এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিষয় বাংলা এর ৫ম অধ্যায়, বুঝে পড়ি লিখতে শিখি সম্পর্কে।
আরো সহজে শিখতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে থাকা এই বিষয়ক ভিডিও থেকে।
১ম পরিচ্ছেদ
একাত্তরের দিনগুলি
পড়ে কি বুঝলাম?
ক. এটি কোন বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে?
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের পূর্বকালীন উত্তেজনা, আন্দোলন ও আতঙ্কের বিষয় নিয়ে লেখা।
খ.লেখাটি কোন সময়ের ও কয়দিনের ঘটনা?
উত্তর: উনিশ শ একাত্তর সালের তিন দিনের ঘটনা।
গ. লেখক কী কী কাজের উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: নাশতা বানানো, স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন পতাকা ওড়ানো, শহিদ মিনারে গিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ ইত্যাদি কাজ।
ঘ. লেখার তিন অংশের শুরুতে তারিখ দেওয়া
কেন?
উত্তর: রোজনামচা বা দিনপঞ্জিমূলক রচনা বলে।
ঙ. এই লেখা থেকে নতুন কী কী জানতে পারলে বা কোন বিষয়টি তোমার কাছে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় মনে হয়েছে?
উত্তর: এই লেখা থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যেমনমুক্তিযুদ্ধের প্রাক্বালে সকলশ্রেণি-পেশা ও সকল মানুষ কীভাবে আতঙ্কিত ও উত্তেজিত ছিলেন; কীভাবে ছোট্ট রুমী গাড়ির কাচে স্টিকার লাগিয়ে নিজের আবেগ ও সাহস প্রকাশ করছে। ২৩ মার্চ যে প্রতিরোধ দিবস এবং শাপলা ফুল যে সংগ্রামী বাংলার প্রতীক তাও এখান থেকে জানতেপেরেছি। বিশেষভাবে লক্ষণীয় মনে হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামে জনমনে বিপুল সাড়া ও উত্তেজনার ঘটনা।
‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় লেখক যা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
একাত্তরের দিনগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন একটি দিনলিপি; যেখানে লেখক মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ডায়রিতে লিপিবদ্ধ | করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় কী হয়েছে না হয়েছে সে সম্পর্কে | খবর জানামাত্রই তা তিনি লিখে রেখেছেন। এমনকি তাঁর দুই সন্তান রুমী ও জামী সম্পর্কেও তিনি লিখেছেন। উক্ত সময়ে সবার মধ্যে যে ভয়, উত্তেজনা, আতঙ্ক, আনন্দ, বেদনা ছিলো তারই প্রতিফলন দেখা গেছে এই দিনলিপিতে।
২য় পরিচ্ছেদ
👉 সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি – সমাধান | বাংলা – ষষ্ঠ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
আমার দেখা নয়াচীন
পড়ে কি বুঝলাম?
ক. লেখক এখানে কীসের বিবরণ দিয়েছেন?
উত্তর: লেখক এখানে ভ্রমণের বিবরণ দিয়েছেন।
খ. বিবরণটি কোন সময়ের ও কোন দেশের?
উত্তর: ১৯৫২ সালের ও চীন দেশের।
গ. লেখক কী কী কাজের উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: মিউজিয়াম দেখা, লাইব্রেরি দেখা, অ্যাকজিবিশন দেখা ও স্থানীয় বাজার দেখার কথা উল্লেখ করেছেন।
ঘ. এই বিবরণে বাংলাদেশের সাথে কী কী মিল-অমিল আছে?
উত্তর: বাংলাদেশের সঙ্গে যে মিল রয়েছে তা হলো আমাদের দেশের মতোই চীনদেশের নদীতে নৌকা, লঞ্চ চলে এদিক ওদিক। নৌকা বাদাম দিয়ে চলে। অমিল হচ্ছে চীনেরা দেশি মাল বাজারে থাকলে বিদেশি মাল কেনে না।
ঙ. এই লেখা থেকে নতুন কী কী জানতে পারলে বা কোন বিষয়টি তোমার কাছে বিশেষভাবে লক্ষণীয় মনে হয়েছে?
উত্তর: এই লেখা থেকে চীন বিষয়ে নতুন অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যেমন চীনের লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, মিউজিয়াম, বাজারব্যাবস্থা ইত্যাদি। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে চীনাদের দেশপ্রেম। এছাড়া খেলার মাঠে পড়ার ব্যবস্থা ও ছাত্র-শিক্ষকের সুন্দর সুসম্পর্কও মনে দাগ কাটার মতো বিষয়।
চ) লেখাটিতে চীনের মানুষের দেশপ্রেমের কোন নমুনা পাওয়া যায়?
