পদার্থের সুলুকসন্ধান – সমাধান | বিজ্ঞান – অনুশীলন বই | ২য় অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণী 

পদার্থের সুলুকসন্ধান - সমাধান | বিজ্ঞান - অনুশীলন বই | সপ্তম শ্রেণী 

এই পোস্টে আমরা জানব সপ্তম  শ্রেনীর, বিষয় বিজ্ঞান (অনুশীলন বই) এর ২য় অধ্যায়, পদার্থের সুলুকসন্ধান সম্পর্কে।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ 

ছকঃ ১

বস্তুর নামবস্তুটি যে পদার্থ দিয়ে তৈরিবস্তুটির বাহ্যিক অবস্থা (কঠিন / তরল / বায়বীয় বস্তুটির বৈশিষ্ট্য কী কী (ভঙ্গুর কিনা, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা, চকচকে কিনা ইত্যাদিবস্তুটি কি কাজে লাগে?
চেয়ারকাঠকঠিনভঙ্গর কিনা = হ্য
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না
বসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
টুলকাঠকঠিনভঙ্গর কিনা = হ্য
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না
বসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
বেঞ্চকাঠকঠিন ভঙ্গর কিনা = হ্য
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না
বসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
বোর্ডপ্লাস্টিক কঠিনভঙ্গর কিনা = হ্য
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না
লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ডাস্টারপ্লাস্টিক কঠিন ভঙ্গর কিনা = হ্য
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না
লেখা মুছার জন্য ব্যবহৃত হয়।
কলমপ্লাস্টিক কঠিন ভঙ্গর কিনা = হ্য
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না
লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
লাইটপ্লাস্টিক কঠিন ভঙ্গর কিনা = হ্য
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না
ঘর আলোকিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 
থালা-বাসনপ্লাস্টিক কঠিন ভঙ্গর কিনা = হ্য
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না
খাবার রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্লাস্টিকের স্কেল প্লাস্টিক কঠিন ভঙ্গর কিনা = হ্য
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না
পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 
লোহার স্কেল লোহা কঠিন ভঙ্গর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা
পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 
কড়াইলোহাকঠিনভঙ্গর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা
খাবার রাখা বা রান্না করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 
ফ্যানলোহাকঠিনভঙ্গর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা
ঘর ঠাণ্ডা বা শীতল করতে ব্যবহৃত হয়। 
হাড়িলোহাকঠিনভঙ্গর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা
খাবার রাখা বা রান্না করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

ধাতুঃ যে সকল পদার্থ চকচকে, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ করে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী সেগুলোকে ধাতু বলে। যেমন: স্টিল, লোহা, তামা ইত্যাদি।

অধাতুঃ যে সকল পদার্থ অ-চকচকে, ভঙ্গুর, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ করে না এবং তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী নয় সেগুলোকে অধাতু বলে। যেমন: কাঠের বস্তু, প্লাস্টিকের বস্তু, কাপড় ইত্যাদি।

উপরের ছকের বস্তুগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে নিচের শর্ত অনুযায়ী শ্রেণিবন্ধ করোঃ

বস্তুর নামকি দিয়ে তৈরি? ধাত নাকি অধাতুতাপ পরিবহন করে কিনা?বিদ্যুৎ পরিবহন করে কিনা।
তামার তারতামাধাতুহ্যা/সুপরিবাহীহ্যা/সুপরিবাহী
হাড়িলোহাধাতুহ্যা/সুপরিবাহীহ্যা/সুপরিবাহী
স্টিল স্টিল ধাতুহ্যা/সুপরিবাহীহ্যা/সুপরিবাহী
লোহালোহাধাতুহ্যা/সুপরিবাহীহ্যা/সুপরিবাহী
চেয়ার,টেবিলকাঠঅধাতুনা/অপরিবাহীনা/অপরিবাহী
কাপড় সুতাঅধাতুনা/অপরিবাহীনা/অপরিবাহী
প্লাস্টিকের পদার্থ প্লাস্টিক অধাতুনা/অপরিবাহীনা/অপরিবাহী

👉 কোষ পরিভ্রমণ – সমাধান | বিজ্ঞান – অনুশীলন বই | তৃতীয় অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণী 

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ 

মডেলের পরমাণুর ইলেকট্রন কয়টি কক্ষপথে সাজানো আছে, আর তার পারমাণবিক ভর কত, তাও নিচে লিখে রাখা হলোঃ

মডেল তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণের তালিকা:



কাগজ, আটার মগু, মাটি, দেশলাই কাঠি, সুতা ইত্যাদি
.
পারমাণবিক ভর-৮ইলেক্ট্রনের কক্ষপথের সংখ্যা-২

দৈনন্দিন জীবনে তাপ ও বিদ্যুৎ সম্পর্কিত কাজের উদাহরণঃ

যে কাজে প্রয়োজ (উদাহরণ) চুলায় রান্নাধাতু/অধাতু কোনটি বেশি উপযোগী?উদাহরণ: ধাতু, যেমন- অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, লোহা ইত্যাদি
পাখা চালানোধাতু
বৈদ্যুতিক বাল্বধাতু
জেনারেটর চালানোধাতু

👉 ফসলের ডাক – সমাধান | বিজ্ঞান (অনুশীলন বই) – ১ম অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ 

★পানি কিভাবে আগুন নেবাতে সাহায্য করে?

আগুনের সংস্পর্শে পানি গেলে আগুনের তাপে পানি বাষ্পে পরিণত হয়। এই বাষ্প অক্সিজেনকে আগুনের সংস্পর্শে যেতে বাঁধা দেয়। আর আমরা সকলেই জানি অক্সিজেন ছাড়া আগুন জ্বলতে পারেনা। এভাবেই পানি আগুন নেভায়।

★কার্বন ডাই অক্সাইড কীবাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে? 

