জেনে বুঝে আলোচনা করি – সমাধান | বাংলা – সপ্তম অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

জেনে বুঝে আলোচনা করি – সমাধান | বাংলা – সপ্তম অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর  বিষয় বাংলা এর ৭ম অধ্যায়, জেনে বুঝে আলোচনা করি সম্পর্কে।

আরো সহজে শিখতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে থাকা এই বিষয়ক ভিডিও থেকে।

১ম পরিচ্ছেদ 

প্রশ্ন করতে শিখা

ছবি দেখে প্রশ্ন করি

শিক্ষার্থীদের কাজের সুবিধার জন্য শিক্ষক একটি নমুনা প্রশ্ন বলে দেবেন। নিচে কিছু নমুনা প্রশ্ন দেওয়া হলো:

ছবি দেখে প্রশ্ন করি,  ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মাসের পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ এর ছবি, জেনে বুঝে আলোচনা করি

উত্তর:

১. ছবিটি কোন সময়ের?
২. ছবির ব্যক্তিরা কী করছেন?
৩. এ ছবিতে ভিন্ন ধরনের পোশাক পরিহিত ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক?
৪. এ ছবিতে ভিন্ন ধরনের পোশাক পরিহিত ব্যক্তিদের পরিচয় কী?
৫. এ ছবির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী?
৬. এ ছবিটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

তোমাদের সুবিধার্থে উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

১. ছবিটি কোন সময়ের?

উত্তর: ছবিটি ১৯৭১ সালের

২. ছবির ব্যক্তিরা কী করছেন?

উত্তর: ছবির ব্যক্তিরা চুক্তি স্বাক্ষর করছেন।

৩. এ ছবিতে ভিন্ন ধরনের পোশাক পরিহিত ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক?

উত্তর: বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক।

৪. এ ছবিতে ভিন্ন ধরনের পোশাক পরিহিত ব্যক্তিদের পরিচয় কী?

উত্তর: তারা সামরিক বাহিনীর সদস্য।

৫. এ ছবির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী?

উত্তর: এ চিত্রে যে দলিল স্বাক্ষরের ছবি দেখা যাচ্ছে তার সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের সম্পর্ক রয়েছে।

৬. এ ছবিটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর: এ ছবিটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ দলিল স্বাক্ষরিত হওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

ছবির বিবিষয়বয়বস্তু:

ছবিটি ‘পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দলিল’ স্বাক্ষর হবার মুহূর্তে তোলা হয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিলে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৩১ মিনিটে ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী সই করেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপ-সেনাপ্রধান, এয়ার কমোডর এ কে খন্দকার আত্মসমর্পণে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। আত্মসমর্পণের দলিলের নাম ছিল “INSTRUMENT OF SURRENDER”।

প্রশ্ন করা শিখি

কোনো বিষয় ভালো করে জানার জন্য নানা রকম প্রশ্ন করতে হয়। প্রশ্নের জবাবের মাধ্যমে বিষয় সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়। তাই প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ প্রশ্ন করতে শেখা দরকার। প্রশ্ন করার কাজে আমরা বিশেষ কিছু শব্দ ব্যবহার করি। যেমন:

কী?কেন?কীভাবে?কে?কারা?
কার?কোথায়?কখন?কত?কোন?

উত্তর: শব্দগুলো ব্যবহার করে কিছু প্রশ্ন করি:

১. তোমার নাম কী?

২. তুমি যাবে কেন?

৩. তুমি কীভাবে এলে?

৪. তোমার সঙ্গে আর কে এসেছে?

৫. তোমাকে কারা পাঠিয়েছে?

৬. তুমি কার সঙ্গে এসেছ?

৭. তুমি কোথায় থাকবে?

৮. তার সঙ্গে কখন দেখা করবে?

৯. তার বাসা কত দূর?

১০ . তিনি কোন এলাকায় থাকেন?