উত্তর: লেখাটিতে চীনের মানুষের দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। বিশেষ করে দেশি মাল থাকলে বিদেশি মাল কিনতে চায় না, যদি দেশি মালের দাম একটু বেশিও দিতে হয়। তাছাড়া সেখানে জিনিসপত্রের দাম আমাদের দেশের মতো হুট করে আকাশচুম্বী হতে পারে না।
“আমার দেখা নয়াচীন” রচনায় লেখক যা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
উক্ত রচনায় লেখক তাঁর চীন ভ্রমনের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়েছে। বর্ণার মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে চীন কতটা | সংস্কৃতিবান্ধব। সেখান লাইব্রেরি, বাজার, জাদুঘর লেখক ঘুড়ে ঘুড়ে দেখেছেন এবং সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। | সেখানকার মানুষের সততা ও দেশের প্রতি শ্রেদ্ধা ও ভালোবাসার বর্ণনা লেখক খুব ভালোমত অনুধাবন করে লিপিবদ্ধ করেছেন।
১০০-১৫০ শব্দের মধ্যে একটি বিবরণ লিখি
ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে স্কুলের মাঠে যাওয়ার সময় আমি বাস্কেটবল কোর্টের কাছে একটা গোলমাল লক্ষ করলাম। আমি কাছে গিয়ে দেখলাম একদল ছাত্র কিছু নিয়ে গোলমাল করছিলো তাঁরা আসলে খেলার একটি নিয়ম নিয়ে মতবিরোধে জড়িয়েছিলো।।
পরিস্থিতি যখন বাড়তে থাকে ঠিক তখনই একজন শিক্ষক সেখানে গিয়ে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি শান্তভাবে উভয় পক্ষের কথা শুনেছিলেন এবং তারপরে একটি সমাধান নিয়ে আসার জন্য দুই দলকে একসাথে কাজ করার পরামর্শ দেন।
দল দুটি শীঘ্রই বুঝতে পেরেছিল যে তারা আসলে স্কুলের খেলার নিয়ম কানুনের বই থেকেই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে পারেন। শিক্ষকের পরামর্শ শুনে তারা নিজেদের মধ্যকার ঝামেলাটি সাথে সাথে মিটিয়ে নিলো।
শিক্ষক যেভাবে আদর ও ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটি একটি ছোট ঘটনা ছিল, কিন্তু এটি আমাকে ক্ষমা করার গুরুত্ব এবং দ্বন্দের শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজার বিষয়ে একটি মূল্যবান পাঠ শিখিয়েছে।
👉 চারপাশের লেখার সাথে পরিরিচিত হই – সমাধান | বাংলা – চতুর্থ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
৩য় পরিচ্ছেদ
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
পড়ে কি বুঝলাম?
ক. এই লেখায় কী ধরনের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর: এই লেখায় একজন মহীয়সী নারীর জীবনভিত্তিক বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
খ. এই লেখার কোন তথ্যটি তোমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে?
উত্তর: সবচেয়ে ভালো লেগেছে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের শিক্ষার প্রতি আকর্ষণ
ও অনুরাগ। মেয়েদের শিক্ষা ও উন্নতির জন্য জীবনভর প্রচেষ্টা।
গ. এ ধরনের আর কী কী রচনা তুমি আগে পড়েছ?
উত্তর: এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এ ধরনের লেখা পড়েছি।
ঘ. কাদের নিয়ে এ ধরনের লেখা তৈরি করা হয়?
উত্তর: যারা বিখ্যাত মানুষ, মানুষের জন্য অনেক কিছু করে গেছেন, এমন সুপরিচিত ব্যক্তিদের নিয়ে এ ধরনের লেখা তৈরি হয়।
ঙ. এই লেখা থেকে নতুন কী কী জানতে পারলে বা কোন বিষয়টি তোমার কাছে বিশেষভাবে লক্ষণীয় মনে হয়েছে?
উত্তর: এই লেখা থেকে রোকেয়ার জীবন-সংগ্রামের কাহিনি জানতে পরেছি। তার
লেখা বিভিন্ন বইয়ের কথা জানতে পেরেছি। তার নানা মহৎ কাজ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় মনে হয়েছে প্রতিকূল সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে রোকেয়ার নানারূপ লড়াই।
“রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ রচনায় লেখক যা বলেছে তা নিজের ভাষায় বল এবং লিখ।
উক্ত রচনায় বেগম রোকেয়াকে নিয়ে বলা হয়েছে। বেগম রোকেয়া ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী। তিনি ১৮৮০ সালে বাংলাদেশের রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এ দেশের নারীদের জন্য শিক্ষার প্রচার এবং তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করেছিলেন। তার এই প্রচেষ্টার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তিনি “সুলতানার স্বপ্ন” সহ বেশ কিছু কথাসাহিত্য লিখেছিলেন, বেগম রোকেয়ার সক্রিয়তা এবং লেখালেখি এদেশের নারী অধিকার কর্মীদের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত করে চলেছে।
৪র্থ পরিচ্ছেদ
কীটপতঙ্গের সঙ্গে বসবাস
পড়ে কি বুঝলাম?