বাতাসে যদি অক্সিজেনের ঘনত্ব বেশি থাকে তাহলে আগুন বেড়ে যায় আর যদি কার্বন – ডাইঅক্সাইডের ঘনত্ব বেশি থাকে তবে আগুন নিভে যায়।

প্রশ্নঃ মৌলিক পদার্থ কী?

যেসকল পদার্থকে ভাঙ্গলে ঐ পদার্থ ছাড়া অন্যকোন পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন: কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O)

প্রশ্ন: যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?

যে সকল পদার্থকে ভাঙ্গলে দুই বা দুইয়ের অধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন: পানি (H2O), কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) 

নোটঃ যৌগিক পদার্থের ধর্ম হচ্ছে সেটি যে মৌলিক পদার্থ দিয়ে তৈরি তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়।

পদার্থগুলোর বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো নোট করা হলোঃ

পদার্থস্বাভাবিক তাপমাত্রায় অবস্থা (কঠিন/তরল/ বায়বীয়)আগুনে দাহ্য কিনাঅন্যান্য বৈশিষ্ট্য (স্বাদ/গন্ধ/বর্ণ) যদি জানা থাকে
পানিতরলনাস্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন
হাইড্রোজেনবায়বীয়হ্যাস্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন
অক্সিজেনবায়বীয়হ্যাস্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন
কার্বন ডাইঅক্সাইডবায়বীয়নাস্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন
কার্বনকঠিন হ্যাস্বাদহীন, গন্ধহীন।

👉অদৃশ্য প্রতিবেশী – সমাধান | বিজ্ঞান – অনুশীলন বই | ৫ম অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণী 

মিশ্রণ: দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ একত্রে অবস্থান করাকে মিশ্রণ বলে।

যেমন: বায়ু (নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড বা বাষ্প থাকে), লবণ- পানি, চিনি-লবণ।

নোটঃ মিশ্রনের উপাদানগুলোর নিজ নিজ ধর্ম বজায় থাকে। একাধিক মৌল বা যৌগ রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয় না।

বিশুদ্ধ পদার্থ: যে পদার্থগুলোর মধ্যে একাধিক পদার্থ মিশে থাকে না তাদেরকে বিশুদ্ধ পদার্থ বলে।

যেমন: পানি, চিনি, লবণ, কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি ।

ছক পূরনঃ 

পদার্থস্বাভাবিক তাপমাত্রায় অবস্থা (কঠিন/তরল/বয়বীয়)আগুনে দাহ্য কিনা?অন্যান্য বৈশিষ্ট্য (স্বাদ / গন্ধ / বর্ণ) যদি জানা থাকে
পানিতরলনাস্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন
লবণ / চিনি (প্রযোজ্য উপাদানে টিক দাও)(লবণ) কঠিননাস্বাদ: নোনতা, গন্ধ: গন্ধহীনবর্ণ: সাদা, সবুজ, নীল, হলুদ,খয়রী, গোলাপি, লাল ইত্যাদি
লবণ / চিনি (প্রযোজ্য উপাদানে টিক দাও)(চিনি) কঠিননাস্বাদ: মিষ্টি,  গন্ধ: গন্ধহীনবর্ণ: সাদা, লাল, বাদামি
পানি ও তরল লবণ / চিনি মিশ্রণে তৈরি শরবত তরলনালবণ এবং চিনির প্রত্যেকের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে

সপ্তম ও অষ্টম সেশনঃ 

মৌলিক, যৌগিক এবং মিশ্র পদার্থরে মধ্যে পার্থক্যঃ

মৌলিকযৌগিকমিশ্র
১. যেসকল পদার্থকে ভাঙ্গলে ঐ পদার্থ ছাড়া অন্যকোন পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে১. যে সকল পদার্থকে ভাঙ্গলে দুই বা দুইয়ের অধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।১. দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ একত্রে অবস্থান করাকে মিশ্রণ বলে
২. কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O)২. পানি (H2O), কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2), লবণ (NaCl)২. কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O), পানি (H2O), কার্বন ডাই অক্সাইড। (CO2), (NaCl)
৩. এক রকম পরমাণু পাওয়া যায়৩. বিভিন্ন রকমের পরমাণু পাওয়া যায়।৩. একই রকম অনু এবং বিভিন্ন রকমের পরমাণু পাওয়া যায়।

নবম সেশনঃ 

মৌল বা যৌগের সংকেতকোন মৌলের কয়টি পরমাণু রয়েছে?
CO(কার্বন) C = ১টি, (অক্সিজেন) O = ১টি
H₂SO4(হাইড্রোজেন) H = ২টি, (সালফার) ১=১টি, (অক্সিজেন)O = ৪টি
O3( অক্সিজেন) O =৩টি
N₂O(নাইট্রোজেন) N=২টি, ( অক্সিজেন) O = ১টি

এ কাজে তোমরা নতুন কী কী শিখেছ?

১। আমাদের আশেপাশে থাকা বিভিন্ন রকম বস্তুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনেছি।

২। ধাতু এবং অধাতু সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি।

৩। পরমাণু সম্পর্কে বিস্তর ধারণা পেয়েছি। 

৪। মৌলিক, যৌগিক এবং মিশ্র পদার্থ সম্পর্কে জেনেছি।

৫। মৌল বা যৌগের সংকেত সম্পর্কে জেনেছি।