এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বিষয় এর ৪র্থ অধ্যায়, আমাদের যারা প্রতিবেশী সম্পর্কে।
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ
দলের নাম: প্রজাপতি
জীবের ধরন | জীবের নাম |
গাছ | আম গাছ, বরই গাছ ইত্যাদি |
পশু | গরু, ছাগল, বিড়াল, মহিশ, হাতি ইত্যাদি |
মাছ | রুই, কাতলা, সর পুটি ইত্যাদি |
উদ্ভিদ | ধান, আপ, আলু, গম, ভুট্টা ইত্যাদি |
পোকামাকড় | পামরি পোকা, গান্ধিপোকা, মাকড়সা, ফড়িং ইত্যাদি |
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ
জীব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করি এবং তালিকা তৈরি করিঃ
জীবের নাম: হাতি
শারীরিক গঠন | খাদ্যাভ্যাস | বাসার ধরন | বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য |
১। ২.৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে ২। কান বিশাল ও ত্রিভুজাকার ৩। চামড়া পুরু, বুলবুল ও হালকা লোমশ ৪। পা থামের মতো ৫। চোখ ছোট কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ ৬। লেজ খাটো, আগায় একগুচ্ছ শক্ত চুল আছে | ১। ঘাস ২। কলাগাছ ৩। বাশঁ ৪। গাছের পাতা ও ছাল ৫। ফুল ৬। ফল | ১। তৃণভূমিতে অথবা জঙ্গলে বসবাস করে | ১। হাতিরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস ও চলাচল করে। |
👉 পিকনিক পিকনিক | বিজ্ঞান – ৩য় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
জীবের নাম: দোয়েল
শারীরিক গঠন | খাদ্যাভ্যাস | বাসার ধরন | বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য |
১। দোয়েল পাখি আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। ২। এই পাখির পা দুটি সরু এবং একটি লেজ ও ২টি ডানা রয়েছে। ৩। ঠোঁটটি সরু ও সূঁচালো। ৪। দোয়েলের গলার নিচ থেকে দুধের মতো সাদা পালক রয়েছে যা বুক পর্যন্ত নেমে এসেছে। | ১। ছোট্ট কীট পতঙ্গ ২। ওঁও পোকা ৩। কেঁচো | ১। গাছের কোটরে কিংবা ফাটলে এর গড় কুটো জমা করে বাসা তৈরি করে। সাধারণত কাঠসমৃদ্ধ বন- জঙ্গল, চাষাবাদকত জমির আশপাশ এবং জনকতপূর্ণ এলাকায় মানুষের কাছাকাছি এদের বাসস্থান। | ১। নানা রকম সুরে ডাকাডাকি করতে পারে। ২। দোয়েল তার লম্বা লেজটি অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে। |
জীবের নাম: রুই মাছ
শারীরিক গঠন | খাদ্যাভ্যাস | বাসার ধরন | বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য |
১। রুই মাছের মধ্যভাগ চওড়া ও দুই প্রাপ্ত ক্রম সরু। গ্রন্থ অপেক্ষা উচ্চতা বেশি এবং প্রস্থচ্ছেদ ডিম্বাকার। ২। মাথার দুই পাশে ১টি করে মোট ২টি বড় বড় চোখ আছে। ৩। একটি রুই মাছ সর্বোচ্চ ২০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। | ১। অতিক্ষুদ্র প্ল্যাংকটন ২। শৈবাল ও নিমজ্জিত উদ্ভিদ ৩। খৈলের গুঁড়া ৪। কুঁড়া | ১। স্বাদু পানির জলাশয় বিশেষ করে পুকুর, হ্রদ, নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদিতে এদের পাওয়া যায়। | ১। দাঁত বিহীন চোয়াল ২। চোখের পাতা নেই |
👉 ফসলের ডাক – সমাধান | বিজ্ঞান (অনুশীলন বই) – ১ম অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণী
