এই পোস্টে আমরা জানব সপ্তম শ্রেনীর, বিষয় বিজ্ঞান (অনুশীলন বই) এর ১ম অধ্যায়, ফসলের ডাক সম্পর্কে।
বিবর্তন কাকে বলে?
বিবর্তন হলো কোন জীব বা উদ্ভিদের এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যাওয়ার সময় কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে বিবর্তন বলে।
অভিযোজন কাকে বলে?
একটি জীব বা উদ্ভিদ তার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যেসব কৌশল পদ্ধতি অনুসরণ করে তাকে অভিযোজন বলে।
প্রথম সেশনঃ
তোমাদের এলাকায় যেসব ফসল বা উদ্ভিদ ভালো জন্মায় তাদের নামঃ
তোমার পাওয়া তথ্য | বন্ধুর কাছ থেকে নতুন যা জানলে |
ধান আখ কাঠাল | আম জাম লিচু |
অতিথি শিক্ষকের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে নিচের ছক পূরন
যেসব ফসল/ উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তাদের নাম | মাটি বা পরিবেশের কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য ঐ ফসল বেশি জন্মে? | কীভাবে বিভিন্ন ফসল উদ্ভিদের ভালো চারা বাছাই করা হয়। | কীভাবে এসব ফসল উদ্ভিদের পরিচর্যা করতে হয়? | অন্য কোনো মন্তব্য (যদি থাকে) |
ধান | এঁটেল ও এঁটেল- দো-আঁশ মাটি, জৈব পদার্থযুক্ত মাটি | বপনের জন্য রোগমুক্ত পরিষ্কার পরিপুষ্ট বীজ নির্বাচন। | চারা রোপন করার সময় জমিতে হালকা জল থাকা ভালো। জমিতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করতে হবে। আগাছা দমন করতে হবে | . |
আখ | এঁটেল, দো-আঁশ ও এঁটেল-দো-আঁশ মাটি, ২৫-২৭° গড় তাপমাত্রা। | চার পাতা বিশিষ্ট চারা রোপন উপযোগী ১-২ মাসের চারা রোপন করা ভালো। | আগাছা সময়মত নিধন করতে হবে, আখের গোড়ায় মাটি দিতে হবে। | . |
এর বাইরেও অতিথি শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিচে নোট করে রাখতে পারো।
ভিন্ন ভিন্ন ফসলের জমি প্রস্তুতি কেন ভিন্ন ভাবে করতে হয়; বিভিন্ন শাকসবজি ও ধানের কয় ধরনের বীজতলা করা হয়; কীভাবে করা হয়; ফসল বা উদ্ভিদ চাষের সময় নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হয়।
দ্বিতীয় সেশন :
প্রশ্ন: আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীবের বৈশিষ্ট্য আলাদা হয় কেন?
উত্তর: আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীব বিদ্যমান। এ সকল জীবের বৈশিষ্ট্য ও গঠন ভিন্ন ধরনের হয়। জীবসমূহ বিবর্তন প্রক্রিয়ায় এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যাবার সময় কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ছোট পরিবর্তন ঘটতে ঘটতে একপর্যায়ে আলাদা বৈশিষ্ট্যের নতুন জীব দেখা যায় যা আদিপুরুষ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অর্থাৎ বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন জীবের মধ্যে বৈচিত্র্য দেখা যায়। এই বৈচিত্র্য পরিবেশগত, প্রজাতিগত এবং জিনগত কারণে হয়ে থাকে।
প্রশ্ন: আমাদের এলকায় যে উদ্ভিদের ফলন ভালো হয়, কেন অন্য পরিবেশে তা অত ভালো ফলন দেয় না?