ক. এই রচনাটি কোন বিষয় নিয়ে লেখা?
উত্তর: রচনাটি কীটনাশকের সুফল ও কুফল নিয়ে লেখা।
খ. লেখাটির মধ্যে কী কী বিশ্লেষণ আছে?
উত্তর: কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কীটপতঙ্গের সাথে পাখি ও মাছের মৃত্যু শুধু নয় পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
গ. বিবরণমূলক লেখার সাথে এই লেখাটির কী কী মিল বা পার্থক্য আছে?
উত্তর: বিবরণের সঙ্গে তথ্যগত মিল রয়েছে। পার্থক্য রয়েছে বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে। এখানে বর্ণনার পাশাপাশি বিষয়ের বিশ্লেষণধর্মিতা প্রাধান্য পেয়েছে।
ঘ. তথ্যমূলক লেখার সাথে এই লেখাটির কী কী মিল বা পার্থক্য আছে?
উত্তর: তথ্যমূলক লেখার সঙ্গে মিল খজেুঁ পাই তথ্য ও বিষয়ের বর্ণনায়। পার্থক্য হচ্ছে তথ্যমূলক রচনায় বিশ্লেষণ কম থাকে; এক্ষেত্রে বেশি থাকে।
ঙ. এই লেখা থেকে নতুন কী কী জানতে পারলে বা কোন বিষয়টি তোমার কাছে বিশেষভাবে লক্ষণীয় মনে হয়েছে?
উত্তর: কীটপতঙ্গ যে শুধু ক্ষতি করে তা নয়, এরা উদ্ভিদ ও মানুষের নানা উপকারেও আসে। আবার ঢালাওভাবে কীটনাশকের ব্যবহারে পরিবেশ ও জীবনের ভারসাম্য নষ্টও হতে পারে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহারের পরিবর্তে অন্যভাবে কীটনাশকের নিধন করা সম্ভব।
“কীটপতঙ্গের সঙ্গে বসবাস’ চেনায় লেখক যা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
উক্ত রচনায় লেখক কীটনাশক সম্পর্কে বলেছেন। এটি কীভাবে মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করেছে, পাশাপাশি প্রজাপতি, মৌমাছি, | ছোট ছোট পোকামাকড়, বিভিন্ন পাখির জন্য নিয়ে আসছে। মারাত্মক বিপর্যয়। কীটনাশকের ফলে মানুষের শরীরে দানা | বাঁধতে পারে মারাত্মক সব রোগ। ফসলে পোকামাকড় রুখতেই আমরা এই রাসায়নিক কীর্তনাশক ব্যবহার করে থাকি। তবে বিজ্ঞানীরা এসব ক্ষতির কথা অনুসন্ধান করে প্রাকৃতিক উপায়ে | কীটনাশক দমনে জোর দিয়েছেন।
এভাবে এই ছকের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আরও কয়েকটি তথ্যমূলক বাক্য রচনা করো।
১. থকে বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম সহ মোট ১৮টি দেশের ২০১০ এবং ২০১৫ সালে আলাদাভাবে বাঘের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।
২. ২০১০ সালে সবচেয়ে বেশি বাঘ ছিল ভারতে এবং সংখ্যাটি হলো ১৭০৬
৩. বাঘের সংখ্যা বিবেচনায় ২০১০ সালে দেশগুলোর মধ্যে ২য় অবস্থানে হলো বাংলাদেশ।
৪. ২০১০ সালে সবচেয়ে কম বাঘ ছিল ভিয়েতনামে এবং সংখ্যাটি হলো ২০।
৫. ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি বাঘ ছিল ভারতে এবং সংখ্যাটি হলো ২২২৬।
৬. বাঘের সংখ্যা বিবেচনায় ২০১৫ সালে দেশগুলোর মধ্যে ২য় অবস্থানে হলো নেপাল। ৭ ৭. ২০১০ সালে দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম বাঘ ছিল ভিয়েতনামে এবং কম্বোডিয়া তখন একেবারেই বাঘশূন্য হয়ে যায়।
৮. ৮টির মধ্য মিয়ানমার হলো একমাত্র দেশ যেখানে দুটি জরিপেই বাঘের সংখ্যা অপরিবর্তিত। ৯. ৫ বছর ব্যাবধানে করা হয় জরিপে শুধুমাত্র ৩টি দেশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেগুলো হলো: ভুটান, ভারত ও নেপাল।
