এই পোস্টে আমরা জানব ষষ্ঠ শ্রেনীর, বিষয় বিজ্ঞান (অনুশীলন বই) এর ৭ম অধ্যায়, গতির খেলা সম্পর্কে।
প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশন:
তোমার দল থেকে কে কোন খেলায় অংশ নেবে তা নিচের ছকে নোট নিয়ে রাখো, যাতে পরে ভুলে না যাও।
ছক – ১
দল: নিউটন
সদস্যের নাম | খেলার নাম: দলের কোন সদস্য কোন ইভেন্টে যোগ দেবে সেই অনুযায়ী টিক দাও। | |||
দৌড় | দড়ি লাফ | ভার নিক্ষেপ | ক্যারাম | |
সিয়াম | √ | |||
রহমান | √ | |||
ফাতেমা | √ | |||
সাইমা | √ |
কোন কোন দল কোন খেলার দায়িত্ব নিচ্ছে তা নিচের ছকে লিখে নাও।
ছক-২
খেলার নাম | আয়োজনের দায়িত্ব কোন কোন দল থাকবে |
দৌড় | আলফা দল |
দড়ি লাফ | নিউটন দল |
ভার নিক্ষেপ | আল্ট্রা দল |
ক্যারাম | গামা দল |
শিক্ষক স্টপওয়াচ ব্যবহার করে কোনো প্রতিযোগীর ১০০ মিটার (কিংবা যে দূরত্ব ঠিক করা হয়েছে) অতিক্রম করতে কতক্ষণ সময় লেগেছে তা লক্ষ করবেন, এই খেলার আয়োজনের দায়িত্বে যেসব দল থাকবে তারাও ঘড়ি/স্টপওয়াচ ব্যবহার করে সময় নোট করবে। শিক্ষকের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে নিচের ছকে নোট নেবে।
ছক – ৩
খেলার নাম: দৌড় প্রতিযোগিতা
প্রতিযোগীর নাম | দূরত্ব (m) | সময় (S) | অবস্থান (ক্রম) |
তুষার | ১০০ | ১৭ | ১ম |
প্রিয়াস | ১০০ | ১৯ | ২য় |
জাবের | ১০০ | ২০ | ৩য় |
রনি | ১০০ | ২০.৫ | ৪র্থ |
সিফাত | ১০০ | ২১ | ৫ম |
হাকিম | ১০০ | ২২ | ৬ষ্ঠ |
তানভীর | ১০০ | ২৩ | ৭ম |
তোমার দলের প্রতিযোগী দড়িলাকে পায়ের সঙ্গে দড়ির প্যাঁচ না লাগিয়ে কতক্ষণ খেলতে পেরেছে তা নিচের ছক-৪ এ লিখে ফেলো তো।
ছক – ৪
খেলার নাম: দড়ি লাফ
প্রতিযোগীর নাম | মোট কতবার ঘুরিয়েছে/ পাক সংখ্যা | কতক্ষণ খেলেছে(S) | প্রতি সেকেন্ডে কত পাক দিয়েছে | অবস্থান (ক্রম) |
কেয়া | ৪৫ | ৩৫ | ০.৭৮ | ১ম |
হাফসা | ৪২ | ৩৩ | ০.৭৯ | ২য় |
আয়েশা | ৪১ | ৩২ | ০.৭৮ | ৩য় |
ফারজানা | ৩৭ | ৩১ | ০.৮৩ | ৪র্থ |
অঙ্কিতা | ৩৫ | ৩০ | ০.৮৬ | ৫ম |
তোমার দলের প্রতিযোগীর ছোঁড়া বলটা কতদূরে গিয়ে থামল, তা নিচের ছক-৫ এ লিখে রাখবে।
👉 রোদ, জল, বৃষ্টি – সমাধান | বিজ্ঞান – অনুশীলন বই | ষষ্ঠ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
ছক – ৫
খেলার নাম: ভার নিক্ষেপ
প্রতিযোগীর নাম | দূরত্ব (m) | অবস্থান (ক্রম) |
তানভীর | ১৩ | ১ম |
হাসান | ১১ | ২য় |
জাহিদ | ১০ | ৩য় |
ফারুক | ৯ | ৪র্থ |
রিফাত | ৮ | ৫ম |
ভার নিক্ষেপের সময় তোমার দলের প্রতিযোগীর ছুঁড়ে দেয়া ভার কীভাবে উপরে উঠেছিল আবার কীভাবে নিচে নেমে এসেছিল তার ছবি নিচের ফাঁকা জায়গায় এঁকে রাখো।
