. জিরাবাটা ১ চামচ ৯. কিসমিস, গরম পানি ১০. লবণ, ঘি ও তেল পরিমানমত। কতক্ষন সময় লাগবে?(প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগবে।) | ১) চাল ভালভাবে ধুয়ে রেখে দিন ১০ মিনিট। ২) পাতিল ভাল করে ধুয়ে তারপর চুলায় পাতিল দিন, ভালভাবে গরম হলে সেখানে তেল বা ঘি দিয়ে দিন। ৩) তেল ভালভাবে গরম হবার পর তেজপাতা, পেঁয়াজকুচি দিয়ে নাড়ুন, কিছুক্ষন পর চালগুলি ঢেলে দিয়ে ১০ মিনিট নাড়ুন। ৪) অন্য পাতিলে পানি গরম করুন। ৫) তারপর লবন, আদাবাটা, এলাচ, কিসমিস, দারুচিনি দিয়ে কিছুক্ষন নাড়ুন। এরপর গরম পানি পরিমাণ মত ঢেলে দিন একটু নাড়ুন তারপর ঢেকে দিন। অল্প আঁচে ১০/১৫ মিনিট রাখুন। ৬) মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দিন। ১০/১৫ মিনিট পর জিরাবাটা দিয়ে একটু নাড়ুন। চাল শক্ত থাকলে আরও ৫/৬মিনিট চুলায় রাখুন, এরপর নামিয়ে পরিবেশন করুন। |
রেসিপি – ২
খাবারের নাম: মুরগির ঝাল রোস্ট | কীভাবে তৈরি করতে হয়? |
কী কী উপকরণ লাগে? মুরগির মাংস- দেড় কেজিতেল- আধা কাপপেঁয়াজ বাটা- আধা কাপ আদা-রসুন বাটা- ১ টেবিলচামচতেজপাতা- ১টিকাঁচামরিচ- কয়েকটিধনে গুঁড়া- ১ চা চামচমরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া- ১/৪ চা চামচলবণ- প্রয়োজন মতোদুধ- আধা কাপআলুবোখরা- ৫/৬টিকেওড়া জল ১ টেবিল চামচঘি- ১ টেবিল চামচপেঁয়াজ বেরেস্তা- ১ টেবিল চামচ কতক্ষন সময় লাগবে?(প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগবে।) | ১. মসলা তৈরির উপকরণগুলো সব একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। গুঁড়া করার আগে টেলে নেওয়ার দরকার নেই। মুরগির মাংস চার টুকরা বা ছয় টুকরা করুন। মাংসের মাঝে ছুরি দিয়ে লম্বা করে চিরে নিন যেন ভেতরে মসলা যেতে পারে। ২. ১ চা চামচ লবণ ও ১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়া দিয়ে মাংস মেখে রাখুন। চুলায় মিডিয়াম হাই হিটে প্যান বা হাঁড়ি বসিয়ে তেল দিন। ৩. তেল খানিকটা গরম হলে ভেজে নিন মুরগির মাংস। খুব বেশি ভাজার দরকার নেই। ৫/৬ মিনিট ধরে দুই দিক ভেজে নিন। একই প্যানে রোস্ট রান্না করুন। ৪. চুলার আঁচ কমিয়ে মাঝারি করে গরম তেলে দিয়ে দিন পেঁয়াজ ও আদা-রসুন বাটা দিয়ে ২ মিনিট ভেজে নিন। তেজপাতা ছিড়ে দিন।কাঁচামরিচ দিন মাঝখান দিয়ে চিরে। তৈরি করা গুঁড়া মসলা থেকে অর্ধেক অংশ দিয়ে দিন প্যানে। ৫. এবার ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ও টক দই দিয়ে তৈরি মসলার পেস্ট দিয়ে নেড়ে নিন। ১/৪ কাপ পানি দিয়ে ৫ মিনিট সময় নিয়ে কষিয়েনিন মসলা। ৬. তেল উঠে আসলে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ভেজে রাখা মুরগির | মাংসের টুকরা দিয়ে দিন। দুধ ও আধা কাপ পানি দিয়ে নেড়ে চুলার আঁচ কমিয়ে প্যান ঢেকে দিন। মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢেকে রাখুন প্যান। ৭. ১৫ মিনিট পর সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা উঠিয়ে আলুবোখরা ও কয়েকটি আস্ত কাঁচামরিচ দিন। ঘি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কেওয়া জল দিয়ে নেড়ে নিন। ২ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন চুলার উপরে। ৮. চুলা বন্ধ করে আরও ৫ মিনিট প্যান রেখে দিন চুলায়। সাদা পোলাও এর সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন মুরগির মজাদার ঝাল রোস্ট। |