জীবরে নাম: মৌমাছি
শারীরিক গঠন | খাদ্যাভ্যাস | বাসার ধরন | বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য |
মৌমাছির দেহ বিখণ্ডিত এদের দুই জোড়া ডানা রয়েছে। এদের দেহের মাপ প্রায় ১-১.৫ সেন্টিমিটার। | ফল, মিষ্টি জাতীয় পদার্থ, ফুলের মধু এবং তরল ফলসমূহ | মৌচাক হলো মৌমাছির আবাসস্থল এরা গাছ, গাছের পাতা ফুলের গুচ্ছ বাঁশের ঝাড় ইত্যাদিতে বসবাস করে। | কান না থাকা সত্ত্বেও, মৌমাছিরা যে পৃষ্ঠে অবতরণ করে তার কম্পন অনুভব করতে সক্ষম। |
পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ
( এই সেশনে প্রয়োজনীয় কিছু নেই)
👉 আকাশ কত বড়? | বিজ্ঞান – ১ম অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
সপ্তম, অষ্টম ও নবম সেশনঃ
জীব : ১
জীবের নাম: হাতি | তথ্য সংগ্রহকারীর নাম ও আইডি: নাম: মাহিন আক্তার আইডি: ১৭৬৩৮০২৪৫৯৬৭৩ |
জীবের ধরন (উদ্ভিদ / পাখি / পোকা/পশু) ও শেণিবিন্যাসঃ ধরন: পশু শ্রেণিবিন্যাস: স্তন্যপায়ী প্রাণী | |
শারীরিক গঠন: ১। ২.৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে ২। কান বিশাল ও ত্রিভুজাকার ৩। চামড়া পুরু, ঝলঝল ও হালকা লোমশ ৪। পা থামের মতো ৫। চোখ ছোট কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণা৬। লেজ খাটো, আগায় একগুচ্ছ শক্ত চুল আছে | |
বাসার ধরন (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের মাটিতে জন্মে | তৃণভূমিতে অথবা জঙ্গলে বসবাস করে |
প্রজনন (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বীজের ধরন ও বংশবৃদ্ধি: | হাতিরা যৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। প্রজননে অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমে হাতিকে প্রজননের জন্য উপযুক্ত হতে হয়। হাতির প্রজনন পরিপক্কতা অর্জন করতে অনেক লম্বা সময় লাগে পৃথিবীর সব প্রাণীর মধ্যে হাতির গর্ভাবস্থা সবচেয়ে বেশি দিন স্থায়ী হয়। গর্ভধারণের ২২ মাস পর বাচ্চা প্রসব করে একটি মা হাতি |
জীব : ২
জীবের নাম: দোয়েল | তথ্য সংগ্রহকারীর নাম ও আইডি: নাম: শিমা আক্তার আইডি: ১৭৬৩৮০২৪৫৭৩৫৭ |
জীবের ধরন (উদ্ভিদ / পাখি / পোকা/পশু) ওশেণিবিন্যাস: ধরন: পাখি শ্রেণিবিন্যাস: পাখি বা পক্ষিকুল | |
শারীরিক গঠন: ১। দোয়েল পাখি আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটারহয়ে থাকে। ২। এই পাখির পা দুটি সরু এবং একটি লেজ ও২টি ডানা রয়েছে। ৩। ঠোঁটটি সরু ও সূঁচালো। ৪। দোয়েলের গলার নিচ থেকে দুধের মতো সাদা পালক রয়েছে যা বুক পর্যন্ত নেমে এসেছে। | |
খাদ্যাভ্যাস (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ফুল ও ফলের বর্ণনা); | ১। ছোট্ট কীট পতঙ্গ ২। শুঁও পোকা ৩। কেচো |
বাসার ধরন (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের মাটিতে জন্যে); | গাছের কোটরে কিংবা ফাটলে এর খড় কুটো জমা করে বাসা তৈরি করে। সাধারণত কাঠসমৃদ্ধ বন- জঙ্গল, চাষাবাদকৃত জমির আশপাশ এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকায় মানুষের কাছাকাছি এদের বাসস্থান। |