প্রশ্নঃ তোমার আঁকা ছবিতে বলটি সোজা সামনের দিকে না গিয়ে বারবার নিচের দিকে বাঁকা হয়ে পড়ল কেন? তোমার ধারণা নিচে টুকে রাখো।
উত্তর: কোনো বস্তুর ওপর অভিকর্ষজ বল সব সময় নিচের দিকে ক্রিয়া করে। উপরে বলটি ছোঁড়ার পর যতই সামনের দিকে যায় ততই অভিকর্ষজ বলের কারণে প্রতি মুহূর্তে নিচে নেমে যায় এবং সবশেষে মাটিতে পতিত হয়।
তোমার দলের প্রতিযোগীর খেলার স্কোর ছক-৬ এ লিখে ফেলো।
👉 সবার ইশকুল – সমাধান | বিজ্ঞান – অনুশীলন বই | ৮ম অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
ছক – ৬
সদস্য | সাদা গুটি(১০টি) | কালো গুটি (৫টি) | লাল গুটি(২০টি) | মোট পয়েন্ট | অবস্থান |
রিয়াজ | ২ | ২ | ০ | ৩০ | ৩য় |
হানিফ | ২ | ৩ | ১ | ৫৫ | ১ম |
বিজয় | ২ | ৩ | ০ | ৩৫ | ২য় |
সিজান | ১ | ১ | ০ | ১৫ | ৪র্থ |
ক্যারমের গুটির সঙ্গে স্ট্রাইকের ধাক্কা লাগার পর স্ট্রাইকের গতিপথ কি পরিবর্তিত হচ্ছে? নিচে ছবি এঁকে দেখাও তো! আর ভেবে বলো- কেন গুটিগুলোর গতির দিক পরিবর্তন হচ্ছে?
প্রশ্ন: আচ্ছা ক্যারম বোর্ডে যে বোরিক পাউডার দেওয়া হয়েছিল মনে আছে? বোরিক পাউডার কেন দেয়া হয় বলো তো? না দিলেই বা কী হয়? তোমার উত্তর নিচের ফাঁকা জায়গায় লিখে রাখো।
উত্তর: বোরিক পাউডার দিয়ে গুটির সাথে বোর্ডের ঘর্ষণ বলকে কমানো হয়। এতে করে গুটি খুব সহজে বোর্ডের মধ্যে চলাচল করতে পারে। পাউডার না দিলে বোর্ডের মেঝে খসখসে থাকবে। যার ফলে গুটিগুলো বোর্ডের মধ্যে চলাচলে ঘর্ষণ বলের বাধা খুব বেশি অনুভব করবে এবং এদের গতি কমে যাবে। তাই গুটির উপর ঘর্ষণ বলের প্রভাব কমানোর জন্য বোরিক পাউডার ব্যবহার করা হয়।
বাড়ির কাজ
ছক – ৭
খেলার নাম | সরল গতি | বক্র গতি | ঘূর্ণন গতি | পর্যাবৃত্ত গতি |
দৌড় | √ | |||
দড়ি লাফ | √ | √ | ||
ভার নিক্ষেপ | √ | |||
ক্যারাম | √ |
প্রশ্ন-১: গতি কাকে বলে?
উত্তর: গতি হলো সময়ের সাথে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনের হার।
প্রশ্ন-২: সরল গতি কাকে বলে?
উত্তর: কোনো বস্তুর গতি যদি একটি সরলরেখার উপর সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে তার গতিকে সরল গতি বলে।
যেমন: রাস্তায় গাড়ি চলা, হেটে যাওয়া কোনো লোক ইত্যাদি
প্রশ্ন-৩: বক্রগতি কাকে বলে?
উত্তর: সরলরৈখিক গতিতে চলা কোনো বস্তুর ওপর কোনো সময়ে বল প্রয়োগ করে যদি তার গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়া হয় তাহলে ঐ নতুন গতিকে বক্রগতি বলা হয় ।
যেমন: ভার নিক্ষেপ, ঢিল ছুড়ে মারা, ক্রিকেট বল উপর থেকে নিচে পড়ার গতি ইত্যাদি
প্রশ্ন-৪: ঘূর্ণন গতি কাকে বলে?