👉 আকাশ কত বড়? | বিজ্ঞান – ১ম অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
রেসিপি – ৩
খাবারের নাম: বিরিয়ানি | কীভাবে তৈরি করতে হয়? |
কী কী উপকরণ লাগে? ১. খাসির মাংস ২ কেজি ২. চাল ১ কেজি (পোলাউর চান বা বাসমতি) ৩. জয়ফল, জয়রি, এলাচ ও দারচিনি ২ চা চামচ ৪. আদা বাটা ১.২ (হাফ) কাপ ৫. রসুন বাটা ৪ চা চামচ ৬. টমেটো সস ১ কাপ ৭. মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ ৮. টক দই ২ কাপ ৯. সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ ১০. জর্দার রং সামান্য ১১. অদার রং সামান্য পরিমাণ ১২. গুড়া দুধ ৪ চা চামচ ১৩. কেওড়া জল ৪ চা চামচ ১৪. লবণ পরিমাণ মত ১৫. আলু ১ কেজি ১৬. শাহী জিরা ২ চা চামচ ১৭. চিনি ২ চা চামচ (না দিলে সমস্যা নেই) ১৮. পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ কাপ ১৯. এলাচ, দারচিনি ৫-৮টি ২০. আলু বোখারা ৮-১০টি ২১. মি হাফ কাপ ২২. ময়দা ময়াম প্রয়োজন মত ২৩. জাফরান হাফ চা চামচ ২৪. তেজপাতা এবং লবঙ্গ ২৫. কাঁচা মরিচ ২৬. তেল পরিমাণ মত কতক্ষন সময় লাগবে?(প্রায় ৫০ মিনিট সময় লাগবে।) | প্রথমে খাসির মাংস টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে একে একে আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, লাল মরিচ গুঁড়া, জিরা, ধনিয়া, জয়ফল, | জয়ত্রী লবণ, টকদই সবকিছু একসঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে ম্যারিনেট করে আধাঘণ্টা ঢাকানা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। এবার অন্য আরেকটি পাতিলে তেল গরম দিন। গরম হলে সেখানে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাঁজুন। অর্ধেক ভাজা পেঁয়াজ তুলে রাখুন এবার গোটা গরম মসলা দিয়ে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে কষিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। প্রয়োজনে অল্প পানি দেয়া যায়। খাসি রান্না হয়ে গেলে মাখা মাখা ঝোল থাকবে। এখন বিরিয়ানির চালগুলো ভালো করে ধুয়ে ১৫-২০ মিনিট ঝরিয়ে রাখুন। এবার অন্য পাত্রে বিরিয়ানির ভাত তৈরি করার জন্য পরিমাণ মত পানি নিয়ে এতে দারুচিনি, তেজপাতা, শাহী জিরা, গুঁড়া দুধ ২-৩ চা চামচ দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানি থেকে ১ মগ পানি রেখে দিন এবং এতে গুড়া দুধ, ঘি, কেওড়া জল দিয়ে নেড়ে রেখে দিন। এখন চালগুলো আধা সিদ্ধ করে নামিয়ে ঝরিয়ে নিন। এবার যেই পাত্রে মাংস রাখা হয়েছে তার উপর গরম ভাতটা | সুন্দর করে বিছিয়ে দিন। তারপর রেখে দেয়া মগের পানিটা ভালো করে চারদিকে ছড়িয়ে দিন এবং আলু বোখারা, | জাফরান, বেরেস্তা, কাঁচা মরিচ, জৰ্দ্দা রং দিয়ে ঢেকে দিন। এখন ময়দার ময়াম দিয়ে পাত্রের চারদিকে আটকিয়ে দিন | যাতে কোন দিক খোলা না থাকে। এবার চুলায় পাত্রটি | বসিয়ে প্রথম ১০ মিনিট একটু বেশি আঁচে এবং পরবর্তী ৩০- | ৪০ মিনিট কম আঁচে প্রয়োজনে নিচে একটি তাওয়া দিয়ে দমে রাখুন। এখন পরিবেশন করুন গরম গরম মজাদার কাচ্চি বিরিয়ানি। |
👉 আমাদের যারা প্রতিবেশী | বিজ্ঞান অনুশীলন – ৪র্থ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
রেসিপি – ৪
খাবারের নাম: সালাদ | কীভাবে তৈরি করতে হয়? |