প্রজনন (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বীজের ধরন ও বংশবৃদ্ধি): | দোয়েল যৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। প্রজনন সময় পুরুষ দোয়েলের শরীরের রঙ উজ্জ্বলতর হয়। গাছের ডালে বসে স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য হরেকরকম সুরে ডাকাডাকি করে। ডিম দেয়ার এক সপ্তাহ আগে এরা গাছের কোটরে বা ছাদের কার্ণিশে বাসা বানায়। সাধারণত ৪/৫টি ডিম দেয়। ডিমের রং ফিকে নীলচে-সবুজ, তার উপর বাদামী ছোপ থাকে। ৮ থেকে ১৪ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। প্রজননকাল পরুষ দোয়েল আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তখন বাসার আশেপাশে অন্য পাখিদের আসতে দেয়না। |
জীব : ৩
জীবের নাম: রুই | তথ্য সংগ্রহকারীর নাম ও আইডি: নাম: মীম আক্তার আইডি: ১৫৯১৭০২৪৫৯৭৮২ |
জীবের ধরন (উদ্ভিদ / পাখি/পোকা/পশু) ও শেণিবিন্যাস: ধরন: মাছ শ্রেণিবিন্যাস: অস্থিযুক্ত মাছ | |
শারীরিক গঠন: ১। রুই মাছের মধ্যভাগ চওড়া ও দুই প্রান্ত ক্রম | সরু। গ্রন্থ অপেক্ষা উচ্চতা বেশি এবং প্রস্থচ্ছেদ ডিম্বাকার। ২। মাথার দুই পাশে ১টি করে মোট ২টি বড় বড় চোখ আছে। ৩। একটি রুই মাছ সর্বোচ্চ ২০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। | |
খাদ্যাভ্যাস (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ফুল ও ফলের বর্ণনা); | ১। অতিক্ষুদ্র প্ল্যাংকটন ২। শৈবাল ও নিমজ্জিত উদ্ভিদ ৩। খৈলের গুঁড়া ৪। কুঁড়া |
বাসার ধরন (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের মাটিতে জন্মে): | ১। স্বাদু পানির জলাশয় বিশেষ করে পুকুর, হ্রদ, নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদিতে এদের পাওয়া যায়। |
প্রজনন (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বীজের ধরন ও বংশবৃদ্ধি): | রুই মাছ দুই থেকে তিন বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। সাধারণত রুই মাছ প্রজননে অংশ নেয়। এক প্রজনন ঋতুতে একটি মা মাছ প্রায় দুই থেকে ত্রিশ লাখ ডিম দিয়ে থাকে, যা মাছের বয়স দৈর্ঘ্য ও ওজনের এবং অমরার দৈর্ঘ্য ও ওজনের উপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে। |
👉 আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২য় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী – বিজ্ঞান
ফিরে দেখা
প্রশ্নঃ এই পুরো কাজটি তোমার কেমন লেগেছে?
উত্তরঃ এই পুরো কাজটি করতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের চারপাশে থাকা বিভিন্ন রকমের গাছ, পশু, পাখি এবং কীটপতঙ্গ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমার একার পক্ষে এত সব কিছু জানা সম্ভব হতোনা যদিনা আমরা দলগত ভাবে কাজ করতাম সার্বিকভাবে এই শিখন অভিজ্ঞতাটি খুব উপভোগ করেছি।
প্রশ্নঃ এই কাজটি করতে গিয়ে নতুন কী শিখেছো যা আগে জানতে না?
উত্তরঃ নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আগে জানতাম না।
১। বিভিন্ন জীবের শারীি
২। শ্রেণিবিন্যাস
৩। খাদ্যভ্যাস
৪। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ফুল ও ফলের বর্ণনা।
৫। বাসস্থান
৬। প্রজনন