এই পোস্টে আমরা জানব সপ্তম শ্রেনীর, বিষয় জীবন ও জীবিকা এর ২য় অধ্যায়, পেশার রূপ বদল সম্পর্কে।
ছক-২.১: পেশাজীবীদের তালিকা
১. কৃষক ২. শিক্ষক ৩. চিকিৎসক ৪. দোকানদার ৫. জেলে ৬. হকার ৭. তাঁতি ৮. নার্স ৯. দর্জি ১০.রাজমিস্ত্রী | ১১. কাঠমিস্ত্রী ১২. চাকরীজীবী ১৩. খেলোয়াড় ১৪. ড্রাইবার ১৫. ব্যাবসায়ী ১৬. ব্যাংকার ১৭. বিনিয়োগকারী ১৮. লেখক ১৯. বিজ্ঞানী ২০. ইঞ্জিনিয়ার |
ছক ২.১| অর্থনৈতিক খাতওয়ারি পেশা বা কাজের তালিকা
কৃষি খাতের পেশা বা কাজের নাম | শিল্প খাতের পেশা বা কাজের নাম | সেবা খাতের পেশা বা কাজের নাম |
১. চাষাবাদ ২. বীজবপন ৩. ফসল কর্তন ৪. গুদামজাত করন ৫. উদ্ভিদ পরিচর্যা ৬. মাছ চাষ ৭. পশু পাখি পালন। ৮. সংরক্ষণ ৯. খাদ্য প্রস্তুত করা ১০. সেচ এবং জলবিতরণ | ১. পোশাক তৈরি ২. সার তৈরি ৩. সিমেন্ট ৪. ঔষধ ৫. পাদুকা ৬. ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য তৈরি ৭. জাহাজ নির্মাণ ৮.গাড়ি তৈরি ৯. প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং ১০. আসবাবপত্র তৈরি | ১. মোবাইল সেবা ২. ইন্টারনেট সেবা ৩. শিক্ষা ৪. স্বাস্থ্য সেবা ৫. ব্যাংকিং সেবা ৬. পরিবহন ৭. গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ৮. বিনোদন ৯. বিমা ১০. হোটেল |
ছক ২.২ : বিভিন্ন খাতের পেশা বা কাজের পরিবর্তন
পূর্বের পেশার নাম | শিল্প খাত | সেবা খাত | |||
পূর্বের পেশার নাম | পরিবর্তনের ধরণ | পেশার নাম | পরিবর্তনের ধরণ | পেশার নাম | পরিবর্তনের ধরণ |
লাঙ্গল | ট্রাক্টর | হাতে সেলাই | আধুনিক সেলাই মেশিন | সনাতন রোগ নির্ণয় পদ্ধতি | আধুনিক রোগ নির্ণয় মেশিন- এক্সরে আল্ট্রাসনোগ্রাি সিটিক্যান |
কাঁচি দিয়ে ধান কাঁটা | ধানকাটার মেশিন | হাতে প্যাকেজিং | প্যাকেজিং মেশিন | স্বশরীরে স্বাস্থ্য সেবা | অনলাইনে স্বাস্থ্য সেবা |
সেচ দেওয়া | পাম্প মেশিন | সনাতন পদ্ধতিতে সার তৈরি | আধুনিক সার তৈরির মেশিন | সনাতন পদ্ধতির ব্যাংকিং | অনলাইন ব্যাংকিং |
বীজবপন | আধুনিক বীজবপন যন্ত্র | শিল্প-কারখানায় হাতের মাধ্যমে কাজ করা | রোবটিক সিস্টেম ব্যবহার করা। | স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম। | অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম |
👉 আগামীর স্বপ্ন – সমাধান | জীবন ও জীবিকা – ৩য় অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণী
“কৃষিক খাতের পরিবর্তনের ধারা:
১। আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার।
২। আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার।
৩। বীজ বপন, ফসল পরিচর্যা, রোগ প্রতিরোধের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
কশিল্প খাতের পরিবর্তনের ধারা:
১। আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার।
২। উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার।
৩। যোগাযোগে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার।
৪। রোবটিক্স এর ব্যবহার।
সেবা খাতের পরিবর্তনের ধারা:
১। আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার।
২। ডিজিটাল কমিউনিকেশন সিস্টেম
৩। অনলাইন সেবা
৪। অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহার
পরিবর্তনের ধারায় কৃষি ও সেবা খাতের কর্মসংস্থানের তুলনামূলক অবস্থাঃ
দেশের শ্রম বাজারে কৃষি খাতে কর্মসংস্থান ছিল ২০০০ সালের দিকে ৫১.৩%, অন্যদিকে সেবা খাতের কর্মসংস্থান ছিল ৩৫.৬% ।
২০০৫ সালে কৃষি খাতে কর্মসংস্থান কমে দাঁড়ায় ৪৮.১% কিন্তু সেবা খাতে কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭.৩% । লক্ষ্যণীয় যে, ২০১০ সালের দিকে কৃষি এবং সেবা উভয় খাতেরই কর্মসংস্থান কমতে থাকে যথাক্রমে ৪৭.৫% এবং ৩৫.৩%। ২০১৫ সালে সেবা খাতের কমসংস্থান বাড়তে থাকে এবং ৩৬.৫৮% এ উঠে যায় অন্যদিকে কৃষি খাতের কর্মসংস্থান আরো কমে হয়ে যায় ৪৩.৪৬% ক্রমান্বয়ে কৃষি খাতের কর্মসংস্থা আরো কমতে থাকে এবং তা হয়ে যায় ৩৭.৭৫% অন্যদিকে সেবা খাতের কর্মসংস্থান বাড়তে থাকে এবং তা উঠে যায় ৪০.৬১%। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে কৃষিতে কায়িক শ্রমের চাহিদা কমে যাচ্ছে অন্যদিকে সেবাখাতে এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই দিনে দিনে কর্মসংস্থান বেড়ে চলছে।
বক্স-২.২: পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও প্রাতি
১। প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে একটি কম্পিউটার, একটি স্মার্টফোন কিছু মৌলিক সফটওয়্যার যেমন ইমেইল, ওয়েব ব্রাউজার এবং অফিস অ্যাপ্লিকেশনগুলি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে জানা।
২। আধুনিক প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে হলে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকা জরুরি। এর ফলে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং খবর বা তথ্যের আপ টু ডেট থাকতে সক্ষম করে।
৩। পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য ক্রমাগত নতুন কিছু শিক্ষার প্রবণতা গড়ে তুলতে হবে।
৪। আধুনিক মেশিন চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রশ্ন: আবিরের কোন কোন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছ যা তার সাফল্যের জন্য ভূমিকা রেখেছে বলে তুমি মনে করো?
উত্তর: জ্ঞানী, কঠোর পরিশ্রমী, সৃজনশীলতা, অনুসন্ধানী মনোভাব, বিশ্লেষণাত্মক, পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা, পরিবেশ সচেতন এবং আধুনিক প্রযুক্তির আনে এবং এর যথাযথ ব্যবহার ইত্যাদি
প্রশ্ন: আবিরের কোন কোন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছ যা তার সাফল্যের জন্য ভূমিকা রেখেছে বলে তুমি মনে করো?
উত্তর: জ্ঞানী, কঠোর পরিশ্রমী, সৃজনশীলতা, অনুসন্ধানী মনোভাব, বিশ্লেষণাত্মক, পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার দক্ষতা, যোগাযোগের
দক্ষতা, পরিবেশ সচেতন এবং আধুনিক প্রযুক্তির আনে এবং এর যথাযথ ব্যবহার ইত্যাদি
প্রশ্ন: আবিরের কোন কোন কোন বৈশিষ্ট্য তোমার মঝে আছে বলে ভূমি মনে করো?
উত্তর: কঠোর পরিশ্রমী, সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণাত্মক, অনুসন্ধানী মনোভাব, বিশ্লেষণাত্মক, পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা, পরিবেশ সচেতন ইত্যাদি।
প্রশ্ন: এসব বৈশিষ্ট্য ক্যারিয়ার গঠনে কীভাবে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করো?