কী কী উপকরণ লাগে? ১. সালাদের জন্য কচি শসা নিতে হবে ৩টি ২. সাদা সিরকা ২ টিবিল চামচ। ৩. সয়াসস নিতে হবে ১ চা চামচ। ৪. চিনি ২ চা চামচ। ৫. শুকনা মরিচ কচি করেনিতে হবে হাফ চা চামচ । কতক্ষন সময় লাগবে?(প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগবে।) | ১. শসার সালাদ বানানোর জন্য প্রথমে শসার সমস্ত খোসা ছাড়িয়ে ২ চা চামচ লবণ মাখিয়ে নিতে হবে। ২. এরপর পাতলা পাতলা স্লাইস করে শসা কেটে নিতে হবে। ৩. শসার সালাদ বানানোর জন্য অন্যান্য সকল উপাদান একসাথে মিশাতে হবে। ৪. বাটিতে শসা নিয়ে উপরে ড্রেসিং ঢেলে দিতে হবে এবং ড্রেসিং এর সাথে শসা নেড়েচেড়ে মিশিয়ে দিতে হবে। ৫. এরপর ৩০ মিনিট একটা পাত্রে ঢেকে রেখে দিতে হবে। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার সালাদ । |
রেসিপি – ৫
খাবারের নাম: লেবুর শরবত | কীভাবে তৈরি করতে হয়? |
কী কী উপকরণ লাগে? ১। ফ্রেশ লেবু। ২। বিট লবণ। ৩। চিনি । ৪। গোলমরিচ। ৫। পুদিনা পাতা। ৬। ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি৷ | ১. প্রথমে লেবুগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। ২. এরপর লেবুগুলো কেটে রস বের করে নিন। ৩. একটি জগে ঠাণ্ডা পানির মধ্যে রসগুলো নিয়ে নিন। ৪. পরিমাণ মতো বিট লবণ, গোলমরিচ এবং চিনি মিশিয়ে নিন। ৫. এরপর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন। |
দ্বিতীয় সেশনঃ
( এই সেশনে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই, তোমাদের শ্রেণি শিক্ষক এই বিষয়ে ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিবেন।)
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ
রান্নার আগে এবং পরে তার রঙ, স্বাদ, গন্ধ কেমন তা নিচের চকে দেওয়া হলোঃ
উপাদানের নাম | রঙ | স্বাদ | ঘ্রাণ | আকার | |
মুরগির মাংস | রান্নার আগে/ প্রক্রিয়াকরণের আগে | লালচে সাদা | প্রয়োজন নাই | আইশটা | লম্বাটে, ব্যালনাকার, চ্যাপ্টা |
রান্নার পরে/ প্রক্রিয়াকরণের পরে | লালচে হলুদ | ঝাল | সুগন্ধি | লম্বাটে, ব্যালনাকার, চ্যাপ্টা | |
পোলাও চাল | রান্নার আগে/ প্রক্রিয়াকরণের আগে | সাদা | প্রয়োজন নাই | সুগন্ধি | ছোট আকৃতির লম্বাটে এবং চ্যাপ্টা |
রান্নার পরে/ প্রক্রিয়াকরণের পরে | সাদা | মিষ্টি অথবা পানসে | সুগন্ধি | ছোট আকৃতির লম্বাটে এবং চ্যাপ্টা | |
শসা | রান্নার আগে/ প্রক্রিয়াকরণের আগে | সবুজ | পানসে | মিষ্টি | লম্বাটে, ব্যালনাকার |
রান্নার পরে/ প্রক্রিয়াকরণের পরে | সবুজ | নোনতা | সব্জির ঘ্রাণ | গোল চাকতির ন্যায় | |
গাজর | রান্নার আগে/ প্রক্রিয়াকরণের আগে | কমলা | মিষ্টি | মিষ্টি ঘ্রাণ | উপরের দিক মোটা। এবং নিচের দিক ক্রমশ সর |
রান্নার পরে/ প্রক্রিয়াকরণের পরে | কমলা | মিষ্টি | মিষ্টি ঘ্রাণ | গোল চাকতির ন্যায় | |
টমেটো | রান্নার আগে/ প্রক্রিয়াকরণের আগে | লাল | টক | টক | গোল চাকতির ন্যায় |
রান্নার পরে/ প্রক্রিয়াকরণের পরে | লাল | নোনতা টক | টক | গোল চাকতির ন্যায় |
পঞ্চম সেশনঃ
(গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই)
👉 আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২য় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী – বিজ্ঞান
ষষ্ঠ ও সপ্তম সেশনঃ
তাপমাত্রা রেকর্ডের সময় | তাপমাত্রা (সেলসিয়াস স্কেলে) |
বরফ দেওয়ার আগে | ২৫° সেলসিয়াস |
বরফ গলে পানিতে মিশে যাওয়ার আগমুহূর্ত | ১০° সেলসিয়াস |
আধা ঘণ্টা গ্লাসটা রেখে দেওয়ার পর | ১৪° সেলসিয়াস |
প্রশ্ন: আমরা কীভাবে গন্ধ পাই?
