এই পোস্টে আমরা জানব ষষ্ঠ শ্রেনীর, বিষয় জীবন ও জীবিকা এর ২য় অধ্যায়, পেশার রূপ বদল সম্পর্কে।
পেশার ধারণা
সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে পুনরায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সারাদিন আমরা কত ধরনের কাজ করে থাকি, তোমরা তা নিশ্চয়ই জানো। যেমন- শিক্ষার্থীরা বিদ্যলয়ে পড়াশুনা করে, অনেকেই বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলা করে দিন কাটিয়ে দেয়, কেউ হয়তো মালামাল এবং যাত্রী পরিবহনের জন্য ট্রাক বা বাস চালান, গ্রামে কথক মাঠে ফসল ফলানোর জন্য জমি চাষ করেন, জেলেরা নদীতে মাছ ধরেন, শ্রমিকরা উৎপাদনের জন্য কারখানায় কাজ করেন, শিক্ষকবৃন্দ শ্রেণিকক্ষে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা করেন।
দলগত আলোচনার মাধ্যমে আমাদের এলাকার মানুষের বিভিন্ন পেশার তালিকা তৈরি করি।
১. কৃষক ২. শিক্ষক ৩. চিকিৎসক ৪. দোকানদার ৫. জেলে ৬. হকার ৭. তাঁতি ৮. নার্স ৯. দরজি ১০. রাজমিস্ত্রী ১১. কাঠমিস্ত্রী ১২.চাকরিজীবী | ১৩. খেলোয়াড় ১৪. ড্রাইভার ১৫. ব্যাংকার ১৬. বিনিয়োগকারী ১৭. লেখক ১৮. বিজ্ঞানী ১৯. ইঞ্জিনিয়ার ২০. সফটওয়্যার ডেভেলপার ২১. সেবিকা ২২. পরিচ্ছন্ন কর্মী ২৩. ব্যাবসায়ী |
দৃশ্যপট-১
প্রশ্ন: দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে চম্পার ভাইয়ের ব্যবসায় কী পরিবর্তন এলো?
উত্তর: দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে চম্পার ভাইয়ের ব্যবসায়ের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হয়েছে। আগে মোবাইল ফোনের ব্যবসা ছিল বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবসা শুরু করল।
প্রশ্নঃ চম্পার ভাই কেন নতুন ব্যবসা শুরু করল?
উত্তর: প্রযুক্তিগত উন্নয়ন শিল্প বিপ্লব ও জনগনের চাহিদার উপর ভিত্তি করে চম্পার ভাই নতুন ব্যবসা শুরু করলো। পূর্বে মোবাইল ফোনের ব্যবসা ছিল বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবসায়ের মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। যার ফলে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছে।
👉 আগামীর স্বপ্ন – সমাধান | জীবন ও জীবিকা – ৩য় অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
ছক ২.১: সময়ের সঙ্গে পেশার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ
পেশার ক্ষেত্র | বর্তমানে কেমন | ২০ বছর আগে কেমন ছিল | পরিবর্তনের কারণ |
তথ্য আদান-প্রদান | ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে | হাতে লেখা চিঠি কিংবা মৌখিক ভাবে তথ্য আদান-প্রদান | প্রযুক্তির উন্নয়ন |
কৃষি | ট্রাক্টরের মাধ্যমে জমি চাষ আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ধান কাঁটা, সেচ ও মাড়াই। | গরু দিয়ে জমি চাষ, হাতের মাধ্যমে ধান কাঁটা, সেচ ও মাড়াই। | প্রযুক্তির উন্নয়ন |
চিকিৎসা | রোগ নির্ণয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। যেমন: এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি,সিটি-স্ক্যান, ইসিজি থার্মোমিটার। | অনুমান নির্ভর চিকিৎসাঅনুমান নির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামও কম ছিল। | প্রযুক্তির উন্নয়ন |
যাতায়াত | বাস, ট্রেন, প্লেইন, জাহাজ, অটোরিক্সার মাধ্যমে যাতায়াত। | গাড়ি কম ছিল, রিক্সা, গরুর গাড়ি কিংবা হাঁটার মাধ্যমে যাতায়াত। | প্রযুক্তির উন্নয়ন |
ছক-২.২: পেশার মৌলিক দক্ষতা অনুসন্ধান
পেশা | অর্জনযোগ্য দক্ষতাসমূহ |
পেশার নাম: সফটওয়্যার ডেভোলপার পেশাজীবীর নাম: করিম হোসেন সাক্ষাৎকারের তারিখ: ১৫/০৪/২০২৩ | মৌলিক বিষয় বা দক্ষতা:১। সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করার দক্ষতা২। সমস্যা সমাধানের দক্ষতা৩। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা৪। যোগোযোগের দক্ষতা বিশেষ বিষয় বা দক্ষতাঃ১। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে জানা।২। সফটওয়্যার তৈরির দক্ষতা।৩। ভালো প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ ।৪। উদ্ভাবনী মনোভাব।৫। কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনের কিছু মৌলিক সফটওয়্যার যেমন: ইমেইল, ওয়েব ব্রাউজার এবং অফিস অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা অর্জন। |
👉 কাজের মাঝে আনন্দ – সমাধান | জীবন ও জীবিকা – প্রথম অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণী
কেস-১: সেরা রাঁধুনি রাশিদা খাতুন
প্রশ্নঃ রাশিদা খাতুন কী কী দক্ষতা অর্জন করেছিলেন?
