এই পোস্টে আমরা জানব ষষ্ঠ শ্রেনীর, বিষয় জীবন ও জীবিকা এর তৃতীয় অধ্যায়, আগামীর স্বপ্ন সম্পর্কে।
নিচের ছবি দেখে যে শব্দ বা শব্দগুলো বা বাক্য প্রথমেই মনে পড়ে, তাই ছবির পাশে লিখি-
এটি একটি 3D Printer মেশিন। এর সাহায্যে কোনো বস্তুর ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করা হয়। একজন মানুষ কম্পিউটারকে নিদের্শ দেওয়ার মাধ্যমে একটি রোবটকে প্রিন্ট করছে।
এটি একটি রোবট। মাইক্রোফোন হাতে মানুষের মতোই কথা বলছে।
এটি একটি টাইম মেশিন। এই যন্ত্রটি সাধারণত আমরা হলিউড মুভিতে দেখে থাকি। এই টাইম মেশিনের সাহায্যে অতীত এবং ভবিষ্যতে যাওয়া যায়। চিত্রে একটি ছেলে ও মাকে টাইম মেশিনের সম্মুখে দেখা যাচ্ছে তারা হইতো ভবিষ্যতে কিংবা অতীতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
এটি একটি রোবট নিয়ন্ত্রিত উড়ন্ত গাড়ি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এইরকম গাড়ি আমরা দেখতে পাবে।
এটি একটি অত্যাধুনিক শহর। অদূর ভবিষ্যতে হয়তোবা এইরকম শহর দেখতে পারবো। আকাশের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে রোবট নিয়ন্ত্রিত উড়ন্ত গাড়ি।
চিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে, মহাকাশে ভেসে থাকা উড়ন্ত শহর । অদূর ভবিষ্যতে হয়তোবা এই রকম শহর আমরা দেখতো পাবো।
এটি একটি রকেট। এর গায়ে MARS লেখা আছে। সম্ভবত এটি মঙ্গল গ্রহে যাবে।
এটি একটি উড়ন্ত মানুষে ছবি। মানুষটির শরীলে বিশেষ একধরনের যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। সেই সাথে মাথায় ও পায়েও বিশেষ ধরনের যন্ত্র পরিহিত। ভবিষ্যতে হয়তোবা মানুষ আকাশে পাখির মতো করে উড়তে পারবে।
কোন ছবিটি তোমার কাছে সবচেয়ে বিষাকের মনে হচ্ছে? ছবিটি সম্পর্কে তোমার অনুভূতি লেখ।
চিত্র:৩.১.৩ এর ছবিটি আমার কাছে সবচেয়ে বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। মানুষ কিভাবে মেশিনের সাহায্যে সহজেই ভবিষ্যতে এবং অতীতে যেতে পারবে তা ভাবতেই কেমন লাগছে। এই টাইম মেশিনটা তো আমরা হলিউড সিনেমায় দেখে থাকি। যদি ভবিষ্যতে এটি সত্য হয়ে যায় তাহলে আমাদের পুরো পৃথিবীটা অন্যরকম হয়ে যাবে।
👉 আর্থিক ভাবনা – সমাধান | জীবন ও জীবিকা – ৪র্থ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
ক) গল্পটি কেমন লেগেছে?
উত্তর: ২০২৬ তার এক দিন’ গল্পটি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। গল্পটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আমি যেনো ভবিষ্যতের কোন এক সময়ে চলে যাচ্ছি। তাছাড়া গল্পটিতে বিভিন্ন ভবিষ্যত প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এর ফলে গল্পটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
(খ) গল্পটি কি সম্ভব না অসম্ভব?
উত্তর: আমি মনে করি পৃথিবীতে অসম্ভব বলতে কিছুই নেই সবই চেষ্টা করলে সব মানুষ একসময় হেটে একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতো কিন্তু আজ গাড়ি, ট্রেন, প্রেইনের সাহায্যে সহজেই দূরবর্তী স্থানে যাতায়াত করতে পারছে কে জানতো এগুলো আবিষ্কার হবে, তখনকার সময়ে তো এগুলো অসম্ভব ছিল। তাছাড়া কয়েক বছর আগেও আমরা অনলাইন ক্লাসের কথা ভাবতে পারতাম না সেটিও আজ সম্ভব হয়েছে। সুতরাং আমি মনে করি ভবিষ্যতে এই বিষয় বা সব হবে।
(গ) গল্পের সবচেয়ে বেশি বিষ্ময়কর অংশ কোনটি?
উত্তর: কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশনের অংশকে সবচেয়ে বেশি বিস্ময়কর মনে হয়েছে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তথ্য পাঠানো যায়। এমনকি মানুষও নাকি পাঠানো সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে আমরা পৃথিবী থেকে মঙ্গলগ্রহে সহজেই যেতে পারবো। গল্পের এই অংশটা আসলেই অনেক বিস্ময়কর।
👉 পেশার রূপ বদল – সমাধান | জীবন ও জীবিকা – ২য় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
প্রশ্ন: ৪০ বছর পরে তোমার এলাকার প্রত্যাশিত ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে একটি গল্প লেখা বা ছবি আঁকো।
এলাকার ঠিকানা: থলিয়ারা
সাল : ২০৬৩
আজকে ২০০৩ সালের ৫ই এপ্রিল। আমাদের এলাকায় রয়েছে আকাশচুম্বি বড় বড় দালান। শিক্ষার্থীর স্কুলে যাবে আকাশে উড়া উড়ন্ত গাড়ি করে। তাদের কাছে থাকবে অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এর সাহায্যে পড়ালেখা কাজ সহজেই করতে পারবে। রাস্তাঘাট থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। রাস্তাঘাটে জ্যাম থাকবে না কারণ তখনকার গাড়ি গুলো আকাশে উড়তে পারবে কিছু গাড়ি থাকবে রোবট নিয়ন্ত্রিত। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করা যাবে। এলকার পরিবেশ থাকবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ময়লা- আর্বজনা পরিষ্কার করার জন্য থাকবে রোবট। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থাকবে ডিজিটাল প্রযুক্তি।
প্রশ্ন: এই অধ্যায়ের যেসব বিষয়গুলো আমাকে আরও ভালোভাবে জানতে হবে তা লিখ।
উত্তর: কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন, থ্রিডি প্রিন্টার, ভয়েস টেকনোলজি, বায়োম্যাট্রিক্স, টাইম মেশিন, রোবটিক্স ইত্যাদি প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাকে আরও ভালোভাবে জানতে হবে।