উত্তর: আমাদের এলাকার যেসব উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তা অন্য পরিবেশে অত ভালো ফলন দেয় না। কারণ আমাদের এলাকার আবহাওয়া জলবায়ু, মাটির গঠন প্রকৃতি, পানির প্রাপ্যতা, মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা, মাটির উর্বরতা প্রভৃতি বৈশিষ্টসমূহের কারণে যে সকল উদ্ভিদ ভালোভাবে অভিযোজিত হয় সেগুলো অধিক ফলন দেয়। কিন্তু এ সকল উদ্ভিদকে অন্য অঞ্চলে রোপন করলে আশানুরূপ ফলন দেয় না। কারণ নতুন পরিবেশে সঠিকভাবে অভিযোজন করতে সক্ষম না হওয়ায় উদ্ভিদটি টিকে থাকতে পারে না। আর যদি টিকেও থাকে তাহলে বৃদ্ধি ও ফলন কম হয়।
তোমার এলাকায় দেখা যায় এমন পাঁচটি প্রাণীর নাম | এদের খাদ্যাভ্যাস কেমন? | এদের বাসস্থান কেমন? | অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যদি উল্লেখ করতে চাও | তোমার পরিবেশের কী কী বৈশিষ্ট্য তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে? |
১. দোয়েল | ১। ছোট কীট পতঙ্গ ২। শুঁও পোকা ৩। কেঁচো | গাছের কোটরে কিংবা ফাটলে এরা খড় কুটো জমা করে বাসা তৈরি করে। | ১। নানা রকম সুরে ডাকাডাকি করতে পারে। | পর্যাপ্ত আলো, বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ। |
২. মৌমাছি | ১। ফল ২। মিষ্টি জাতীয় পদার্থ ৩। ফুলের মধু এবং তরল ফলসমুহ। | নাতনির মৌচাক হলো মৌমাছির আবাসস্থল। এরা গাছ, গাছের পাতা, ফুলের গুচ্ছ, বাশের ঝাড় ইত্যাদিতে বসবাস করে। | ১। কান না সত্ত্বেও মৌমাছিরা যে পৃষ্ঠে অবতরণ করে তার কম্পন অনুভব করতে সক্ষম। | পর্যাপ্ত আলো, বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ। |
৩. কুনোব্যাঙ | ১। ছোট ছোট পেকামাকড় ২। ছোট মাছ ৩। ঘাসফড়িং ৪। লাভা | ঘরের কোণে, গাছের কোটরে এবং মাটিতে গর্ত করে বসবাস করে। | ১। এরা লার্ভা দশায় পানিতে বাস করে এসময় ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালাই এবং পরিনত বয়সে ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। | পর্যাপ্ত আলো, বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ। |
৪. রুই মাছ | ১। অতিক্ষুদ্র প্ল্যাংকটন ২। শৈবাল ও নিমজ্জিত উদ্ভিদ ৩। কুড়া | স্বাদু পানির জলাশয় বিশেষ করে পুকুর, হ্রদ, নদী, খাল, বিল এবং হাওর। | ১। দাঁত বিহীন চোয়াল ২। চোখের পাতা নেই। | পর্যাপ্ত আলো, বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ। |
৫. হাতি | ১। ঘাস ২। কলা গাছ ৩। গাছের পাতা ৪। ছাল | তৃণভূমিতে অথবা জঙ্গলে বসবাস করে। | ১। হাতিরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস ও চলাফেরা করে। | পর্যাপ্ত আলো, বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ। |
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ
জীববৈচিত্র্যের উৎপত্তি
যেকোনো প্রজাতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্যগুলো হাজার হাজার বছরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিকশিত হতে থাকে। একটি জীব তার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যেসব কৌশল ও পদ্ধতি অনুসরণ করে তাকে বলা হয় অভিযোজন (Adaptation)। অপরদিকে নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই জীবের এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মে যাবার সময় কিছু পরিবর্তন ঘটে। দীর্ঘ সময় ধরে জীবের মধ্যে পরিবর্তন ঘটার যে প্রক্রিয়া, তাকে বলা হয় বিবর্তন। বিবর্তন এবং অভিযোজন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যই জীবজগতের সদস্যদের একে অন্যের কাছ থেকে আলাদা করে তুলেছে।
আমাদের এলাকার যে সুবিধার কারনে জীব সমূহ পরিবেশে টিকে থাকছে: সিন্ধু-গঙ্গা সমতল ভূমির অংশ হিসেবে জীববৈচিত্র্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সবুজে শ্যামলে ঘেরা এমনই একটি দেশ যেখানে মাটি, পানি, বন বনানী, প্রাকৃতিক পরিবেশ নানা ধরনের জীবের জীবনধারণের জন্য উপযোগী। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ও জলবায়ু, উর্বর মত্তিকা, নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থানের কারণে পর্যাপ্ত সূর্যালোক, অধিক বৃষ্টিপাত আর সবুজ প্রকৃতি এদেশে নানা ধরনের প্রাণি ও জীবজগতের অভয়ারণ্যের মূল কারণ। সুন্দরবনের সুবিশাল জীব সম্প্রদায় এবং কক্সবাজারের সমুদ্রগর্ভের জলজ প্রাণি সবই এদেশের জীবসম্পদ। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সম্পূরক উদ্ভিদ, মাছ, উভচর প্রাণি, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণির একটি ঐতিহ্য রয়েছে।
হরিপদ কাপালী নতুন ধানের জাত কীভাবে খুঁজে পেলেন?
উত্তরঃ হরিপদ কাপালী ছিলেন যশোর এলাকার একজন সাধারণ চাষি। তিনি তার ক্ষেতে ইরি ধান লাগিয়েছেন, সেই ক্ষেতের ধান পরীক্ষা করতে করতে হঠাৎ করে দেখলেন- কিছু গাছ তুলনামূলকভাবে বন্ধু এবং সেখানে ধানের ফলন হয়েছে বেশি। হরিপদ কাপালী একজন কৃষক হলেও তিনি আসলে বিজ্ঞানী, তাই সেই ধানগুলো অন্য ধানের সাথে মিশিয়ে না ফেলে সেগুলো আলাদা করে ফেললেন। তার বীজকে আলাদা করে করে সেগুলো আবার নতুন করে লাগালেন, তিনি দেখতে চাইলেন আসলেও সেগুলো উচ্চ ফলনশীল কি না। দেখা গেলো সেগুলো বেশ বড় হলো এবং অনেক বেশি ধানের ফলন হলো।
যে প্রক্রিয়ায় তিনি নতুন ধানের জাত আবিষ্কার করলেন তার ধাপগুলো কী কী?
উত্তরঃ
১) প্রশ্ন করা : তিনি প্রথমে প্রশ্ন করলেন যে, এই ধানগাছগুলো বড় কেন ও বেশি ফলন হয় কেন?
২) যা গবেষণা হয়েছে তা জেনে নেওয়াঃ তিনি ইরি ধানসহ অন্যান্য ধানের জাত সম্পর্কে গবেষণা করে জেনে নিলেন।
৩) তা প্রশ্নটির সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো : তিনি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করালেন যে, এই ইরি ধানের জাত লম্বা হয় ও উচ্চ ফলনশীল হয়।
৪) সম্ভাব্য ব্যাখ্যাটি সত্যি কিনা তা যাচাই করা: পরবর্তীতে তার শেষে ঐ ধানের বীজ বপন করে পরীক্ষা করে দেখলেন।
৫) পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়াঃ
পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখলেন সে, তার পরীক্ষীত ধানের জাত উচ্চ ফলনশীল
৬) সবাইকে ধারণাটি জানিয়ে দেওয়া: তিনি তার আবিষ্কৃত ধান গাছের বীজ অন্যান্য কৃষকদের দিয়েছেন এবং নতুন ধান সম্পর্কে জানিয়েছেন।
👉 আমাদের যারা প্রতিবেশী – সমাধান | বিজ্ঞান অনুশীলন – ৪র্থ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ
তোমার এলাকার ফসল/ উদ্ভিদের নাম | এই এলাকার মাটি বা পরিবেশের যেসব বৈশিষ্ট্য ওই ফসল উদ্ভিদের বেড়ে ওঠায় সহায়তা করে |
১। সুপারি | উর্বর ও মাঝারি ধরনের মাটি অর্থাৎ হালকা মুনটের মাটি উত্তম, তবে বেলে দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। |
২। নারিকেল | উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া, দিবা-রাত্রির তাপাত্রার পার্থক্য ৬-৭০ সেলসিয়াস হলে ভালো। যেকোন মাটিতে জন্মে। |
৩। আম | গভীর, সুনিষ্কাশিত, উর্বর দো-আঁশ মাটি, উঁচু ও মাঝারি-উঁচু জমি, মাটির অম্লতা ৫.৫-৭.০ লাগে |
৪। পেয়ারা | হালকা বেলে মাটি ও দো-আঁশ মাটি হালকা রোদ ও ছায়াযুক্ত কিংবা আংশিক ছায়াযুক্ত স্থান। |
৫। আমড়া | গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু, গভীর, সুনিষ্কাশিত, উর্বর দো-আঁশ মাটি, উঁচু জমি। |
👉 পদার্থের সুলুকসন্ধান – সমাধান | বিজ্ঞান – অনুশীলন বই | সপ্তম শ্রেণী
তোমার নির্বাচিত ফসল/ উদ্ভিদের নামঃ মরিচ গাছ
. | এক সপ্তাহ পর | দুই সপ্তাহ পর | তিন সপ্তাহ পর | চার সপ্তাহ পর |
কি কি কাজ করেছ | দো-আঁশ মাটির সাথে জৈবসার মিষিয়ে মাটি চাষ উপযোগী করেছি। জৈবসার যুক্ত মাটিদিয়ে টবভর্তি করেছি এবং পানি দিয়েছি। | মাটিভর্তি টবে মরিচের চারা রোপন করেছি। | আগাছা পরিষ্কার করেছি। | মাটিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করেছি। |
নতুন কি কি জানলে? | চারাগাছের জন্য মাটি তৈরি পদ্ধতি। | চারা রোপন পদ্ধতি | জমিতে আগাছা পরিষ্কারের উপায়গুলো | জমিতে সারের ব্যবহার |
ফসল/ উদ্ভিদের বৃদ্ধি/পরিবর্তন | × | চারাগাছের গোড়াগুলো ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে | চারাগাছগুলো শক্ত হয়ে নতুন পাতা গজিয়েছে এবং ১ ইঞ্চি পরিমান উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে | মরিচ গাছের কান্ড শক্ত ও মোটা হচ্ছে এবং ২-৪ ইঞ্চি পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। |