উত্তর: আনী, কঠোর পরিশ্রমী, সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণাত্মক, অনুসন্ধানী মনোভাব, বিশ্লেষণাত্মক, পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা, পরিবেশ সচেতন এবং আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান এসব বৈশিষ্ট্য একজন কৃষি গবেষকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই বৈশিষ্ট্যগুলি উন্নয়নের সাথে সাথে ব্যক্তির ক্যারিয়ার উন্নয়নে সহায়তা করে।
একজন গবেষক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পাই এবং সেগুলো সমাধানের জন্য প্রথমে বিশাল পরিমাণে তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর সেইসব তথ্য যাচাই বাচাই এবং বিশ্লেষণ করে উক্ত সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করে। প্রয়োজন হলে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
প্রশ্ন: আবিরের মতো দক্ষ হতে তোমার পরিকল্পনা কী?
উত্তর: প্রথমতই জ্ঞানী, কঠোর পরিশ্রমী, সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণাত্মাক অনুসন্ধানী মনোভাব, বিশ্লেষণাত্মক, পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা, পরিবেশ সচেতন এবং আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান এসব বৈশিষ্ট গুলো রপ্ত করতে হবে এবং ভালো একটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে হবে।
👉 কাজের মাঝে আনন্দ – সমাধান | জীবন ও জীবিকা – প্রথম অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণী
মূল্যায়ন
নিজেকে যে খাতে কর্মরত দেখতে চাই | সেবা খাত |
সেখানে যেসব মৌলিক দক্ষতা প্রয়োজন হবে | একটি কম্পিউটার, স্মার্টফোন কিছু মৌলিক সফটওয়্যার যেমন ইমেইল, ওয়েব ব্রাউজার এবং অফিস অ্যাপ্লিকেশনগুলি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে জানা |
কোন কোন দক্ষতা আমার মাঝে আংশিক রয়েছে | স্মার্টফোন ব্যবহারের দক্ষতা |
কী কী যোগ্যতার অনুশীলন এখন থেকেই করা প্রয়োজন | কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা কিভাবে ইমেইল, ওয়েব ব্রাউজার, অফিস অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহার এবং কোন লেখা টাইপ করতে হয়। |
২। এই অধ্যায়ে আমরা যা যা করেছি ……. (√টিক চিহ্ন দাও)
কাজসমূহ | করতে পারিনি (১) | আংশিক করেছি (৩) | ভালোভাবে করেছি (৫) |
পেশাগুলোর একটি তালিকা তৈরি করা | √ | ||
তালিকার পেশাগুলিকে কৃষি, শিল্প এবং সেবা খাতভুক্ত করা | √ | ||
দেশীয় শ্রম বাজারের চাহিদার পরিবর্তনের ধারাবিশ্লেষণ | √ | ||
পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও প্রস্তুতি | √ | ||
ভবিষ্যৎ পেশার জন্য প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা | √ | ||
কেস পর্যালোচনা করে মৌলিক দক্ষতা অন্বেষণ | √ |
মোট স্কোর: ৩০ আমার প্রাপ্ত স্কোর: ২১
আমার অবিভাবকের মন্তব্য: মোটামুটি ভালো করেছে।
শিক্ষকের মন্তব্য: মোটামুটি ভালো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই আরো ভালো করা যেতো। পরবর্তীতে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।
এই অধ্যায়ের যেসব বিষয় আমাকে আরও ভালোভাবে জানতে হবে তা লিখি-
১। অর্থনৈতিক খাত ওয়ারি পেশা বা কাজের তলিকা।
২। বিভিন্ন খাতের পেশা বা কাজের পরিবর্তন।
৩। কৃষি খাতের পরিবর্তনের ধারা।
৪। শিল্প খাতের পরিবর্তনের ধারা।
৫। সেবা খাতের পরিবর্তনের ধারা।
যে কাজগুলোর নিয়মিত চর্চা আমাকে চালিয়ে যেতে হবে সেগুলো লিখি-
১। অনুসন্ধানী মনোভাব
২। আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান যেমন: কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা।
৩। কঠোর পরিশ্রম
৪। বিশ্লেষণাত্মক
৫। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা
৬। দেশীয় শ্রম বাজারের চাহিদার পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ।
৭। আধুনিক প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও প্রকৃতি।