উত্তর: কোনো বস্তু যদি একটি নির্দিষ্ট বিন্দু বা অক্ষকে কেন্দ্র করে সেই বিন্দু বা অক্ষের চারদিকে বৃত্তাকার পথে গতিশীল থাকে তবে সেই গতিকে ঘূর্ণন গতি বলে।
যেমন: বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি
প্রশ্ন-৫: পর্যাবৃত্ত গতি কাকে বলে?
উত্তর: কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতি পথে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে অতিক্রম করে তবে সেই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে। যেমন: বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি।
*এবার নিচের এই বিভিন্ন ধরনের গতি আর কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় তা তোমার পাশের বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে ছক-৮ লিখে ফেলো।
ছক – ৮
বিভিন্ন প্রকার গতি | উদাহরণ |
সরল গতি | রাস্তায় গাড়ি চলা, হেটে যাওয়া কোনো লোক ইত্যাদি |
বক্ৰ গতি | ভার নিক্ষেপ, ঢিল ছুড়ে মারা, ক্রিকেট বল উপর থেকে নিচে পড়ার গতি ইত্যাদি |
ঘূর্ণন গতি | বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি |
পর্যাবৃত্ত গতি | বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি |
ছক-৩ থেকে তোমার দলের সদস্য যে দৌড়ে অংশ নিয়েছিল তার বেগ কত তা পরের পৃষ্ঠার ফাঁকা জায়গায় হিসাব করে বলো তো।
ছক ৩
দলের নাম: দৌড় প্রতিযোগিতা
প্রতিযোগীর নাম | দূরত্ব (m) | সময় (S) | অবস্থান (ক্রম) |
তুষার | ১০০ | ১৭ | ১ম |
প্রিয়াস | ১০০ | ১৯ | ২য় |
জাবের | ১০০ | ২০ | ৩য় |
রনি | ১০০ | ২০.৫ | ৪র্থ |
সিফাত | ১০০ | ২১ | ৫ম |
হাকিম | ১০০ | ২২ | ৬ষ্ঠ |
তানভীর | ১০০ | ২৩ | ৭ম |
আমরা জানি,
বেগ = দূরত্ব ÷ সময়
= ___ মি/সে.
১। তুষারের বেগ = দূরত্ব ÷ সময়
= ১০০ ÷ ১৭
= ৫.৮৯ মি/সে.
২। প্রিয়াসের বেগ = দূরত্ব ÷ সময়
= ১০০ ÷ ১৯
= ৫.২৬ মি/সে.
৩। জাবেরের বেগ = দূরত্ব ÷ সময়
= ১০০ ÷ ২০
= ৫ মি/সে.
৪। রনিরের বেগ = দূরত্ব ÷ সময়
= ১০০ ÷ ২০.৫
= ৪.৮৮ মি/সে.
৫। সিফাতের বেগ = দূরত্ব ÷ সময়
= ১০০ ÷ ২১
= ৪.৭৬ মি/সে.
৬। হাকিমের বেগ = দূরত্ব ÷ সময়
= ১০০ ÷ ২২
= ৪.৫৪ মি/সে.
৭। তানভীরের বেগ = দূরত্ব ÷ সময়
= ১০০ ÷ ২৩
= ৪.৩৫ মি/সে.
ধরো, একটা বল উপর থেকে পড়ছে, বলটা বেশি উপর থেকে পড়লে কি বেশি জোরে পড়বে? নাকি যে উচ্চতা থেকেই পড়ুক একই রকম জোৱে নিচে এসে পড়বে?
উত্তর: একটি বলকে উপর থেকে নিচে ফেলার সময় গতি নির্ভর করবে তার উচ্চতার উপর। যত উপর থেকে বলটিকে ফেলবে তত জোরে সে মাটিতে পড়বে। কারণ বলটি যখন উপরে থাকে তার মধ্যে স্থিতিশক্তি জমা থাকে। নিচে পড়ার সময় তার স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তর হয়। বলটি যত উপরে থাকবে তাতে তত বেশি স্থিতিশক্তি সঞ্চিত থাকবে। তাই নিচে পড়ার সময় গতিশক্তিও বেশি হবে। আর যত বেশি গতিশক্তি তত বেশি তার গতি। তাই বলটি যত উপর হতে ফেলা হবে তত জোরে পড়বে।