👉 সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি – সমাধান | বাংলা – ষষ্ঠ অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী

পোস্টার দেখে বোঝার চেষ্টা করি

এই পোস্টারে যেসব তথ্য আছে, এর বাইরে আর কী কী তথ্য জানা প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো, সেগুলো প্রশ্নের আকারে নিচের ছকে লেখো।

উত্তর:

জিজ্ঞাসা
১. প্রতিযোগিতা কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
২. কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে?
৩. ২২-২৮ নভেম্বর কি যোগাযোগের সময়, নাকি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়?
৪. প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কি কোনো ফি জমা দিতে হবে?
৫. প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কি অভিভাবকের অনুমতিপত্র লাগবে?

বিষয়: কোথাও যাওয়ার রাস্তা যে ধরনের প্রশ্ন করা যেতে পারে:

□ এটি কী পাকা রাস্তা না কাঁচা রাস্তা?

□ এ রাস্তার শেষ কোথায়? 

□ এ রাস্তায় কী ধরনের গাড়ি চলে? 

□ এ রাস্তার ধারে কি বিরতি নেবার স্থান আছে?

□ এ রাস্তার ধারে কি খাবার দোকান আছে? 

□ এ রাস্তায় চলাচল কী নিরাপদ?

প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অনুচ্ছেদ:

এটি একটি পাকা রাস্তা। রাস্তাটি প্রায় ১০ কি.মি. দীর্ঘ। এই রাস্তার শেষে একটি নদী আছে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়ত করে। রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, বাস, ট্রাক সহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন এ রাস্তায় চলাচল করে। এ রাস্তার দু-পাশ জুড়েই অনেক গাছ আছে। অনেকেই গাছের ছায়ায় জিরিয়ে নেয়। রাস্তাটির মাঝে একটি ছোটো বাজার আছে, বাজারে খাবার দোকানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায়। দিনের বেলায় এ রাস্তায় চলাচল নিরাপদ হলেও মাঝেমাঝেই রাতের বেলা এ রাস্তার উপর ছিনতাই হবার মতো ঘটনা ঘটেছে।

২য় পরিচ্ছেদ 

আলোচনা করতে শেখা

যুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থান গ্রহণ করি

উপরের ঘটনা পড়ার পর তোমার কী মনে হচ্ছে? কোনটা হলে ভালো হয় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাযুক্ত শিশুপার্ক, নাকি গাছপালায় ভরা খেলার মাঠ? তোমার মতের সমর্থনে যুক্তিগুলো লেখো।

নতুন শিশুপার্কপুরাতন খেলার মাঠ
যুক্তি ১প্রযুক্তি ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সর্বত্রই প্রসারিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়ে যাচ্ছে নতুন শিশু পার্ক। এখানে আধুনিক সব খেলনা বসবে। শত বছরের অতীত ঐতিহ্য এই খেলার মাঠ। এখানে বসে মনের আনন্দে মানুষ সময় কাটায়, রোমন্থন করে অতীত আনন্দময় ক্ষণ। নতুন শিশুপার্কের জন্য বরাদ্দ হলে সবকিছু আর অবারিত থাকবে না।
যুক্তি ২নতুন নতুন খেলনা আসবে। শিশুরা সবকিছুতে পাবে আধুনিকতার ছোয়া। শিশুরা মন খোলে উপভোগ করবে নতুন জগৎ।  চিন্তা করতে শিখবে নিত্যনতুন সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি। হারিয়ে যাবে দেশীয় খেলাধুলা শিশুরা প্রাণখুলে দৌঁড়াতে পারবে না। বাধাগ্রস্ত হবে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ। নিত্যনতুন প্রযুক্তি কেড়ে নেবে আবেগ, সংযুক্ত করবে বেগ।
যুক্তি ৩বড়ো বড়ো গাছ কেটে ফেললেও আরও অনেক গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য সৃষ্টি করা হবে। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদেরও সমান তালে এগোতে হবে। নইলে আমরা পিছিয়ে পড়ব।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী গাছ কেটে ফেলতে হবে। ফলে হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ। প্রকৃতির নান্দনিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাবে |