এই পোস্টে আমরা জানবো সপ্তম শ্রেনীর বাংলা বিষয় এর ১ম অধ্যায়, প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি সম্পর্কে।
সর্বনাম: নামের পরিবর্তে যে সকল শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে।
যেমন: হস্তী প্রাণীজগতের সর্ববৃহৎ প্রাণী। তার শরীরটা যেন বিরাট এক মাংসের স্তুপ।
এখানে ‘তার’ শব্দটি সর্বনাম।
কবির ক্লাসের মেধাবী ছাত্র।
সে প্রতিদিন স্কুলে আসে।
সর্বনাম তিন প্রকার:
১। সাধারণ সর্বনাম: যে সর্বনামগুলো আপন পরিবেশে অর্থাৎ ভাই-বোন, বাবা-মা, বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে কথা বলতে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে সাধারণ সর্বনাম বলে।
যেমন: তুমি, তোমরা, সে, তারা ইত্যাদি।
২। মানী সর্বনাম: যে সর্বনামগুলো বয়সে বড় কিংবা অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে মানী সর্বনাম বলে। যেমন: আপনি, আপনারা, তিনি, তাঁরা ইত্যাদি
৩। ঘনিষ্ঠ সর্বনাম: কারো সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠতা বুঝাতে অথবা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয় তাকে ঘনিষ্ঠ সর্বনাম বলে।
যেমন: তুই, তোরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগ
পরিস্থিতি-১: বিনয়ের সাথে বলবো, আপনি মেঝেটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছেন আমি খেয়াল করেনি। যার জন্য মেঝেটা নোংরা হয়ে গেছে। দয়া করে আপনি আমাকে ক্ষমা করেন ।
পরিস্থিতি-২: আপনি কি দয়া করে বলবেন আমাদের কিভাবে আসতে হবে? পৌঁছানোর পর আত্মীয়ের বাড়িতে যারা আমার থেকে বয়সে বড় তাদের সাথে আপনি করে সম্বোধন করবো। এবং যারা আমার থেকে বয়সে ছোট তাদের কে তুমি করে সম্বোধন করবো।
পরিস্থিতি-৩: বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য প্রথমেই আমরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অথবা শ্রেণি শিক্ষকের সাথে কথা বলবো এবং তাদেরকে অবশ্যয় আপনি করে সম্বোধন করবো। যেমন: আমাদের স্কুলের এক সহপাঠী বাল্যবিবহের শিকার হচ্ছে। আপনি/আপনারা দয়াকরে যথাযথ পদক্ষেপ নেন। তখন তিনি/তাঁরা প্রশাসনের কাছে যেয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। অথবা প্রশাসন কিংবা পুলিশকে প্রয়োজনে স্বাক্ষী দিবো।
পরিস্থিতি-৪: প্রথমেই বললো, তোমার নাম কি? তোমার পরিবারের সবাই কি ভালো আছে? তারপর বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষকের পরিচয় এবং তাঁরা কোন কোন বিষয়ের উপর ক্লাস করান সে সম্পর্কে বলব। এবং এলাকার দর্শনীয় কিছু স্থান সম্পর্কে পরিচয় করানো । তাছাড়া বলতে পারি, তুমি কি বিকালে আমাদের এলাকায় ঘুরতে যাবে?
পরিস্থিতি-৫: আমি প্রথমেই তাদেরকে তুমি বলে সম্বোধন করবো এবং নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে তাদের ঝগড়া লাগার কারণটা ভালো করে জানবো। এবং তাদেরকে বুজাবো যে, ঝগড়া করা ভালো না এতে ক্ষতি ছাড়া কারোই লাভ হবে না। তোমরা যেহেতু বন্ধু, একসাথে খেলাধুলা করো সাময়িক ভুল বোজাবুঝি হতেই পারে। এখন তোমরা ঝগড়া বন্ধ করে দাও।
পরিস্থিতি-৬: প্রথমেই আমি চেষ্টা করবো ফায়ার সার্ভিস এর নাম্বার সংগ্রহ করা যদি না থাকে সেক্ষেত্রে এলাকার বড় ভাইয়ের কাছে অথবা পাড়া প্রতিবেশি কারো কাছ থেকে নাম্বারটি সংগ্রহ করতে পারি। যেহেতু তারা আমার থেকে বয়সে বড়, আপনি বলে সম্বোধন করবো যে দয়াকরে আপনি ফায়ার সার্ভিস এর নাম্বারটি দিতে পারবেন? নাম্বারটি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিবো। তাঁরা যেহেতু দেশের সেবায় নিয়োজিত অর্থাৎ সম্মানীয় ব্যক্তি। তাদের সাথে আপনি করে কথা বলবো। এভাবে বলতে পারি, আমার বুলতাঁরা এলাকায় ৭নং ওয়ার্ডে আগুল লেগেছে আপনারা কি দয়া করে দ্রুত আসবেন?
👉 মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করি | বাংলা – ১ম অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিবেচ্য
যে কোনো ধরনের পরিস্থিতিতে অন্যের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিতঃ
ক) বয়স
খ) সম্পর্ক
গ) মানসিক
মর্যাদা অনুযায়ী সর্বনাম ও ক্রিয়ার প্রয়োগ
সর্বনাম ও ক্রিয়াশব্দগুলো মর্যাদা অনুযায়ী ঠিক করে নিচে লিখা হলো:
আমার নানা একবার খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে আমার বড়ো মামা জেলা সদরের হাসপাতালে গেলেন। হাসপাতালের ডাক্তার বলেছিলেন, কয়েকদিন রোগীকে হাসপাতালে থাকতে হবে। ওই সময় নানা তিন-চার দিন হাসপাতালে ছিল। মা হাসপাতালে থেকে নানার সেবা করতেন। একদিন বিকালে আমি বড়ো মামার সাথে হাসপাতালে গিয়েছিলাম নানাকে দেখতে। এত বড়ো হাসপাতাল আমি আগে দেখিনি। জরুরি বিভাগের সামনে একটু পরপরই রোগী আসছে। আর সেখানকার ডাক্তার-নার্স সেসব রোগী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। বেশি লোকের ভিড় দেখে দারোয়ান বারবার বলছেন, “আপনারা এখানে ভিড় করবেন না।’
নানা আমাকে দেখে খুব খুশি হলেন। তবু তিনি বললেন, ‘তুই আবার আসতে গেলি কেন?’ নানা আমাকে আদর করে তুই করে বলে। আমি ছোটোবেলায় নানাকে তুমি করে বলতাম। এখন উনাকে আপনি করে বলি। আমি নানার কথার উত্তরে বললাম, ‘নানাভাই, আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
খানিক বাদে একজন নার্স এসে নানাকে ওষুধ খাইয়ে গেলেন। তিনি বললেন কাল নানাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেবে। সন্ধ্যার আগে আগে বড়ো মামা যাওয়ার জন্যে উঠে দাঁড়ালেন। তারপর বললেন, ‘চল, এবার যাই; কাল সকালে আবার আসিস।’ আমি বললাম ‘চলেন, মামা।’
👉 প্রমিত ভাষা শিখি | বাংলা – দ্বিতীয় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
ভাষিক যোগাযোগ অভাষিক যোগাযোগ
দৈনন্দিন জীবনে তুমি চর্চা করো এমন কয়েকটি ভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ দাও।
কথা বলা, বই পড়া, ফোনে আলাপ করা ও বার্তা পাঠানো, রেডিও-টেলিভিশ শোনা ও দেখা, কাগজে লেখা বা কম্পিউটারে টাইপ করা ইত্যাদি
দৈনন্দিন জীবনে তুমি চর্চা করো এমন কয়েকটি অভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ দাও।
মুখভঙ্গি ও শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, হাত ও চোখের ইশারা, হাতের স্পর্শ, ছবি ও সংকেত ইত্যাদির মাধ্যমে কথা বলা।
পড়ে কি বুঝলামঃ
প্রশ্নঃ সোমা আপা ক্লাসে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন?
উত্তরঃ সোমা আপা ক্লাসে নোটিশ বোর্ড সম্পর্কে কথা বলছেন এবং নোটিশ বোর্ডে লেখা আগামী সাপ্তাহে স্কুলে যে বার্ষিক ক্রীয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিতি হবে তা নিয়ে কথা বলছিলেন।
প্রশ্নঃ সোহেল কেন পলাশের কথায় বিরক্ত হয়েছিল?
উত্তরঃ পলাশের কথা প্রাসঙ্গিক ছিল না। কারন সেই সময় সোহেল অন্য আরেকটা বিষয় নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
প্রশ্নঃ পলাশ যা জানতে চাচ্ছিল, তা আর কোন উপায়ে সে জানতে পারত?
উত্তরঃ যখন সোহেলের দল গঠন করার কাজটি শেষ হতো তখন পলাশ তার বিষয়টি জানতে পারত।
প্রশ্নঃ সোহেল কীভাবে পলাশকে প্রসঙ্গের মধ্যে আনার চেষ্টা করতে পারত?
উত্তরঃ সোহেল যদি উঁচু গলায় না বলে, এভাবে যদি বলত পলাশ আমি দল গঠন এর কাজটা আগে শেষ করি পরে এই বিষয় নিয়া তোমার সাথে কথা বলব। তাহলে সোহেল পলাশকে প্রসঙ্গের মধ্যে আনতে পারত।
প্রশ্নঃ পলাশ কীভাবে সোহেলের সাথে কথা বললে তা প্রাসঙ্গিক হতো?
উত্তরঃ পলাশ যদি সোহেলের সাথে ক্রিকেট খেলা বিষয় নিয়ে ঐ সময় কথা বলতো তাহলে পলাশের কথা প্রাসঙ্গিক হতো।
প্রশ্নঃ প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোন কোন দিক বিবেচনায় রাখতে হয় বলে তুমি মনে করো?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। প্রসঙ্গের বাহিরে কথা বলা যাবে না।
👉 প্রমিত ভাষায় কথা বলি | বাংলা – ২য় অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণী
আগের পৃষ্ঠার রচনাটির মধ্যে কোন কোন কথা লালবাগ কেল্লা ভ্রমণের সাথে প্রাসঙ্গিক, আর কোন কোন কথা অপ্রাসঙ্গিক, তা নিচে লেখো।
প্রাসঙ্গিক কথা
অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিল পুরাতন কোনো ঐতিহাসিক জায়গা ঘুরতে যাব। বাবার মুখে অনেকবার লালবাগ কেল্লার কথা শুনেছি। ঠিক করা হলো সবাই মিলে সেখানে যাব। আমাদের যাওয়ার কথা শুনে আমার মামাতো বোনও যেতে চাইল। ওর নাম শেফালি শেফালি লালবাগ কেল্লা দেখতে চায় শুনে বাবা হেসে বললেন, ‘ঠিক আছে’। আমরা টিকিট কেটে কেল্লার ভিতরে ঢুকলাম। ওখানে যেতে যেতেই বাবা বলেছিলেন, লালবাগের কেল্লা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি মোগল আমলে তৈরি করা একটা দুর্গ। ১৬৭৮ সালে মোগল-সুবেদার আজম শাহ দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন। আজম শাহ ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র। বাবা আরও বলেছিলেন, দুর্গের কাজ শেষ হওয়ার আগেই আজম শাহকে দিল্লি চলে যেতে হয়। এরপর ১৬৮০ সালে সুবেদার শায়েস্তা খাঁ দুর্গ তৈরির কাজ আবার শুরু করেন। কিন্তু ১৬৮৪ সালে শায়েস্তা খাঁর কন্যা পরীবিবি হঠাৎ মারা যান। শায়েস্তা খাঁ তখন দুর্গের কাজ থামিয়ে দেন।
অপ্রাসঙ্গিক কথা
শেফালিকে নিয়ে অনেক মজার মজার ঘটনা আছে। একবার যেমন, আমার মামা ওকে বলেছিলেন, ‘শেফালি, তুমি কি আমার জন্য এক কাপ চা বানিয়ে আনতে পারবে?” শেফালি কী বুঝল কে জানে! একটা ডিম ফাটিয়ে ভাজি করার প্রস্তুতি নিতে লাগল। তা দেখে আমার মামি হাসতে লাগলেন। শেফালি অনেক লজ্জা পেয়েছিল সেদিন।
5 Comments
The answers of this website is useful. Everyone can get their answer easilly from this website. Thank you
Thank you for appreciations, stay with us for more helpful contents. You can share Studyian.com with your family, friends, students or classmates to help us grow.
Thank you, please stay with us. You can share the website to help others as well.
👌👌👌😇😇😇😇😇😇👌👌👌👌👌
Thank you, please stay with us. You can share the website to help others as well.