উত্তরঃ আমাদের নাকের মধ্যে থাকে এক ধরনের স্নায়ু যা গন্ধের অণুগুলোকে গ্রহণ করে বৈদ্যুতিক সিগনালে রূপান্তর করে মস্তিষ্কে পাঠিয়ে দেয় ফলে আমরা গন্ধ পাই।
ব্যাপন: ব্যাপন হল উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্ন ঘনত্বের অঞ্চলে পদার্থের অণুগুলো ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা।
প্রশ্নঃ দূর থেকে কীভাবে গন্ধ আমাদের নাক পর্যন্ত আসে?
উত্তরঃ প্রকৃতপক্ষে আবর্জনা বা পচা খাবার ছোট একটা জায়গায় অনেক পরিমাণে থাকায় এর ঘনত্ব অনেক বেশি থাকে। তাই পূর্ণভযুক্ত অণুসমূহ গ্যাসীয় অবস্থায় চারিদিকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পূর্ণদযুক্ত গ্যাসীয় অণুগুলো উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ গ্যাসের অণুগুলোর মধ্যে ব্যাপন ঘটে এবং কিছু অণু নাকে প্রবেশ করলে আমরা সেই গন্ধ অনুভব করতে পারি।
প্রকৃতপক্ষে সুগন্ধযুক্ত বস্তু একটি বোতল বা ছোট আয়তনের পারে আবদ্ধ থাকায় এর ঘনত্ব অনেক বেশি থাকে। তাই পারে মুখ খোলার সাথে সাথে সুগন্ধির অণুসমূহ গ্যাসীয় অবস্থায় চারিদিকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সুগন্ধির গ্যাসীয় অণুগুলো উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ গ্যাসের অণুগুলোর মধ্যে ব্যাপন ঘটে এবং কিছু অণু নাকে প্রবেশ করলে আমরা সেই গন্ধ অনুভব করতে পারি।
তোমাদের ছকে গ্লাসের পানির তাপমাত্রার যে ওঠানামার রেকর্ড পেয়েছো তার পেছনে কারণ কী?
উত্তরঃ সব বস্তু বা পদার্থেরই তাপমাত্রা থাকে। পদার্থের এ তাপমাত্রা যেমন বাড়তে পারে, তেমন কমতেও পারে। বরফ দেওয়ার আগে পানির তাপমাত্রা ছিল 20°C কিন্তু বরফ দেওয়ার পর পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা বরফ থেকে বেশি হওয়ায় বরফ গলে যায়। বরফ পুরো গ্লাসের পানিকে ঠান্ডা বা কম তাপমাত্রা 10°C এ নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পারিপার্শিক তামপাত্রা বেশি থাকায় গ্লাসের পানির তাপমাত্রা আরো বাড়তে থাকে এবং 14°C এ পৌঁছায়।
ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন
ভৌত পরিবর্তন | রাসায়নিক পরিবর্তন |
১। মোমের দহন | ১। মরিচা |
২। চিনির দানা গুড়া করা | ২। রান্না করা পদার্থ |
৩। লোহার টুকরাকে চৌম্বক দ্বারা ঘর্ষণ | ৩। দিয়াশলাই কাঠির দহন |
৪। বরফ গলা | ৪। কাঠ পেড়ানো |
৫। শরবত | ৫। খাবার হজম হওয়া |
শেষ কথাঃ
প্রশ্ন | তোমার উত্তর |
আশেপাশে কোন কোন পরিবর্তন তোমারএখন চোখে পড়ছে যা আগে কখনো খেয়ালকরো নি? | ১। কাঁচ ভাঙ্গা- ভৌত পরিবর্তন ২। সালোকসংশ্লেষণ- রাসায়নিক পরিবর্তন ৩। পানি ফোঁটানো- ভৌত পরিবর্তন |
তোমার বাসার রান্নাঘরে বিভিন্ন বস্তুর আর কী কী ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে তা এখন খুঁজে বের করো তো! | ১। শাকসব্জি কাঁটা- ভৌত পরিবর্তন ২। মাছ-মাংস কাঁটা- ভৌত পরিবর্তন ৩। দুধ টক হওয়া – রাসায়নিক পরিবর্তন 8। লোহার জিনিসপত্রে মরিচা ধরা- রাসায়নিক পরিবর্তন ৫। রান্না করা পদার্থ – রাসায়নিক পরিবর্তন ৬। ফল পঁচে যাওয়া রাসায়নিক পরিবর্তন |