১। বিভিন্ন লোকের খাবার ও সেগুলোর উপাদান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান।
২। নতুন রেসিপি নিয়ে কাজ করার দক্ষতা।
৩। খাবারের পুষ্টি নিয়ে ভালো জ্ঞান অর্জন।
৪। রান্নাঘর ও রান্নার সব উপকরণ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করা।
৫। রান্না শেখার কোর্স করার মাধ্যমে বিভিন্ন রান্না নিয়ে দক্ষতা অর্জন।
প্রশ্নঃ তিনি কীভাবে ‘সেরা রাঁধুনী হয়েছিলেন?
উত্তর: সেরা রাধুনী হবার প্রধান শর্ত হলো রান্নার প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা থাকা। সেই সাথে কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ়সংকল্প, রান্নার নতুনত্ব এবং গুণগত মান বাজায় রাখার কারণেই রাশিদা খাতুন সেরা রাঁধুনী হয়েছিলেন।
কেস-২: আমাদের বিধান দর্জি
প্রশ্ন: বিধান ত্রিপুরা কী কী দক্ষতা অর্জন করেছিলেন?
১। সেলাইয়ের দক্ষতা।
২। পরিমাপের দক্ষতা ।
৩। সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
৪। যোগাযোগের দক্ষতা।
৫। সৃজনশীলতা
৬। ড্রেস মেকিং
প্রশ্ন: তিনি কীভাবে ‘বিধান দর্জি’ হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন?
উত্তর: কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা, মনোযোগ আর নিখুঁত মান বজায় রাখার কারণে তিনি সবার কাছে ‘বিধান দর্জি’ হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।
👉 কাজের মাঝে আনন্দ – সমাধান | জীবন ও জীবিকা – প্রথম অধ্যায় | ষষ্ঠ শ্রেণী
কেস-৩: প্রযুক্তির আলোয় দৃষ্টিজয়ী ভাস্কর
প্রশ্ন: ভাস্কর ভট্টাচার্য্য কী কী দক্ষতা অর্জন করেছিলেন?
উত্তর: ১। কম্পিউটার এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন।
২। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে জানা।
৩। সফটওয়্যার তৈরির দক্ষতা।
৪। ভালো প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ ।
৫। উদ্ভাবনী মনোভাব।
৬। কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনের কিছু মৌলিক সফ্টওয়্যার যেমন: ইমেইল, ওয়েব ব্রাউজার এবং অফিস অ্যাপ্রিকেশন এর দক্ষতা অর্জন।
প্রশ্নঃ তিনি কীভাবে বিখ্যাত হয়েছিলেন?
উত্তর: ভাস্কর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব পাঠ্যপুস্তককে ডিজিটাল টকিং বইয়ে পরিনত করা। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাক্সেসেবল ডিকশনারি তৈরি করেন। তাছাড়া তিনি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কারিগরি সহায়তা নিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটারইজড ব্রেইল প্রোডাকশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবেই তিনি বিখ্যাত হয়েছিলেন।
স্বমূল্যায়ন
এই অধ্যায়ে আমরা যা যা করেছি [তোমার পছন্দের ঘরে টিক (√) চিহ্ন দাও]
কাজসমূহ | করতে পারিনি ১ | আংশিক করেছি ২ | ভালোভাবে করেছি ৩ |
এলাকার মানুষের বিভিন্ন পেশার তালিকা তৈরি | √ | ||
সাক্ষাৎকার/ আলোচনার মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবীর সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় | √ | ||
সময়ের সাথে পেশা পরিবর্তনের ধারা পর্যবেক্ষণ | √ | ||
প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন পেশাজীবীর কেসস্টাডি পর্যবেক্ষণ | √ | ||
বিভিন্ন পেশার ও মৌলিক দক্ষতাসমূহ অন্বেষণ | √ | ||
স্থানীয় ও দেশীয় পেশার মৌলিক দক্ষতাসমূহের সাথে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার যোগসুত্ৰ স্থাপন | √ |
মোট স্কোর: ১৮
তোমার প্রাপ্ত স্কোর: ১৪
শিক্ষকের মন্তব্য: মোটামুটি ভালো হয়েছে আরো ভালো করতে হবে।
এভাবে হাসতে হলে এই অধ্যায়ের যেসব বিষয়গুলো আমাকে আরও ভালোভাবে জানতে হবে তা লিখ
১। বিভিন্ন পেশাজীবিদের সম্পর্কে জানা
২। সময়ের সাথে পেশা পরিবর্তনের ধারা পর্যবেক্ষণ
৩। প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন পেশাজীবীর কেসস্টাডি পর্যবেক্ষণ
৪। বিভিন্ন পেশার মৌলিক দক্ষতাসমূহ অন্বেষণ
৫। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা
৬। পেশার মৌলিক দক্ষতা অনুসন্ধান
2 Comments
অনেক ভালো
Thanks 💙