১০. ৫ বছর ব্যবধানে বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৪ গুণের বেশি।
এসব তথ্যমূলক বাক্য ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো। শুরুতে একটি শিরোনাম দাও।
বাঘের ভবিষ্যৎ
সারণীটি ২০১০ এবং ২০১৫ উভয় সময়েই ৮টি ভিন্ন দেশে বাঘের সংখ্যা প্রদর্শন করে। উভয় | বছরে ভারতে বাঘের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল, ২০১০ সালে ১৭০৬ এবং ২০১৫ সালে ২২২৬ ছিল। ২০১০ সালে বাঘের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে ছিল। তবে, বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ৫ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। কম্বোডিয়া ২০১৫ সালে সম্পূর্ণ বাঘশূণ্য হয়েছিল, এছাড়াও ভিয়েতনামে বাঘের সংখ্যা উভয় জরিপে কম দেখা যাচ্ছে। ভুটান, | ভারত এবং নেপালই একমাত্র দেশ যেখানে ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। উভয় জরিপে মিয়ানমারে বাঘের সংখ্যা অপরিবর্তিত ছিল। সামগ্রিকভাবে, বাঘের সংখ্যা | সংরক্ষণে চলমান চ্যালেঞ্জ এবং এই বাঘ রক্ষার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
৫ম পরিচ্ছেদ
সাত ভাই চম্পা
পড়ে কি বুঝলাম?
ক. আগে এ ধরনের আর কী কোনো গল্প পড়েছ? পড়লে তা কী নিয়ে?
উত্তর: পড়েছি। রূপকথার গল্প, সিন্দাবাদের কাহিনি, আলিফ লায়লার কাহিনি, পরিদের গল্প, পশুপাখির কাহিনি ইত্যাদি।
খ. ‘সাত ভাই চম্পা’ গল্পে কী কী চরিত্র আছে?
উত্তর: রাজা, বড়ো রানি, মেজো রানি, সেজো রানি, নোয়া রানি, কনে রানি, ছোটো রানি, দুয়োরানি, মালি, ঘটেুঁ -কুড়ানি দাসী, রাজপুত্র, রাজকন্যা ইত্যাদি।
গ. এখানকার কোন কোন ঘটনা বাস্তবে হয় না?
উত্তর: রাজা ও রানির কোমরে সোনার শিকল বেঁধে রাখা হয় না, মানুষের ঘরে ইঁদুর, ব্যাঙ আর কাঁকড়ার জন্ম হয় না, পারুল ফুল আর চাপার ফুল কথা বলে না।
ঘ. এখানকার কোন কোন ঘটনা বাস্তবেও ঘটতে পারে?
উত্তর: রাজার ছেলে নাও হতে পারে, মানুষ মানুষকে হিংসা করতে পারে, রাজার মনে দুঃখ থাকতে পারে ইত্যাদি।
ঙ. এই গল্প পড়ে আমরা কী বুঝলাম? বা গল্পের কোন বিষয়টি তোমার কাছে বিশেষভাবে লক্ষণীয় মনে হয়েছে?
উত্তর: হিংসা করা ভালো নয়; হিংসা নিজের অমঙ্গল ডেকে আনে।
“সাত ভাই চম্পা” গল্পটি নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
উক্ত রচনায় লেখক নিজের সৃজনশীলতা ও কল্পনার মাধুরি মিশিয়ে একটি | চমৎকার রূপকথার গল্প লিখেছেন। ছোট রানির সাথে হিংসা করে বড়রানিরা রাজাকে খবর দেয় এই বলে যে ছোট রানি কিছু ইঁদুর ও কাঁকড়া জন্ম দিয়েছে। অথচ ছোট রানির জন্ম দেয়া সাত ছেলে ও এক মেয়েকে মাটিতে পুঁতে দিলো। এরপর সেই সাত ছেলে ও এক মেয়ে যথাক্রমে সাতটি চাঁপা | গাছ ও একটি পারুল গাছ হয়ে জন্ম নিলো। মালি সেই ফুল তুলতে গেলে তারা রাজার সাথে দেখা করতে চায়। রাজা আসার পর তারা বড় রানিদের সাথে দেখা করতে চায়। সবাই আসার পর তারা বলে, ছোট রানী আসলে | তবেই ফুল দেবে। ছোট রানী আসতেই সবাই মা মা বলে ডেকে উঠলো। | তখন রাজা পুরো কাহিনী বুঝতে পারলেন।