সহায়তা দানকারী কৃষকের স্বাক্ষর | করিম | করিম | করিম | করিম |
. | পাচঁ সপ্তাহ পর | ছয় সপ্তাহ পর | সাত সপ্তাহ পর | আট সপ্তাহ পর |
কি কি কাজ করেছ | টবে পানি দিয়েছি। মাটিতে চটা হলে চটা ভেঙে দিয়েছি | পোকামাকড় দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করেছি | পুনরায় আগাছা পরিষ্কার করেছি এবং সার প্রয়োগ করেছি | মরিচ গাছ থেকে কিছু কাঁচা মরিচ তুলেছি |
নতুন কি কি জানলে? | কখন এবং কতটুকু টবে পানি দিতে হবে | টবে কীটনাশক কীভাবে প্রয়োগ করে। | সার প্রয়োগের ২য় ধাপ এবং আগাছা পরিষ্কারের শেষ ধাপ | কখন মরিচ ফুল ফোটে এবং কত বড় হলে মরিচ তোলা যাবে। |
ফসল/ উদ্ভিদের বৃদ্ধি/পরিবর্তন | মরিচ গাছের অনেক শাখা-প্রশাখা বের হয়েছে | মরিচ গাছ প্রায় ৮-১০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে | মরিচ গাছে ফুল আসতে শুরু হয়েছে এবং এর উচ্চতা ১০-১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে | মরিচ গাছের ফুল ঝরা শুরু করেছে এবং তার উচ্চতা ১৫-২০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে |
সহায়তা দানকারী কৃষকের স্বাক্ষর | করিম | করিম | করিম |
👉 আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি – সমাধান | ২য় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী – বিজ্ঞান
ফসলের মাঠ/নার্সারি/স্থান বাগানে কাজ করতে তোমাদের কেমন লেগেেছে?
ফসলের মাঠ/ছাদবাগান/ নার্সারিতে কাজ করতে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি কাজ করতে আনন্দ পেয়েছি, সময়টা ভালো কেটেছে। অবসর সময়ে এটা আমার এখন অন্যতম প্রিয় কাজ।
এ কাজে তোমরা নতুন কি কি শিখেছ?
আমি এ কাজ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি শিখতে পেরেছি কিভাবে মাটি তৈরি করতে হয়, আমি চারাগাছ কিভাবে রোপন করতে হয় তা শিখেছি আগাছা পরিষ্কারের উপায় গুলো সম্পর্কে জেনেছি। কীটনাশক কখন ও কীভাবে দিতে হয় তা শিখেছি। কোন মৌসুমে কোন ফসলের ফলন ভালো হয় তা জেনেছি।
প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
প্রশ্ন-১. তোমাদের এলাকায় যে এত ভিন্ন ভিন্ন ফসল বা উদ্ভিদ জন্মায়, এ বিভিন্নতাকে কী বলে?
উত্তর: ভিন্ন ভিন্ন ফসল/উদ্ভিদ জন্মানোর ঘটনাটিকে এক ধরনের জীববৈচিত্র্য বলে।
প্রশ্ন-২, নতুন প্রজাতির জীবের উদ্ভব কীভাবে ঘটে?
উত্তর: বিবর্তন ও অভিযোজনের ফলে নতুন প্রজাতির জীবের উদ্ভব হয়।
প্রশ্ন-৩, জমিতে ইউরিয়া সার ধাপে ধাপে বা উপরিপ্রয়োগ করা হয় কেন?
উত্তর: ফসলে নাইট্রোজেন নামক পুষ্টি উপাদান সরবরাহের জন্য ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়। জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হলে বিভিন্ন উপায়ে এ সারের অপচয় ঘটে ফলে মাটিতে স্থায়ী হয় না। তাই ফসলের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনমাফিক ধাপে ধাপে এ সার প্রয়োগ করতে হয়।
প্রশ্ন-৪, জাবড়া প্রয়োগ কী?
উত্তর: মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য শুকনা খড়, লতাপাতা কচুরিপানা ইত্যাদি দিয়ে মাটি ঢেকে দেওয়া হয়, যাকে জাবড়া প্রয়োগ বলা হয়।
প্রশ্ন-৫. তোমার এলাকায় একটি পুকুর আছে। এই পুকুরটিতে লক্ষ করে তুমি কিছু জীবদের বাসস্থান ও বৈচিত্র্যতা দেখতে পেলে। পুকুরসহ এই সকল জীবদের একত্রে কী পঠিত হয় তা লেখো।
উত্তর: পুকুরসহ এর আশেপাশের মাটি, পানি, পরিবেশ মিলে একত্রে বস্তুতন্ত্র গঠিত হয়।